দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪১৭ এবং ৫০৬ ধারা মামলার ড্রাফটিং
ড্রাফটিং এর বিষয়ঃ কাল্পনিক তথ্য ব্যবহার করে দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪১৭ এবং ৫০৬ ধারা মোতাবেক লিগ্যাল ড্রাফটিং।
মোকাম, বিজ্ঞ মূখ্য মহানগর হাকিম আদালত, ঢাকা।
সূত্রঃ সি.আর মামলা নং———-/২০১৮
ধারাঃ ৪০৬, ৪১৭, ৫০৬ দণ্ডবিধি
মোঃ কামাল হোসেন পিতা- মোঃ হোসেন রহমান সাং-অষ্টগ্রাম, পোঃ এজি মিয়ার বাজার, থানা- নাঙ্গঁলকোট, জেলা-কুমিল্লা। বর্তমানেঃ প্রগতি টাওয়ার (৭ম তলা) ফ্ল্যাট নং-১০২, ব্লক-কে, প্রগতি স্মরনী, থানা- ভাটারা, জেলা-ঢাকা-১২১২। ——- ফরিয়াদী। বনাম রফিকুল ইসলাম ——- আসামী। স্বাক্ষীগণের নাম ও ঠিকানাঃ ঘটনার স্থানঃ প্রগতি টাওয়ার (৭ম তলা) ফ্ল্যাট নং-১০২, ব্লক-কে, প্রগতি স্মরনী, থানা- ভাটারা, জেলা-ঢাকা-১২১২। ঘটনার তারিখ ও সময়ঃ |
ফরিয়াদী পক্ষের বিনীত নিবেদন এই যে,
১। বর্ণিত মামলার ফরিয়াদী একজন সাধারণ ব্যবসায়ী, বিগত ০১/০৩/২০১৪ ইং তারিখে অত্র মামলার আসামীর নির্মানাধীন ইমারতের বেইজমেন্টের আনুমানিক ১১০০ বর্গফুট জায়গা ভাড়া নেওয়ার জন্য অত্র মামলার ফরিয়াদীর নিকট হতে অত্র মামলার আসামী অগ্রীম বাবদ নগদ ৩৫,০০,০০০/- (পয়ত্রিশ লক্ষ) টাকা বুঝে নিয়ে একটি চুক্তি করেন।২। বর্ণিত মামলার ফরিয়াদী পক্ষ আসামীর মালিকানাধীন ফ্লোর ভাড়া নেওয়ার কয়েক মাস পর উভয় পক্ষের মাঝে বিভিন্ন শর্ত নিয়ে দ্বিমত থাকায় বিগত ২০/০১/২০১৮ ইং তারিখে আসামী পক্ষ ফরিয়াদীর সাথে পূর্বের ফ্লোর ভাড়ার চুক্তিপত্র বাতিল করতঃ আসামী ফরিয়াদীর নিকট হতে অগ্রীম বাবদ গ্রহণকৃত ৩৫,০০,০০০/- (পয়ত্রিশ লক্ষ) টাকার মধ্যে নগদ ১৭,৭৫,০০০/- টাকা বুঝিয়ে দেন। আসামীর নিকট ফরিয়াদীর বাদ বাকী পাওনা ১৭,২৫,০০০/- টাকা পরিশোধের জন্য অত্র মামলার আসামী ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ, ধানমন্ডি শাখা, ঢাকায় তার নিজ নামীয় একাউন্ট হতে ৬টি ব্যাংক চেক যার প্রতিটিতে ২,৮৭,৫০০/- টাকা উল্লেখ করে ফেব্রুয়ারী ২০১৮ ইং হতে জুলাই ২০১৮ ইং ৬ (ছয়) মাস সময় সীমার মধ্যে প্রতিটি চেক মাসের ১ তারিখ হতে ১০ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করার কথা লিখিতভাবে উল্লেখ করে ফরিয়াদীকে উক্ত চেকগুলো প্রদান করেন। উল্লেখ্য যে, আসামী কর্তৃক চেকগুলোর নাম্বার হচ্ছে- xxxxx, xxxxx, xxxxx, xxxxx, xxxxx ও xxxxx এবং উক্ত চেকগুলোর মধ্যে ৪টি চেকে উল্লেখিত মোট ১১,৫০,০০০/- (এগার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা ফরিয়াদী আসামীর নিকট পাওনা রয়েছেন।
