দন্ডবিধির ৪২০, ৪০৬ এবং ৫০৬ ধারা মোতাবেক একটি লিগ্যাল ড্রাফটিং
ড্রাফটিং এর বিষয়ঃ দন্ডবিধির ৪২০, ৪০৬ এবং ৫০৬ ধারা মোতাবেক একটি লিগ্যাল ড্রাফটিং সাবলীলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
মোকাম, বিজ্ঞ মূখ্য মহানগর হাকিম সাহেবের আদালত, ঢাকা। |
|||||||||
মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ———– বাদী। বনাম মোঃ সালাম উদ্দিন ———– বিবাদী। স্বাক্ষীগণের নাম ও ঠিকানাঃ ১। বাদী নিজে ২। মোঃ জামাল হোসেন ৩। তমাল খান ৪। মোঃ সাহিরুল ইসলাম ৫। শিকদার হোসেন ঘটনার তারিখ ও সময়ঃ ১৪/০৪/২০১৯ইং আনুমানিক রাত ১০.০০ ঘটিকার সময়। ঘটনার স্থানঃ মধ্যবাড্ডা। |
|||||||||
বাদী পক্ষে বিনীত নিবেদন এই যে,
১। অত্র মামলার বাদী সহজ সরল, শান্তি প্রিয় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক এবং বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক। অন্যদিকে, আসামী একজন প্রতারক, ভূমি জালিয়াতিকারী, অপরের অর্থ আত্মসাৎকারী, বিশ্বাস ভঙ্গকারী, আইনের প্রতি অশ্রদ্ধাশীল এবং সন্ত্রাসী লালনকারী বটে। ২। অত্র বাদীর সাথে আসামী জমি ক্রয় বিক্রয় সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পরিচয় হয় এবং বাদী জমি ক্রয় করতে ইচ্ছা প্রকাশ করলে আসামী বাদীকে বলেন তার মালিকাধীন ১২ (বার) শতাংশ জমি বিক্রয় করবে। তখন আসামী বাদীকে জমি দেখান এবং কাগজপত্র প্রদর্শন করেন। বাদী ও আসামীর মধ্যে আলোচনা হলে বিগত ০৫/০১/২০১৯ইং তারিখ উপস্থিত স্বাক্ষীগণের সামনে প্রতি শতাংশ জমি ১,২০,০০০/- (এক লক্ষ বিশ হাজার) টাকা ধার্যে ১২ শতাংশ জমি ১৪,৪০,০০০/- (চৌদ্দ লক্ষ চল্লিশ হাজার) টাকা নির্ধারণ করে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে ৩০০/- টাকার নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পের মাধ্যমে আসামী কতৃর্ক ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা বায়না বাবদ গ্রহণ করে একটি বায়নানামা দলিল সম্পাদন করেন এবং বিজ্ঞ নোটারী পাবলিকের সামনে বিজ্ঞ আইনজীবী সাহেবের সনাক্ত মতে নোটারী করা হয়। শর্ত সাপেক্ষে আগামী ০৩ (তিন) মাসের মধ্যে বাকী টাকা পরিশোধ করে বাদীর জিম্মায় অথবা তার প্রতিনিধি বরাবরে সাফ কবলা দলিল রেজিষ্ট্রি সম্পাদন করে দিবেন। ৩। পরবর্তীতে, ০৫/০৪/২০১৯ইং তারিখ বাদীর নিকট আসামী বলে জমির খারিজ ও খাজনা প্রদানের জন্য ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা প্রয়োজন। তা নাহলে জমি রেজিষ্ট্রি করে দিতে দেরী হবে। সহজ সরল বাদী বিষয়টি বিশ্বাস করে আসামীকে ঐ দিন সন্ধ্যায় নগদ ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা এবং ইসলামী ব্যাংকের চেকের মাধ্যমে ৬০,০০০/- (ষাট হাজার) টাকা (যা আসামী বাদীর চেক বইয়ের মুড়িতে স্বাক্ষর করে নেয়) প্রদান করেন। কিন্তু নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হলেও আসামী জমির খাজনা ও খারিজ করতে পারে নাই এবং জমি সাব-কবলা করে দিতে তালবাহানা শুরু করে। তখন বাদীর সন্দেহ হলে বাদী স্বাক্ষীদের নিয়ে সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসে গেলে জানতে পারে আসামীর উক্ত জায়গা সরকারী খাস খতিয়ানভূক্ত। সে জালিয়াতি করে তার নামে বি.এস রেকর্ড করেছে। বিষয়টি আসামীকে বললে, আসামী একেক সময় একেক কথা বলে তালবাহানা করে। স্বাক্ষীদের নিয়ে কয়েকবার তার নিকট গেলে সময় চায়। কিন্তু, সময় প্রদানের পরও কোন সুরাহা করে না। ৫। আসামী বাদীর নিকট হতে প্রথমে ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা পরবর্তীতে ৭০,০০০/- (সত্তর হাজার) টাকা সর্বমোট ৫,৭০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ সত্তর হাজার) টাকা গ্রহণ করে এবং বিনিময়ে জমি রেজিষ্ট্রি না করে দিয়ে এবং অর্থ ফেরত দিবে না বলে বাদীর সহিত প্রতারণামূলক বিশ্বাস ও অর্থ আত্মসাৎ করার অপরাধ করেছে। যা প্রচলিত দন্ডবিধির ৪২০/৪০৬ ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এছাড়া বাদীকে হত্যা ও লাশ গুমের হুমকী দেয় বিধায় দন্ডবিধির ৫০৬ ধারায় অপরাধ করেছে। যা বিজ্ঞ আদালতের বিচার্য বিধায় বাদীর প্রতিকারার্থে বিজ্ঞ আদালতে অত্র মামলা দায়ের করা হল। ৬। সাক্ষীগণ ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন এবং বায়নানামা সম্পাদনকালে তারা উপস্থিত ছিলেন। ঘটনা বিজ্ঞ আদালতে তারা প্রমাণ করবেন। ৭। অত্র মামলার ঘটনার স্থান বিজ্ঞ আদালতের এলাকার এখতিয়ারাধীন বিধায় বাদী প্রতিকারের আশায় বিজ্ঞ আদালতে অত্র মামলা দায়ের করলেন। |
|||||||||
সেমতে, প্রার্থনা উপরোক্ত কারণাধীনে ন্যায় বিচারের স্বার্থে বাদীর জবানবন্দি গ্রহনপূর্বক আসামীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন এবং ন্যায় বিচার করতে বিজ্ঞ আদালতের মর্জি হয়। ইতি, তাং- | |||||||||
[gs-fb-comments]