দেনমোহর ও খোরপোষ আদায়ের মোকদ্দমার জন্য একটি লিগ্যাল ড্রাফটিং
ড্রাফটিং এর বিষয়ঃ দেনমোহর ও খোরপোষ আদায়ের মোকদ্দমার জন্য একটি লিগ্যাল ড্রাফটিং সাবলীলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
মোকাম, বিজ্ঞ ৬ষ্ঠ সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালত, ঢাকা। |
|||||||||
১। মোসাঃ রেনু আক্তার ——— বাদীনি। বনাম ১। রিমন ওরফে রিপন ——— বিবাদী। সাক্ষীগণের তালিকাঃ ১। কামরুল ইসলাম ২। রাবেয়া ওরফে রবিন ৩। সাম্মী আক্তার, স্বামী- সাব্বীর দেনমোহর ও খোরপোষ আদায়ের মোকদ্দমা। মোকদ্দমার মূল্যমানঃ ৩,৩২,০০০/-(তিন লক্ষ বত্রিশ হাজার) টাকা মাত্র। |
|||||||||
বাদীনি পক্ষে বিনীত নিবেদন এই যে,
১। বাদীনি বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক। বাদীনির সাথে বিবাদীর গত ০৯/১০/২০০৬ইং তারিখ উভয় পক্ষের আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাংখীগণের উপস্থিতিতে ধর্মীয় বিধান অনুসরন পূর্বক বিবাহ সম্পন্ন হয়। অতঃপর, দেশে প্রচলিত আইনের বিধান মোতাবেক যথারীতি রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন হয়। বিবাহ পরবর্তীতে বাদীনি এবং বিবাদী একত্রে বিবাদীর বর্নিত ঠিকানায় ঘর-সংসার শুরু করেন। অতঃপর, বাদীনি এবং বিবাদীর দাম্পত্য জীবনে একটি কন্যা সন্তান জন্ম লাভ করে। যার নাম নুরজাহান, বর্তমান বয়স ৭ বৎসর। ২। বাদীনির অভিভাবকগণ বিবাহের সময় বাদীনিকে আট আনা সোনার চেইন, আট আনা ওজনের সোনার কানের দুল, এবং বিবাদীকে আট আনা ওজনের সোনার আংটি সহ খাট, শোকেস ইত্যাদি প্রদান করেন। অতঃপর, বিবাহের এক বৎসর অতিবাহিত হওয়ার পর বাদীনি তার অভিভাবকদের নিকট হতে ৫০,০০০/-(পঞ্চাশ হাজার) টাকা নিয়ে ব্যবসা করার জন্য বিবাদীকে প্রদান করেন। ৩। বিবাহের ৭/৮ বৎসর অতিক্রান্ত হলে বিবাদী আরো ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা যৌতুকের দাবীতে বাদীনিকে মারধোর শুরু করে। কিন্তু, বাদীনি বিবাদীর চাহিদা মত টাকা পয়সা প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করায় গত ০১/০২/২০১৮ইং তারিখ সকাল ৯.০০ ঘটিকায় বাদীনিকে মারধোর করে বাদীনি পক্ষের প্রদত্ত গহনা, টাকা পয়সা, ফার্নিচার ইত্যাদি আত্মসাৎ করে শূণ্য হাতে বিবাদী তার বাড়ী হতে বাদীনিকে বের করে দেন। এমতাস্থায়, বাদীনি বাধ্য হয়ে তার কন্যা সন্তান নুরজাহানকে সাথে নিয়ে বর্তমান ঠিকানায় বসবাস করছেন। গত ১ বৎসর যাবৎ বিবাদী বাদীনির কোন প্রকার খোঁজ খবর রাখে না বা ভরনপোষন প্রদান করেন না। ৪। বাদীনি একান্ত নিরুপায় হয়ে গত ০১/০২/২০১৮ইং তারিখ হতে বর্তমান