দেওয়ানী কার্যবিধির ৩৯ আদেশের ১ ও ২ নিয়ম ও ১৫১ ধারা মোতাবেক অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার লিগ্যাল ড্রাফটিং
ড্রাফটিং এর বিষয়ঃ দেওয়ানী কার্যবিধির ৩৯ আদেশের ১ ও ২ নিয়ম ও ১৫১ ধারা মোতাবেক অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার লিগ্যাল ড্রাফটিং সাবলীলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
মোকাম, ৪র্থ সহকারী জজ আদালত, ঢাকা। |
|||||||||
১। মোসাঃ আখীঁ পারভীন ২। মোঃ সাগর মিয়া ৩। নাছরীন আক্তার ——— বাদীগণ। বনাম ১। মোঃ বাবুল আক্তার ——— বিবাদীগণ। দেওয়ানী কার্যবিধি ৩৯ আদেশের ১ ও ২ নিয়ম ও দেওয়ানী কার্যবিধি ১৫১ ধারা মোতাবেক অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার প্রার্থনা। ঢাকা। |
|||||||||
বাদী পক্ষে বিনীত নিবেদন এই যে,
১। জিলা-ঢাকা, থানা- সাবেক ডেমরা হালে সবুজবাগ অধীন মৌজা নন্দীপাড়াস্থিত তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি অত্র মোকদ্দমার বিচার্য বিষয়। যা অতঃপর অত্র নালিশী সম্পত্তি বলে অভিহিত হবে। ২। স্বীকৃত মতে, নালিশী সম্পত্তির মালিক ছিলেন আমিরুল বেপারী। সেমতে, নালিশী সম্পত্তি সহ অন্যান্য সম্পত্তি ভোগ দখলে থাকাবস্থায় ও ৪ পুত্র যথা- মাজেদ বেপারী, রফিকুল বেপারী, সালাম বেপারী ও কালাম বেপারী, এবং ৪ কন্যা যথা- আয়েশা খাতুন, নাজমা খাতুন, আকলেমা খাতুন ও সাজেদা খাতুনকে বিদ্যমান ওয়ারিশ রেখে মৃত্যুবরণ করেন। ৩। উক্ত আমিরুল বেপারী ৪ পুত্র ও ৪ কন্যা পিতার ওয়ারিশসূত্রে মালিক ভোগ দখলকার বিদ্যমান থাকাবস্থায় তাদের নামে এস.এ ও আর.এস রেকর্ড হয়। ৪। উক্ত ৪ ভাই ও ৪ বোনের মধ্যে নালিশী সম্পত্তি সহ অন্যান্য সম্পত্তি নিয়ে ভোগ দখলের সুবিধার্থে পারিবারিক ঘরোয়া আপোষ বন্টনে নালিশী সম্পত্তি সহ অন্য সম্পত্তি সালাম বেপারী ছাহাম প্রাপ্ত হয়। তদবিনিময়ে অন্যান্য সম্পত্তি অন্যান্য ভাই বোনদের ছাহাম প্রাপ্ত হয়ে যার যার ছাহাম প্রাপ্ত সম্পত্তি ভোগ দখলে বিদ্যমান থাকেন। ৫। উক্ত সালাম বেপারী নালিশী সম্পত্তি সহ তার ছাহাম প্রাপ্ত অন্য সম্পত্তি এককভাবে ভোগদখলে বিদ্যমান থাকাবস্থায় নগদ টাকার প্রয়োজনে ভাই বোনদের জ্ঞাতসারে আক্কাস আলীর নিকট বিক্রি করে দখল বুঝিয়ে দেন। যার দলিল নং-৭২২১, তাং-০৩/০২/১৯৭৭ইং। খরিদমূলে নামজারী করেন ও খাজনা দেন। ৬। উক্ত আক্কাস আলী খরিদমূলে নালিশী সম্পত্তি ভোগ দখলে থাকাবস্থায় নগদ টাকার প্রয়োজনে আব্বাস আলী এর নিকট বিক্রি করে দখল বুঝিয়ে দেন। খরিদমূলে নামজারী করেন ও খাজনা দেন। যার দলিল নং-৮৪৬, তাং- ০৮/১১/১৯৮৫ইং। ৭। উক্ত আব্বাস আলী খরিদমূলে নালিশী সম্পত্তি ভোগ দখলে থাকাবস্থায় নগদ টাকার প্রয়োজনে আরমান ইসলাম ও ডাঃ নাসিমা আক্তার এর নিকট বিক্রি করে দখল বুঝিয়ে দেন, যার দলিল নং-৫১০, তারিখ- ২৭/০৩/২০৯২ইং। তারা খরিদমূলে নামজারী করেন ও খাজনা দেন। ঢাকা সিটি জরিপে তাদের মালিকানা ও দখল দৃষ্টে মাঠ খসড়া জরীপ তাদের নামে রেকর্ড হয়। বর্তমানে চ‚ড়ান্তভাবে ঢাকা সিটি জরীপের খতিয়ান নং-৮৯। ০.