৩। অতঃপর ফরিয়াদী পক্ষ আসামী প্রদত্ত xxxxx, xxxxx নং চেক দুটি নগদায়ন করতে পারলেও বাকী ৪টি চেক আসামী কর্তৃক নির্ধারিত উল্লেখিত সময়সীমার মধ্যে একাধিক বার নগদায়নের জন্য ফরিয়াদী জমা দান করলে প্রতি বারই তা আসামীর একাউন্টে টাকা না থাকার দরুণ ফেরৎ আসে। সর্বশেষ গত ০১/৯/২০১৮ ইং এবং ১২/৮/২০১৮ইং তারিখেও চেকগুলো ডিজঅনার হয়ে তৎপ্রেক্ষিতে ফরিয়াদী আসামীকে নোটিশ প্রদান করেন। ফরিয়াদীর পাওনা টাকা সমূহ আসামী নির্ধারিত সময় সীমার মাঝে পরিশোধ না করায় ফরিয়াদী অনেক বার আসামীর নিকট গিয়ে তার পাওনা টাকা সমূহ ফেরৎ চাইতে গেলে আসামী বিভিন্ন তারিখে ফরিয়াদীকে টাকা পরিশোধের কথা বললে ফরিয়াদী আসামীর কথায় বিশ্বাস স্থাপন করে আসামীর কথামত তারিখে টাকা চাইতে গেলে ঐ সমস্ত তারিখগুলোতে কোন টাকা পয়সা না দিয়ে আসামী পুনরায় ফরিয়াদীকে টাকা প্রদানের সময় দেন। বিগত ০৫/০৯/২০১৮ ইং তারিখে আসামীর নিকট পুনরায় ফরিয়াদী তার পাওনা টাকা সমূহ ফেরৎ চাইতে গেলে আসামী ফরিয়াদীর সমস্ত পাওনা টাকা ১২/০৯/২০১৮ ইং তারিখে পরিশোধ করে দিবেন বলে জানান। তৎপ্রেক্ষিতে গত ১২/০৯/২০১৮ ইং তারিখে বিকাল ৫.০০ ঘটিকার সময় ফরিয়াদী আসামীর কাছে টাকা চাইতে গেলে আসামী ফরিয়াদীর প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। ফরিয়াদী এক পর্যায়ে আসামীর এমন কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করলে আসামী আরো বেশি ফরিয়াদীর প্রতি উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং আসামী ফরিয়াদীকে হুমকি দিয়ে বলে যে, তোকে কোন টাকা পয়সাই দিবো না। পুনরায় যদি ফরিয়াদী আসামীর নিকট টাকা চাইতে আসে তাহলে আসামী ফরিয়াদীকে প্রাণনাশের হুমকি দেন।৪। যেহেতু, অত্র মামলার আসামী ফরিয়াদীর পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য চেক প্রদান করে তা লিখিতভাবে নির্দিষ্ট সময় সীমার মধ্যে পরিশোধ করার কথা স্বীকার করে অতঃপর নির্ধারিত মেয়াদে টাকা পরিশোধ করতে না পারায় এবং বিভিন্ন তারিখে আশ্বাস দিয়ে পরবর্তীতে আসামী ফরিয়াদীকে কোন টাকা পয়সা না দিয়ে আসামী ফরিয়াদীর সাথে অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গ সহ প্রতারণা করেছেন। অতঃপর ফরিয়াদীকে হুমকি ধামকি দিয়ে দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারায় অপরাধ করেছেন বিধায় ফরিয়াদী বিজ্ঞ আদালতের নিকট বিচার প্রার্থী হয়েছেন।
সে মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতের নিকট বিনীত নিবেদন এই যে, উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে আসামীর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৬ / ৪১৭ / ৫০৬ ধারার অপরাধ আমলে নিয়ে আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করতঃ ন্যায় বিচার করতে বিজ্ঞ আদালতের সদয় মর্জি হয়। ইতি, তাং- |