দন্ডবিধির ৪০৬, ৪১৭, ৫০৬, ১০৯ এবং ৩৪ ধারা মোতাবেক একটি লিগ্যাল ড্রাফটিং
ড্রাফটিং এর বিষয়ঃ দন্ডবিধির ৪০৬, ৪১৭, ৫০৬, ১০৯ এবং ৩৪ ধারা মোতাবেক একটি লিগ্যাল ড্রাফটিং সাবলীলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
মোকাম, বিজ্ঞ মূখ্য মহানগর হাকিম আদালত, ঢাকা। |
|||||||||
মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান পিতা- মোঃ মাহমুদুর রহমান সাং- ৬০, উত্তর গোড়ান, সিপাহীবাগ, খিলগাঁও, ঢাকা। ———— বাদী/অভিযোগকারী। বনাম ১। মোঃ মাজেদুল ইসলাম ২। সভাপতি ৩। মোঃ রমিজ মিয়া ———— আসামীগণ/দ্বিতীয় পক্ষ। স্বাক্ষীগণের নাম ও ঠিকানাঃ প্রয়োজনে আরও সাক্ষী হাজির করা হবে। ঘটনার তারিখ ও স্থানঃ ২০/০৪/২০১২ইং হইতে শুরু হইয়া ২০/০৫/২০১৭ইং পর্যন্ত এবং সর্বশেষ ১৪/০৮/২০১৯ ইং ঘটনার স্থানঃ আসামীগণের ঠিকানা। |
|||||||||
বাদী পক্ষের বিনীত নিবেদন এই যে,
১। অত্র সকল আসামীদের প্রস্তাব ও পরামর্শ মোতাবেক মামলার ও ১নং আসামী বিগত ২০/০৪/২০১২ইং তারিখে একটি অঙ্গীকারনামার মাধ্যমে অত্র ২নং আসামীদের প্রতিষ্ঠান “রহমান কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিঃ -এ টাকা জমাদানের লক্ষ্যে অত্র মামলার ফরিয়াদীর সহিত চুক্তিবদ্ধ হন এবং এবং সে মোতাবেক বিগত ২০/০৪/২০০১২ইং তারিখ হতে শুরু করে বিগত ২০/১৪/২০১৯ইং তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন কিস্তিমূলে প্রায় ৪০,০০,০০০/- (চল্লিশ লক্ষ) টাকা জমা প্রদান করেন এবং পরবর্তীতে বাদী বিভিন্ন মেয়াদে নিজ প্রয়োজনে প্রায় ১২,০০,০০০/-(বার লক্ষ) টাকা উত্তোলন করেন। বর্তমানে আসামীগণের সাথে বাদীর চুক্তিমত লভ্যাংশ বাদেই বাদীর জমাকৃদ প্রায় ২৮,০০,০০০/-(আটাশ লক্ষ) টাকা পাওনা আছে। যা ফেরত পেতে বাদী হকদার। টাকা জমা প্রদানের রশিদের কপি সংযুক্ত। ২। অতঃপর, বাদী আসামীগণের নিকট তার পাওনা ২৮,০০,০০০/- (আটাশ হাজার) টাকা ফেরৎ চাইলে আসামীগণ দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন তাল বাহানা করতে থাকেন। এমতাবস্থায়, বাদী তার পাওনা টাকা সমূহ পাওয়ার আশায় নিয়ামনুযায়ী বিগত ২০/০৫/২০১৯ইং তারিখে মহা-পরিচালক, বাংলাদেশ সমবায় অধিদপ্তর -এ একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু অসৎ, প্রতারক, দুর্নিতিবাজ, সন্ত্রাসী প্রকৃতির আসামীগণ তাদের বে-আইনী প্রভাব দ্বারা উক্ত কার্যক্রমকেও ফলপ্রসূ হতে দেয় নাই বটে। সমবায় অধিদপ্তরে দাখিলকৃত লিখিত অভিযোগের কপি সংযুক্ত। ৩। যেহেতু, বাদী বাংলাদেশ সমবায় অধিদপ্তরে অভিযোগের পর আসামীগণ বাদীকে বিগত ২৫/০৬/২০১৯ইং তারিখে ২নং আসামীর উপরোল্লিখিত ঠিকানায় টাকা বুঝিয়ে দিবে বলে জানান। কিন্তু, নির্দিষ্ট তারিখে উক্ত ঠিকানায় বাদী গিয়ে প্রতিষ্ঠানে তালা মারা দেখেন এবং আসামীগণের ব্যবহৃত ফোনও বন্ধ পান। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও আসামীগণ কিংবা তাদের প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারী না আসলে বাদী অসহায় হয়ে ফিরে আসে। ৪। অতঃপর, বাদী পরবর্তীতে বিভিন্ন কৌশলে আসামীগণের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেন এবং স্বাক্ষীগণের মোকাবেলায় যোগাযোগ করতে সমর্থ হলে আসামীরা সর্বশেষ বিগত ১৪/০৮/২০১৮ইং তারিখে ২নং আসামীর উল্লেখিত ঠিকানায় বাদীর পাওনা সমুদয় টাকা এক সাথে ফেরৎ দেওয়ার মৌখিক অঙ্গীকার করেন বটে। ৫। অতঃপর, বাদী বিগত ১৪/০৮/২০১৮ইং তারিখে ২নং আসামীর উল্লেখিত ঠিকানায় স্বাক্ষীগণসহ গেলে উক্ত তারিখে আসামীদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। অতঃপর, ঐ দিন বিকাল বেলায় পুনরায় আসামীদের প্রতিষ্ঠানে বাদী টাকা চাইতে গেলে এক পর্যায়ে সকল আসামীরা বাদীকে অকথ্য ও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বেশী বাড়াবাড়ি করলে জানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন এবং অত্যান্ত খারাপ ব্যবহার করে বাদীকে কোন টাকা পয়সা দিবে না মর্মে জানায়ে উক্ত স্থান হতে বের করে দেন। যা অন্যায়, অবৈধ ও বে-আইনী, বিশ্বাসভঙ্গমূলক এবং বাদীর শারীরিক মানসিক ও আর্থিক ক্ষতির সামিল, যা আইনতঃ দন্ডনীয় অপরাধ বটে। ৬। আসামীগণ বাদীর পাওনা টাকা ফেরৎ না দিয়ে বাদীর সাথে অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গ ও অ-সততার আশ্রয় নিয়েছেন এবং বাদীর সাথে দুর্ব্যবহার করে এবং হুমকি ধামকি দিয়ে বাদীর প্রাপ্য টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করেছেন, যা দন্ডবিধি ৪০৬/৪১৭/৫০৬/১০৯ ধারায় অপরাধ করেছেন বটে। ৭। বাদী সাক্ষ্য প্রমাণের দ্বারা তার মামলার ঘটনা প্রমাণ করতে পারবেন বটে। |
|||||||||
অতএব, বিনীত নিবেদন এই যে, উপরোক্ত অবস্থায়, কারণাধীনে ন্যায় বিচারের স্বার্থে বিজ্ঞ আদালত অত্র মামলাটি দন্ডবিধির ৪০৬/৪১৭/৫০৬/১০৯ ধারায় অপরাধ আমলে নিয়ে ও গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু পূর্বক আসামীগণকে জেল হাজতে প্রেরণ করে সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ অন্তে সুবিচার করতে মর্জি হয়। ইতি, তাং- | |||||||||
[gs-fb-comments]