০৮৩+০.০৮৩=.১৬৬ অযুতাংশ রেকর্ড হয়। অবশিষ্ট ৩.৩৪ অযুতাংশ ভুলভাবে বিবাদীগণের নামে রেকর্ড হয়। ৮। উক্ত আরমান ইসলাম ও ডাঃ নাসিমা আক্তার নালিশী সম্পত্তির দেখাশুনা, রক্ষণাক্ষেন বেচাবিক্রির জন্য জাবেদ আলীকে ব্যাপক ক্ষমতাযুক্ত আম-মোক্তারনামা দলিল রেজিষ্ট্রি করে দেন। দলিল নং-৭৩৪, তাং- ১১/০৩/১১ইং। ৯। উক্ত জাবেদ আলী আম-মোক্তার নামা দলিল ক্ষমতাবলে ১নং বাদী মোসাঃ আখীঁ পারভীন এর নিকট নালিশী ৫ শতাংশ সম্পত্তি বিক্রি করে দখল বুঝিয়ে দেয়। ১নং বাদী খরিদমূলে নিজ নামে নামজারী করেন ও খাজনাদি পরিশোধ করেন। দলিল নং-৭৮৮, তাং- ২১/০৪/১১ইং। ১০। উক্ত আব্বাস আলী তার খরিদকৃত নালিশী দাগের অংশ হতে নালিশী ৫ শতাংশ সম্পত্তি মিসেস লিপি আক্তার এর নিকট বিক্রি করে দখল বুঝিয়ে দেন। দলিল নং-৬১১, তাং- ২৭/০৩/২০৯২ইং, খরিদ মূলে নামজারী করেন ও খাজনা দেন। ঢাকা সিটি জরীপে মিসেস লিপি আক্তার মালিকানা ঢাকা সিটি মাঠ জরীপে ডি.পি (খসড়া) খতিয়ানে রেকর্ডভুক্ত হয়। কিন্তু, ঢাকা সিটি জরীপের চুড়ান্তভাবে আংশিক .১৬৬ অযুতাংশ রেকর্ড হয়। অবশিষ্ট অংশ বিবাদীগণের নামে ভুলভাবে রেকর্ড হয়। ১১। উক্ত মিসেস লিপি আক্তার খরিদসূত্রে মালিক দখলকার বিদ্যমান থাকাবস্থায় নগদ টাকার প্রয়োজনে ২নং বাদী মোঃ সাগর মিয়া ও ৩নং বাদী নাছরীন আক্তার এর নিকট বিক্রি করে দখল বুঝিয়ে দেন। দলিল নং-৪৬৭, তাং- ২৮/০৬/২০০২ইং। ২নং ও ৩নং বাদী খরিদমূলে নিজেদের নামে নামজারী করেন। বাদীগণ নালিশী সম্পত্তিতে মাটি ভরাট করে পিলার দ্বারা চিহ্নিত করে ভোগদখল করে আসছে। বিবাদীগণ সহ সকলের জ্ঞাতসারে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখলে বিদ্যমান আছেন। বিবাদীগণ বা অন্য কারো নালিশী সম্পত্তিতে কোন স্বত্ব স্বার্থ দখল অধিকার কিছুই নাই। ১২। প্রকাশ থাকে যে, মামুন ইসলাম তার ভাই বোনদের সাথে ঘরোয়া আপোষ বন্টনমতে নালিশী সম্পত্তি একক দখলপ্রাপ্ত হয়ে তার নগদ টাকার প্রয়োজনে ১৯৮৩ সনে নালিশী সম্পত্তি বিক্রি করার পর মামুন ইসলাম ও তার ভাইবোন পূর্বেই ঘরোয়া আপোষ বন্টনকৃত সম্পত্তি পূনরায় বন্টননামা দলিল রেজিষ্ট্রি করেন। মামুন ইসলাম নালিশী সম্পত্তি ঘরোয়া ছাহাম প্রাপ্ত হয়ে পূর্বেই বিক্রি করার কারণে রেজিষ্ট্রি বন্টননামা দলিলে নালিশী সম্পত্তির তার ছাহামপ্রাপ্ত হয় নাই এবং অন্যান্য পক্ষগণেরও ছাহামপ্রাপ্ত হয় নাই। দলিল