ফৌজদারী কার্যবিধির ১০৭/১১৭(সি) ধারা মোতাবেক একটি নালিশী মামলা
বিঃদ্রঃ নিম্নে ড্রাফটিং এর কাল্পনিক তথ্য পর্যাক্রমিকভাবে উপস্থাপন করা হল এবং এই তথ্যগুলো কিভাবে সাজিয়ে লিখতে হয় তা পিডিএফ ফাইলের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হল। আশাকরি সকলেই উপকৃত হবেন।
নিবেদনঃ
১। বাদী একজন আইন মান্যকারী ও সহজ, সরল প্রকৃতির লোক বটে। পক্ষান্তরে বিবাদীগন একদলীয় দাঙ্গা হাঙ্গামাকারী আইন অমান্যকারী ঠক, প্রতারক, পরধনলোভী, আত্মসাৎকারী আদম বেপারী, দালাল। তাহারা করতে পারে না এমন কোন কুকর্ম নাই।
২। বাদীকে এবং বাদীর এলাকার ৫ জন সহ আসামীরা সৌদি আরব পাঠানোর কথা বলিয়া বাদী সহ অন্য ৫ জনের নিকট হইতে নন জুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা দিয়া আসামীরা ৯,০০,০০০/- (নয় লক্ষ) টাকা গ্রহণ করে পরে বাদী সহ অন্য ৫ জনকে বিদেশে পাঠায় নাই এবং টাকা ফেরৎ দেয় নাই। পরবর্তীতে আসামীরা বাদীকে টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়া বাদীর নিকট থেকে নগদ টাকা এবং সহি করা অঙ্গীকারনামা মারধর করে ছিনাইয়া নিয়া যায় এই ব্যাপারে বাদী কদমতলী থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন যাহার নং——, তারিখঃ ——– এবং বাদী আসামীদের বিরুদ্ধে গত ০৫/০৪/২০১০ তারিখ বিজ্ঞ সি,এম,এম আদালত, ঢাকায় একটি সি,আর মামলা দায়ের করেন যাহার নং——-, ধারাঃ ৪২০/৪০৬/৩২৩/ ৩৭৯/৫০৬/১০৯ দঃ বিঃ।
৩। অতঃপর বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়েরের পর বিজ্ঞ আদালত মামলাটি পুলিশ রিপোর্ট এর জন্য কদমতলী থানাকে নির্দেশ দিলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে গোপনে ও প্রকাশ্যে মামলাটি তদন্ত করিয়া বিজ্ঞ আদালতে রিপোর্ট দাখিল করেন। আসামীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। আসামীর থানায় গেলে উক্ত পরোয়ানার বিষয়টি আসামীরা জানিতে পারিয়া বাদীকে বিভিন্ন রকম মোবাইলে হুমকি ধামকিসহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
৪। অতঃপর আসামীরা গত ১৬/১০/২০১০ তারিখ বাদীর উপর ক্ষিপ্ত হইয়া বাদীর ভাড়াটিয়া বাসার সামনে বাদীকে মারিয়া ফেলার উদ্দেশ্যে লাঠিসোটা ও চাইনিজ কুঠার, হকিষ্ট্রিক নিয়া বাদীর ভাড়াটিয়া বাসার সম্মুখে বাদীকে রাস্তার উপর পাইয়া খুন করার উদ্দেশ্যে আক্রমন করিলে বাদী প্রানের ভয়ে চিৎকার করিয়া দৌড়াইয়া ভাড়াটিয়া বাসার মধ্যে প্রবেশ করিয়া ডাক চিৎকার করিলে স্বাক্ষীগন দ্রুত ঘটনাস্থলে আসিয়া বিবাদীদের এহেন অন্যায় কার্য্যে বাধা প্রদান করে। তখন বিবাদীগন উপস্থিত স্বাক্ষীগনের সম্মুখে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিয়া প্রকাশ করে যে, আবার তোকে সুযোগ মতো পাইলে জীবনের তরে শেষ করে দিবো। বর্তমানে বিবাদীদের ভয়ে বাদী স্বাভাবিক জীবন যাপন করিতে পারিতেছেন না। বিবাদীগন যে কোন মুহুর্তে বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদের অপূরনীয় ক্ষতিসহ শান্তি ভঙ্গের কারন ঘটাইতে পারে। তদহেতু বিবাদীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী কার্য বিধির ১০৭/১১৭(৩) ধারার বিধান মোতাবেক প্রসিডিং ড্র করিয়া শান্তি রক্ষার মুচলেকা প্রদানের আদেশ হওয়া একান্ত আবশ্যক।
প্রার্থনাঃ
সেমতে প্রার্থনা, বিজ্ঞ আদালত উপরোক্ত কারণ ও অবস্থাধীনে ন্যায় বিচারের স্বার্থে বিবাদীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী কার্যবিধির ১০৭/১১৭(৩) ধারার বিধান মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতঃ সুবিচার করিতে আজ্ঞা হয়।
ইতি, তাং————।