Thursday , April 25 2024

যৌতুক নিরোধ আইনের ৪ ধারা মোতাবেক একটি লিগ্যাল ড্রাফটিং

ড্রাফটিং এর বিষয়ঃ যৌতুক নিরোধ আইনের ৪ ধারা মোতাবেক একটি লিগ্যাল ড্রাফটিং সাবলীলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

সাবধানবণী

সাবধানবাণীঃ সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, অত্র পোর্টালটি একটি শিক্ষামূলক ও গবেষণামূলক পোর্টাল। এই পোর্টালে প্রকাশিত তথ্য-উপাত্ত শিক্ষামূলক। এটি কখনোই বিজ্ঞদের পরামর্শের বিকল্প নয়।

বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবের আদালত, ঢাকা।
সূত্রঃ সি.আর মামলা নং——–/২০১৯
ধারাঃ যৌতুক নিরোধ আইনের ৪ ধারা।

স্কাই স্ক্র্যাপার 120 x 600

মোছাঃ আখিঁ পারভীন (২৫)
পিতা- মোঃ বাদশা মিয়া
সাং- মধ্য বাড্ডা, পোঃ+থানা-বাড্ডা, জেলা-ঢাকা।

———— দরখাস্তকারী/বাদীনি।

বনাম

১। মোঃ করিম মিয়া (৩০)
পিতা- মোঃ আঃ রহিম

২। মোসাঃ জাহানারা বেগম
স্বামী- মোঃ আঃ রহিম

৩। মোঃ আঃ রহিম
পিতা- অজ্ঞাত
স্থায়ী সর্ব সাং- কান্ধাল
পোঃ বড়দর্গা, থানা-পীরগাছা
জেলা- ফরিদপুর।
সর্ব বর্তমান সাং- চাঁন মিয়ার ভাড়াটিয়া উপজেলা পরিষদের পিছনে, তালবাগ, থানা-মোহাম্মদপুর, জেলা-ঢাকা।

———— আসামীগণ।

স্বাক্ষীগণের নাম ও ঠিকানাঃ

১। বাদীনি নিজে।

২। জহুরা বেগম
স্বামী- মোঃ কামরুল মিয়া

৩। মোঃ ওয়াহেদুল মিয়া
পিতা- হোসেন মোহাম্মদ
সর্ব ঠিকানাঃ বাসা নং-২২/১, মোঃ গিয়াস উদ্দীন এর ভাড়াটিয়া মোহাম্মদপুর, ঢাকা।

৪। মোঃ আলম শিকদার
পিতা- সোলায়মান শিকদার
সাং- পশ্চিমকান্দি উত্তরপাড়া, পোঃ + থানা- মোহাম্মদপুর, জেলা-ঢাকা।
প্রয়োজনে আরো সাক্ষী দেওয়া যাবে।

ঘটনার তারিখ ও সময়ঃ

০২/০১/২০১৯ইং রোজ রবিবার, রাত আনুমানিক ১০.৩০ ঘটিকা।

ঘটনার স্থানঃ

সাং- চাঁন মিয়ার ভাড়াটিয়া, উপজেলা পরিষদের পিছনে, তালবাগ, থানা-মোহাম্মদপুর, জেলা- ঢাকা।

দরখাস্তকারী/বাদীনি বিনীত নিবেদন এই যে,

১। দরখাস্তকারী/বাদিনী একজন সহজ, সরল, নিরীহ এবং আইনের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল বটে। পক্ষান্তরে, বিবাদীগণ শঠ, প্রতারক, যৌতুকলোভী, নারী নির্যাতনকারী, আইন অমান্যকারী ব্যক্তি বটে।

২। দরখাস্তকারী/বাদীনির সহিত ১নং আসামীর বিগত ০৮/০৬/২০১৬ইং তারিখে ইসলামী শরীয়তের বিধান মোতাবেক রেজিষ্ট্রি কাবিনমূলে ১,০৫,০০০/- (এক লক্ষ পাঁচ হাজার) টাকা দেনমোহর ধার্যে বিবাহ হয়।

৩। বিবাহের পর বাদিনী ও ১নং আসামী গুলশান, ঢাকায় একটি অফিসে চাকুরী করে আসছিল। ২নং ও ৩নং আসামী ১নং আসামীর বর্তমান বাসায় বসবাস করে আসছে। ১নং আসামী চাকরী ছেড়ে দিলে বাদীনিকে ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা ব্যবসার জন্য তার বাবার বাড়ী থেকে যৌতুক আনার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে।

