|
তারিখঃ ——– খ্রি.
বরাবর,
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
খিলগাঁও থানা,
ডি.এম.পি, ঢাকা।
বিষয়ঃ নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে এজাহার।
জনাব,
যথাবিহীত সম্মান পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী মোছাঃ ফাতিমা, পিতাঃ মোঃ সারওয়ার, সাং-বিল্ডিং নং-০১, বাসা নং- ১/১০, খিলগাঁও, গভঃ ষ্টাফ কোয়ার্টার, থানা-খিলগাঁও, ঢাকা-১২১৯, এই মর্মে অভিযোগ করছি যে, আমি বিগত-০২/০৯/১১ খ্রি. তারিখে মোঃ আরিফ খান, পিতা-মোঃ সবুর খান, সাং-কাশীল, থানা-বাসাইল, জেলা-জামালপুর, বর্তমানেঃ কারারক্ষী কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১২, গাজীপুর, বাংলাদেশ, এর সাথে বিগত ২০/১১/২০১১ খ্রি. তারিখে ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা দেন মোহর ধার্য্য করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। পরবর্তীতে, আমার স্বামীর আত্মীয়-স্বজন, পিতা-মাতা বিবাহ মেনে না নেওয়ায় আমাকে মারপিট করে তাড়িয়ে দেয় এবং পরবর্তীতে বিগত ১৫/১০/২০১৩ খ্রি. তারিখে তার পিতা-মাতার পরামর্শে আমাকে তালাক দেওয়া হয় এবং দেন মোহরের ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা প্রদান করে দেয় এবং পরবর্তীতে আমাকে ফুসলিয়ে এবং নানা প্রলোভন দেখিয়ে ২৯/১০/১৩ খ্রি. তারিখে আমার নিকট হতে দেনমোহরের প্রদত্ত ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা ফেরত নিয়ে নেয় এবং ঐ দিনই ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা দেনমোহর ধার্য্যে পূনরায় আমাকে বিবাহ করে এবং বিবাহের কিছু দিন যেতে না যেতেই আমার স্বামী বিদেশ যাওয়ার জন্য আমার ও আমার মায়ের নিকট যৌতুক হিসাবে ৬,০০,০০০/- (ছয় লক্ষ) টাকা দাবী করে আসছিল এবং আমাকে স্বামীর বাড়ীতে উঠিয়ে নিতেছিল না। বিগত ১৭/০১/২০১৪ খ্রি. তারিখে আমার স্বামীর সাথে ১। আব্দুর রহমান খান, পিতা- মোঃ আজাদুর রহমান খান, আমার শ্বশুর ২। আরমান খান, পিতা-অজ্ঞাত ও আমার শ্বাশুড়ী ৩। নাজিয়া বেগম, স্বামী- আরমান খান, সর্ব সাং- কাশীল, থানা-বাসাইল, জেলা-টাংগাইল রাত্রি ৯.০০ ঘটিকার সময় আমাদের বাসায় আসে এবং তারা আমার স্বামীকে বিদেশে পাঠাবে মর্মে অনেক টাকার প্রয়োজন উল্লেখ পূর্বক যৌতুক বাবদ আমাদের নিকট ৬,০০,০০০/- (ছয় লক্ষ) টাকা দাবী করে। আমরা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এক পর্যায়ে ১নং আসামী আমার চুলের মুঠি ধরে মাটিতে শুয়াইয়া ফেলে আমার বুকের ওপর বসে হত্যার উদ্দেশ্যে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে ধরে। আমার মা তখন রান্না ঘরে চা তৈরীতে ব্যস্ত ছিল। আমি বাঁচার শেষ চেষ্টায় মরিয়া হয়ে দুই হাত দিয়ে বালিশ সরানোর চেষ্টা করতে থাকি এবং আমার গোংরানীর শব্দে আমার মা আসে ১নং আসামীকে ধাক্কা দিয়ে আমার বুকের উপর হতে ফেলে দেয়। তখন আসামীরা দৌড়ে সিড়ি দিয়ে নিচে নেমে চলে যায়। আমার মা আমাকে রক্ষা না করলে আসামীরা আমাকে হত্যা করে ফেলত।
অতএব, প্রার্থনা হুজুর সমীপে অনুগ্রহ পূর্বক আসামীগনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে মর্জি হয়। ইতি, তাং—-খ্রি.
বিনীত নিবেদক,
—————-
(মোছাঃ ফাতিমা),
পিতাঃ মোঃ সারওয়ার,
সাং-বিল্ডিং নং-০১, বাসা নং- ১০,
ষ্টাফ কোয়ার্টার, থানা-খিলগাঁও, ঢাকা। |