ড্রাফটিং এর বিষয়ঃ ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(ক) উপধারা মোতাবেক একটি লিগ্যাল ড্রাফটিং সাবলীলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
মোকাম, বিজ্ঞ মহানগর দায়রা জজ সাহেবের আদালত, ঢাকা। |
|||||||||
মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান (৩২) ———– দরখাস্তকারী (হাজতী আসামী)। বনাম রাষ্ট্র —————————– প্রতিপক্ষ। |
|||||||||
বিষয়ঃ দরখাস্তকারী হাজতী আসামীর পক্ষে জামিনের প্রার্থনা।
দরখাস্তকারী হাজতী আসামী পক্ষে বিগত ২৭/১২/২০১৮ইং তারিখে বিজ্ঞ নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন করলে না-মঞ্জুর হয়। উক্ত না-মঞ্জুরের আদেশে বিক্ষুব্ধ হয়ে দরখাস্তকারী আসামী অত্র ফৌজদারী বিবিধ মামলা দায়ের করেন। দরখাস্তকারী হাজতী আসামী পক্ষে বিনীত নিবেদন এই যে, ১। যেহেতু, উপরোক্ত নং মামলার বাদী মোঃ তাইজুল হোসেন এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করেন যে, ধানমন্ডি ল্যাব এইডের সামনে অবস্থানকালীন গোপন সংবাদের প্রেক্ষিতে জানতে পারি যে, মোহাম্মদপুর কাদেরাবাদ হাউজিং এর ১০নং রোডের ১১নং বাসার এ-৩, নং ফ্ল্যাটে কতিপয় ব্যক্তি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক মুদ্রিত ১০০০/- এবং ৫০০/- টাকা মূল্যমানের জাল নোট অসৎ উদ্দেশ্যে নিজেরা প্রস্তুত করত গোপনে বিভিন্ন লোকজনের নিকট ক্রয়-বিক্রয় করে আসছে। উক্ত সংবাদের প্রেক্ষিতে সততা যাচাই এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে অফিসার ফোর্স মোহাম্মদপুর কাদেরাবাদ হাউজিং এর উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে ১৪.০০ ঘটিকায় কাদেরাবাদ হাউজিং এর বর্তমান ঠিকানায় উপস্থিত হই। উক্ত ফ্ল্যাটে তল্লাশী করার লক্ষ্যে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সঙ্গে নিয়ে ফ্ল্যাটে যাই। উক্ত ফ্ল্যাটের দক্ষিন পার্শ্বের কক্ষে জাল টাকা প্রস্তুত করা, বাজারজাত করা অবস্থায় আসামী মোঃ রমিজ উদ্দীন, মোঃ মাজেদুল ইসলাম এবং আঃ জব্বারদের উপস্থিত পাই। তাদের নিজ হাতে বের করে দেওয়া অসংখ্য প্রস্তুতকৃত টাকা অগোছালো অবস্থায় পাই। আসামী মোঃ রমিজ উদ্দিনকে জিজ্ঞাসা বাদে সে জানায় উক্ত জাল টাকার প্রস্তুতকারী মালিক সে নিজে। মোঃ মাজেদুল ইসলাম বাজারজাত করে। পাইকারী হারে বিভিন্ন লোকজনের নিকট বিক্রয় করে এবং আসামী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সহায়তা করে। অত্র অভিযোগের ভিত্তিতে আসামীকে গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করে ০৭ (সাত) দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। বিজ্ঞ আদালত সন্তুষ্ট হয়ে রিমান্ড শুনানী শেষে ঈড মূলে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। দরখাস্তকারী আসামী পক্ষে ২৭/১২/২০১৮ইং তারিখে জামিন শুনানী হলে বিজ্ঞ আদালত সন্তুষ্ট হয়ে জামিন প্রার্থনা, না-মঞ্জুর করেন। উক্ত না-মঞ্জুরের আদেশের প্রেক্ষিতে দরখাস্তকারী আসামীপক্ষে অত্র ফৌজদারী বিবিধ মামলা দায়ের করেন। হেতুবাদসমূহঃ ১। দরখাস্তকারী হাজতী আসামী একজন সহজ, সরল আইন মান্যকারী বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক বটে। ২। যেহেতু, দরখাস্তকারী হাজতী আসামী কথিত ঘটনার সাথে জড়িত নয়। ৩। যেহেতু, দরখাস্তকারী আসামী একজন বেসরকারী চাকরীজীবি। দীর্ঘদিন তিনি সুনামের সাথে চাকরী করে আসছেন। ৪। যেহেতু দরখাস্তকারী আসামীর নাম এজাহারে উল্লেখ নাই। ৫। এজাহারে আসামীর সর্ম্পকে কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নাই। ৬। যেহেতু, জব্দ তালিকায় উল্লেখ আছে কার নিকট হতে আলামত উদ্ধার, দরখাস্তকারী আসামীর নিকট কোন আলামত উদ্ধার হয় নাই। ৭। যেহেতু, দরখাস্তকারী হাজতী আসামী প্রায় ৮ (আট) মাস যাবৎ জেল হাজতে আটক আছেন। ৮। এজাহারে ২নং আসামী মোঃ মাজেদুল ইসলাম বিজ্ঞ মহানগর দায়রা জজ আদালত হতে সি.আর মিস মূলে ১৯/০৩/১৮ইং তারিখ জামিন লাভ করেন। সেহেতু, দরখাস্তকারী আসামী বিজ্ঞ আদালতের নিকট হতে সহ আসামী শর্তে জামিন পাওয়ার হকদার এবং একজন আসামী মহামান্য হাইকোর্ট হতে জামিন লাভ করেন। ৯। দরখাস্তকারী আসামী ঘটনাস্থল হতে গ্রেফতার হয় নাই। ঘটনার ১৬ দিন পর আসামীকে গ্রেফতার দেখানো হয়। সেহেতু, দরখাস্তকারী আসামী বিজ্ঞ আদালতের নিকট জামিন প্রার্থনা করতেছেন। বিজ্ঞ আদালত সন্তুষ্ট হয়ে জামিন প্রদান করলে পলাতক হবে না। নিয়মিত হাজিরা প্রদান করবেন। উপযুক্ত জামিনদার প্রদান করা হবে। ১০। অপরাপর বক্তব্য শুনানীকালে পেশ করা হবে। |
|||||||||
সেমতে, প্রার্থনা মাননীয় আদালত দয়া পরবশে ন্যায় বিচারের স্বার্থে নিম্ন আদালতের নথি তলবান্তে উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনানী অন্তে জামিন প্রার্থনা মঞ্জুর করতে সদয় মর্জি হয়। ইতি, তাং- | |||||||||
[gs-fb-comments]