৪। বাদিনী ১নং আসামীর এরূপ প্রস্তাবে রাজী না হলে ২নং ও ৩নং আসামী বাদীনিকে বলে উল্লেখিত পরিমান টাকা যৌতুক না দিলে আমাদের ছেলেকে দিয়ে তোমাকে তালাক দিব এবং অন্যত্র আমাদের ছেলের বিবাহ দিব। বাদিনী আসামীদের এরুপ প্রস্তাব/হুমকির কথা তার পিতা ও উল্লেখিত স্বাক্ষীগণ যথা বাদীনির বড় বোন ও ভগ্নিপতিকে বললে সাক্ষীগণ আসামীগণের বর্তমান ঠিকানায় যেয়ে বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করলে ৩নং আসামী বলে ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা যৌতুক ছাড়া বাদীনিকে সংসার করতে দিব না এবং ২নং আসামী বলে প্রয়োজনে আমাদের ছেলেকে অন্যত্র যৌতুকের বিনিময়ে আবারও বিবাহ দিব এবং ১নং আসামী অন্তঃস্বত্বা বাদীনিকে মারধর করবে বলে হুমকি দেন।

৫। বাদীনি গত প্রায় ৪ মাস পূর্বে ১নং আসামীর ঔরষে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেয়। যাহার নাম মোঃ সোহেল। আসামীগণ বাদীনিকে যৌতুকের টাকার জন্য প্রায় সময় নির্যাতন করত। বাদীনি সংসার করার উদ্দেশ্যে তাদের এরূপ নির্যাতন সহ্য করে আসতেছিল। গত ২৩/১২/২০১৮ইং তারিখে রোজ রবিবার রাত আনুমানিক ৯.০০ ঘটিকার সময় ১নং আসামী বাদীনিকে বলে ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা যৌতুক এনে দে। তোর পিতাকে বলে আগামী ১০ (দশ) দিনের মধ্যে এনে দিবি। বাদীনি আসামীর উক্ত প্রস্তাব অস্বীকার করায় ১নং আসামী বাদীনির চুলের মুঠি ধরে কিল, থাপ্পর মারতে থাকে এবং ২নং ও ৩নং আসামীগণ তাহাদের বর্তমান বাসা থেকে নাবালক সন্তানসহ বাদীনিকে এক কাপড়ে বের করে দিয়ে বলে, যৌতুকের টাকা না দিতে পারলে তোকে আমরা তালাক দিব এবং আর কখনও টাকা ছাড়া এখানে আসবি না।

৬। অতঃপর, ২নং ও ৩নং সাক্ষীর বাসায় বাদিনী নিরুপায় হয়ে উপস্থিত হলে উক্ত সাক্ষীগণ ঘটনার দিন আসামীদের বর্তমান বাসায় বাদীনিকে নিয়ে উপস্থিত হলে আসামীগণ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং যৌতুকের টাকা ছাড়া আসামীরা বাদীনিকে নিয়ে সংসার করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়ে উক্ত বাসা থেকে তাদের জোর করে বের করে দেয়। উক্ত ঘটনার পর হতে বাদীনি বর্তমানে তাহার ভগ্নিপতির বর্তমান ঠিকানায় বসবাস করছে।

৭। অত্র ঘটনা বিজ্ঞ আদালতের মোহাম্মাদপুর এলাকাধীনে। আসামীগণ বাদিনীর নিকট যৌতুক চেয়ে উক্ত ধারায় অপরাধ করেছেন এবং উহার স্বপক্ষে যথেষ্ট সাক্ষী প্রমাণ আছে বিধায় বিজ্ঞ আদালতে মামলাটি আনয়ন করা হল।

উল্লম্ব ব্যানার 120 x 240

অতএব বিনীত প্রার্থনা এই যে, ন্যায় বিচারের স্বার্থে বাদীনির অত্র দরখাস্ত গ্রহণ করে আসামীগণের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করে আসামীগণকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে আটক রেখে সাক্ষী প্রমাণ গ্রহণ অন্তে সুবিচার করতে আপনার আজ্ঞা হয়;

এবং

হুুজুরের এরূপ আদেশের জন্য বাদীনি চিরকৃতজ্ঞ থাকবে। ইতি, তাং-

[gs-fb-comments]

Check Also

আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষার প্রন্তুতির জন্য দেওয়ানী কার্যবিধির ভাষ্য

দেওয়ানী কার্যবিধির ধারা-১৪ (আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষার প্রন্তুতি)

আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষার প্রন্তুতির জন্য দেওয়ানী কার্যবিধির ভাষ্য

দেওয়ানী কার্যবিধির ধারা-১৩ (আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষার প্রন্তুতি)