ঠিকানায় বসবাস করছেন। এমতাবস্থায়, বাদীনি বিবাদীর নিকট দেনমোহর ও খোরপোষ বাবদ প্রাপ্য গত ৩০/০১/২০১৯ইং তারিখ পর্যন্ত দাবী করলে বিবাদী বাদীনি পক্ষের প্রাপ্য অর্থ প্রদানে বিরত আছেন। বিবাদী পক্ষের নিকট বর্তমানে বাদী পক্ষের ভরনপোষন ও দেন মোহর ইত্যাদি বিষয়ক পাওনা নিম্নরূপঃ ক) দেন মোহর- ৩০,০০০/- খ) ০১/০২/২০১৮ইং তারিখ হতে ৩১/০২/২০১৯ইং তারিখ পর্যন্ত ১২ মাস এ ৮০০০/- টাকা হিসাবে – ৯৬,০০০/- গ) নাবালক সন্তানের ভরনপোষন বাবদ ০১/০২/২০১৮ইং তারিখ হইতে ৩১/০১/১৯ইং তারিখ পর্যন্ত ১২ মাসে ৮০০০/- টাকা হিসাবে -৯৬,০০০/- ঘ) বিবাহের সময় প্রদত্ত গহনা ও আসবাবপত্রের মূল্য ৬০,০০০/- ঙ) বিবাদীকে প্রদত্ত নগদ ৫০,০০০/- সর্বমোট একুনে ৩,৩২,০০০/- (তিন লক্ষ বত্রিশ হাজার) টাকা মাত্র। ৫। বাদীনি পক্ষের দেনমোহর ও খোরপোষ বাবদ বর্নিত হতে প্রাপ্য অর্থ প্রদানে বিবাদী পক্ষ বিরত থাকার ফলে বাদীনি পক্ষ বাধ্য হয়ে বিজ্ঞ আদালতে অত্র মোকদ্দমা আনয়ন করলেন। ৬। অত্র মোকদ্দমার সর্বপ্রথম গত ০৯/১০/২০০৬ইং বিবাহের তারিখ অতঃপর, বিগত ০১/০২/২০১৮ইং তারিখ বাদীনিকে মারধোর করে বিবাদী কর্তৃক বাদীকে বাড়ী হতে বাহির করে দেওয়ার তারিখ তৎপর ৩০/০১/২০১৯ইং তারিখ বাদীনির প্রার্থীত তলবী মোহরানার অর্থ তলব করায় বিবাদী পক্ষ তা প্রদানে সরাসরি অস্বীকৃতি জানানোয় অত্র মোকদ্দমার কারণ বিজ্ঞ আদালতের এখতিয়ারাধীন যাত্রাবাড়ী থানায় উদ্ভব হয়ে অদ্যাবধি বিদ্যমান বটে। ৭। অত্র মোকদ্দমা একটি তলবী মোহরানা ও খোরপোষ আদায়ের মোকদ্দমা বিধায় মোকদ্দমার মূল্যমান ৩,৩২,০০০/- (তিন লক্ষ বত্রিশ হাজার) টাকা নির্ধারণে ও তদঅনুযায়ী নির্ধারিত ১০০/- টাকার কোর্ট ফি প্রদানে অত্র মোকদ্দমা দাখিল করা হল। ৮। অতএব বাদীর প্রার্থনা এই যে, |
|||||||||
(ক) বাদীর অনুকূলে বাদীর প্রাপ্য মোহরানা খোরপোষ ও নাবালক সন্তানের ভরণপোষন বাবদ সর্বমোট ৩,৩২,০০০/-(তিন লক্ষ বত্রিশ হাজার) টাকা এককালীন পাওয়ার হকদার মর্মে এক ডিক্রী প্রদানে; খ) নাবালক সন্তানের ভরনপোষন বাবদ প্রতি মাসে বিবাদীর নিকট হতে ৮০০০/- (আট হাজার) টাকা হারে পাওয়ার হকদার বটে এক ডিক্রী প্রদানে; গ) আদালতের ব্যয় সমূহ বাদীর অনুকূলে এবং বিবাদীর প্রতিকূলে মর্মে এক ডিক্রী প্রদানে; ঘ) বাদী পক্ষে আইন ও ইক্যুইটি মতে আর যে সকল প্রতিকার পাওয়ার হকদার সে মর্মে এক ডিক্রী প্রদানে বিজ্ঞ আদালতের মর্জি হয়। সত্যপাঠ উপরোক্ত বিবরণ আমার জ্ঞান ও বিশ্বাস মতে সত্য সঠিক জেনে অত্র সত্যপাঠে সহি স্বাক্ষর সম্পাদন করলাম। ——————— সত্যপাঠকারী স্বাক্ষর করলে আমি তাকে সনাক্ত করলাম। ———- |
|||||||||
[gs-fb-comments]