১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(ক)/২৫(ঘ) উপধারার মামলায় একটি জামিনের দরখাস্ত
ড্রাফটিং এর বিষয়ঃ ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(ক)/২৫(ঘ) উপধারার মামলায় একটি জামিনের দরখাস্ত সাবলীলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
মোকাম বিজ্ঞ মহানগর দায়রা জজ সাহেবের আদালত, ঢাকা। |
|||||||||
মোঃ মনিরুল ইসলাম (৩০) ———– দরখাস্তকারী (হাজতী আসামী)। বনাম রাষ্ট্র —————————– প্রতিপক্ষ। |
|||||||||
বিষয়ঃ দরখাস্তকারী হাজতী আসামীর পক্ষে জামিনের প্রার্থনা।
দরখাস্তকারী হাজতী আসামী পক্ষে বিগত ০১/০৭/২০১৮ইং তারিখে বিজ্ঞ নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন করলে, না-মঞ্জুর হয়। উক্ত না-মঞ্জুরের আদেশে বিক্ষুব্ধ হয়ে দরখাস্তকারী আসামী অত্র ফৌজদারী বিবিধ মামলা দায়ের করেন। দরখাস্তকারী হাজতী আসামী পক্ষে বিনীত নিবেদন এই যে, ১। যেহেতু অত্র মামলার বাদী এস.আই মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান অবৈধ মাদক উদ্ধার ও প্রতিরোধ টিম ডিবি (উত্তর) ডিএমপি, ঢাকা। সঙ্গীয় ফোর্সসহ আসামীদের গ্রেফতার পূর্বক এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করেন যে, ১৮/১০/১৮ইং তারিখ ডিবি (উত্তর) বিভাগ জিডি নং-৯৮৮ মোতাবেক এ.সি জনাব মোঃ মেসবাহ আসলাম এর নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে রাত্রি অনুমান ২৩.৪০ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, কতিপয় জাল টাকার সদস্যরা কাঁঠাল বাগান এলাকায় একটি বিলাস বহুল ফ্ল্যাটে বাংলাদেশী মুদ্রা সহ বিদেশী মুদ্রা প্রস্তুত করতঃ গোপনে ক্রয়-বিক্রয় করে আসছে। সংবাদের সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে অদ্য ১৯/১০/১৮ইং তারিখ ১.৩০ ঘটিকায় মিরপুর এলাকা হতে অফিসার ও ফোর্সসহ কাঠালবাগানের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে রাত্রি ৩.২০ ঘটিকায় কাঠালবাগাস্থ মোছাঃ মারিয়ার মালিকানাধীন ৯১০ নং ফ্রি স্কুল ষ্ট্রীট বিল্ডিং এর ডি-১২নং ফ্ল্যাটের সামনে উপস্থিত হয়ে বাসার অন্যান্য আশে পাশের ফ্ল্যাটের সাক্ষীদের উপস্থিতিতে জাল টাকা এবং জাল মুদ্রা প্রস্তুতির সকল উপাদান সরঞ্জামাদি যন্ত্রপাতি নিজ হাতে জব্দ তালিকার বর্ণনা মতে বের করে দিলে রাত্রি ৫.৩০ ঘটিকার সময় জব্দ তালিকা প্রস্তুত করতঃ জব্দ করলে আসামীদের ধৃত করেন। আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় এজাহারে বর্ণিত আসামীগণ একটি সংঘবদ্ধ জাল টাকা প্রস্তুতকারী চক্রের সংঘবদ্ধ সক্রীয় সদস্য। আসামী মোঃ নাহিদ জাল টাকার ডিজাইন কালার মেচিং করে দেয়। বিগত ১৯/১০/১৮ ইং তারিখে আসামীকে উপরে উল্লেখিত অভিযোগের আলোকে গ্রেফতার পূর্বক আদালতে প্রেরণ করেন এবং ১০ (দশ) দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আসামীকে আদালতে প্রেরণের পর আসামী পক্ষ রিমান্ড বাতিল পূর্বক জামিন প্রার্থনাকালে উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনানী অন্তে বিজ্ঞ আদালত সন্তুষ্ট হয়ে ৩ (তিন) দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং জামিনের আবেদন না-মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে আসামীদের আদালতে প্রেরণের পর ঈড মূলে বিজ্ঞ আদালত জেল হাজতে প্রেরণ করেন। হেতুবাদসমূহঃ ১। দরখাস্তকারী হাজতী আসামী একজন সহজ, সরল আইন মান্যকারী বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক বটে। ২। যেহেতু, দরখাস্তকারী হাজতী আসামী কথিত ঘটনার সাথে জড়িত নয়। ৩। যেহেতু, দরখাস্তকারী হাজতী আসামী প্রায় সাড়ে নয় মাস যাবৎ জেল হাজতে আটক আছেন। ৪। দরখাস্তকারী হাজতী আসামীর অবর্তমানে তার পরিবারের সদস্যরা অসহায় অবস্থায় জীবন যাপন করছেন। ৫। দরখাস্তকারী হাজতী আসামীর নিকট হতে প্রকৃতপক্ষে কোন জাল টাকা, মুদ্রা বা সরঞ্জামাদি উদ্ধার হয় নাই। জব্দ তালিকায় সুষ্পষ্টরূপে বর্ণনা করা আছে কার নিকট হতে উদ্ধার হয়েছে। জব্দ তালিকায় বলা আছে আসামী সাহেলা ও কবির উদ্দিনের দেখানো মতে ৯১০ ফ্রী স্কুল ষ্ট্রীট, কাঠাল বাগানের বাসা হতে উদ্ধার। কথিত বাসাটি আসামীর না এবং আসামী সেখানে বসবাস করেন না। আসামী ঘটনা সর্ম্পকে অবগত না। সেহেতু, মানবিক কারণে আসামী বিজ্ঞ আদালতের নিকট জামিন প্রার্থনা করতেছেন। বিজ্ঞ আদালত সন্তুষ্ট হয়ে জামিন প্রার্থনা মঞ্জুর করলে আসামী পলাতক হবেন না। নিয়মিত হাজিরা প্রদান করবেন। ৬। অপরাপর বক্তব্য শুনানীকালে পেশ করা হবে। |
|||||||||
সেমতে, প্রার্থনা মাননীয় আদালত দয়া পরবশে ন্যায় বিচারের স্বার্থে নিম্ন আদালতের নথি তলবান্তে উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনানী অন্তে জামিন প্রার্থনা মঞ্জুর করতে সদয় মর্জি হয়। ইতি, তাং- | |||||||||