নং-২৩৮, তাং- ০৫/০২/১৯৭৭ইং। ১৩। বাদীগণ বিগত ০৫/০৫/২০১৫ইং তারিখে নালিশী সম্পত্তির খাজনা পরিশোধ করতে সংশ্লিষ্ট তহশীল অফিসে গেলে নালিশী সম্পত্তিতে বিবাদীর নামে ঢাকা সিটি জরিপের ভুল রেকর্ড সম্বন্ধে জানতে পারেন। তৎপূর্বে কিছুই জানতেন না। বিবাদীদের নামীয় সিটি জরীপের ভুল রেকর্ড সংশোধন করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলে বিবাদীগণ নালিশী দলিলমূলে মালিকানা দাবী করায় বাদীগণের স্বত্ব কালিমা লেপন করায় উক্ত দলিল নালিশী দলিল হিসেবে উল্লেখ করা হল। ১৪। বিগত ০৪/০৪/২০১৬ইং তারিখে সকাল অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় বিবাদীগণ ও অন্যান্য লোকজন নিয়ে নালিশী সম্পত্তি বে-দখলের চেষ্টা করে। বাদী এবং আশেপাশের লোকজনের হস্তক্ষেপের ফলে বে-দখল করতে পারে নাই। কিন্তু, বিবাদীগণ এই বলে হুমকি প্রদর্শন করে যে, ভবিষ্যতে যে কোন সময় নালিশী সম্পত্তি বে-দখল করে ঘরবাড়ী তৈরী করবে এবং বাদীগণ উক্ত কাজে বাঁধা প্রদান করলে জীবনে মেরে ফেলবে বলে হুমকি প্রদর্শন করে। বাদী আশংকা বোধ করছে যে, ভবিষ্যতে বিবাদীগণ কর্তৃক বাদী জীবন ও সম্পত্তির চরম ক্ষতির আশংকা বিদ্যমান আছে। ১৫। অত্রএব, বাদীগণের পক্ষে বিনীত নিবেদন এই যে, |
|||||||||
ক) নালিশী তফসিল বর্নিত সম্পত্তিতে বিবাদীগণ যেন জোরপূর্বক বে-দখল করতে না পারে এবং বিবাদীগন যাতে মিথ্যা, বানোয়াট দলিল সম্পাদন করে অন্য কারো নিকট বিক্রয়, হস্তান্তর করতে না পারে, তৎমর্মে বিবাদীগণের বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিতে;
এবং অত্র দরখাস্ত শুনানী ও নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিবাদীগণের বিরুদ্ধে এক অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিতে হুজুর আদালতের মর্জি হয়। |
|||||||||
হলফনামা আমি, মোঃ সাগর মিয়া, পিতা- মোঃ সোহাগ মিয়া, সাং-১৮০/৬/৭, রামপুরা, ঢাকা, হাল সাং- ফ্ল্যাট নং-এ/৭, ২, সিদ্ধেশ্বরী রোড, ঢাকা, বয়স-৪৫ বছর, ধর্ম- ইসলাম, পেশা- ব্যবসা, জাতীয়তা- বাংলাদেশী এই মর্মে হলফ করছি যে, ১। আমি হলফনামা সম্পাদন করার জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত এবং অত্র মোকদ্দমাটির ২নং বাদী বটে ২। হলফনামা সঙ্গীয় মোকদ্দমার যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে সম্যক অবগত আছি এবং আমি হলফ করতে উপযুক্ত। |
|||||||||
উপরোক্ত বর্ণনা সত্য জেনে অদ্য …………..ইং তারিখে বেলা……… ঘটিকায় বিজ্ঞ আদালতের হলফনামা কমিশনার এর সম্মুখে উপস্থিত হয়ে অত্র হলফনামায় নিজ নাম স্বাক্ষর করলাম। ——————– হলফকারী আমার পরিচিত। তিনি আমার সম্মুখে স্বাক্ষর করলে আমি তাকে সনাক্ত করলাম। ———–
|
[gs-fb-comments]