Thursday , January 2 2025

কৃষি খাস জমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত নীতিমালা, পর্ব-১০

জেলা প্রশাসকের বিশেষ ক্ষমতাঃ

  • জেলা প্রশাসক স্বেচ্ছায় অথবা কোনো অভিযোগের ভিত্তিতে যে কোনো সময় সংশ্লিষ্ট নথিতে কারণ লিপিবদ্ধ করে যে কোনো বন্দোবস্ত বাতিল করতে পারবেন৷
  • জেলা প্রশাসকের রায়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আপিল করা যাবে৷ বিভাগীয় কমিশনারের সিদ্ধান্ত হবে চূড়ান্ত৷
  • এই আদেশে জেলা প্রশাসকের উপর প্রদত্ত সকল ক্ষমতা ও দায়িত্বে নিম্নোক্ত কয়টি ক্ষেত্র ছাড়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর প্রতিও প্রদত্ত হয়েছে বলে গণ্য করা হবেঃ

(ক) প্রদেয় বন্দোবস্ত বাতিল এবং

(খ) উচ্ছেদ করণের আদেশ প্রদান৷

মিউটেশন প্রক্রিয়াঃ

  • উপজেলা (রাজস্ব) কর্মকর্তা সম্পাদিত কবুলিয়ত এর কপি পাওয়ার পর তিনি তার ভিত্তিতে একটি নামজারী কেইস সৃজন/সৃষ্টি করবেন এবং ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংশোধন করে এই বন্দোবস্তকৃত জমিকে ১০ নম্বর রেজিষ্টারভুক্ত করবেন৷
  • খতিয়ানের মন্তব্য কলামে এই জমি উত্তরাধিকার সূত্র ব্যতিত হস্তান্তরযোগ্য নয়,কথাগুলি লিপিবদ্ধ করতে হবে৷
  • রেকর্ড সংশোধন করে সংযোজনী-৯ এর ছকে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ভূমিহীন ও তহশীলদারকে জানিয়ে দিতে হবে৷
  • অনুমোদিত সকল কেইস রেকর্ড উপজেলা রাজস্ব কর্মকর্তার নিকট থাকবে ৷ মামলার ক্রমিক নম্বর অনুসারে রেকর্ডগুলি সংরক্ষণ করতে হবে ৷ রেকর্ড বা রেকর্ডের অংশ হারানো বা মিস ফাইল হওয়ার জন্য উপজেলা রাজস্ব কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন৷

(১৯৯৮ সনে ১৫ সেপ্টেম্বরের গেজেটে প্রকাশিত খাস জমি বন্দোবস্ত নীতিমালার সংশোধনী মতে)

দলিল হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিক সভাঃ

  • মহামান্য রাষ্ট্রপতি দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে ভূমিহীনদের মধ্যে নিজে খাস জমি বিতরণের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন৷ মহামান্য রাষ্ট্রপতি সময় দিতে না পারলে সে সকল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে মন্ত্রি পরিষদের সদস্যবর্গ, সংসদ সদস্যবর্গ, সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক বা উপজেলা চেয়ারম্যানকে আমন্ত্রণ জানানো যেতে পারে ৷ এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক প্রয়োজনীয় যোগাযোগ করবেন৷ সকল মনোনীত ভূমিহীন নিজে উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথির নিকট থেকে জমির মালিকানা সংক্রান্ত কাগজপত্র গ্রহণ করবেন৷
  • জমিতে সরেজমিন দখলের সাথে উপরোক্ত অনুষ্ঠানের কোনো যোগাযোগ থাকবে না৷ কবুলিয়ত সম্পাদনের পরেই উপজেলা কমিটির সদস্যগণ সরেজমিনে গিয়ে সংশ্লিষ্ট তহশীলদারের উপস্থিতিতে ঢোল শহরতের মাধ্যমে ভূমিহীনকে জমির দখল বুঝিয়ে দেবেন এবং হস্তান্তর রশীদ গ্রহণ করবেন ৷ এই রশীদে উপস্থিত সদস্যগণ সাক্ষ্য হিসাবে সই করবেন এবং এটি কেইস রেকর্ডের অন্তর্ভূক্ত হবে৷ এই দখল প্রদানের সময় ভূমিহীনদের জমির সীমানা চিহ্নিত করে দিতে হবে এবং প্রত্যেক প্রাপক কর্তৃক সীমানা চিহ্ন পুতে নিতে হবে৷

(১৯৯৮ সনে ১৫ সেপ্টেম্বরের গেজেটে প্রকাশিত খাস জমি বন্দোবস্ত নীতিমালার সংশোধনী মতে)

Check Also

বাংলাদেশ বার কাউন্সিল এম.সি.কিউ পরীক্ষার প্রশ্ন, ২০১৩ (চূড়ান্ত প্রস্তুতির জন্য)

বার কাউন্সিল এম.সি.কিউ পরীক্ষার প্রশ্ন ব্যাংক বার কাউন্সিল পরীক্ষা, ২০১৩ [maxbutton id=”1″ url=”https://legalstudy24.com/bangladesh-bar-council-mcq-final-exam-2013/” text=”আবার চেষ্টা …

bangladesh bar council

হাজতী আসামীর জামিনের জন্য একটি লিগ্যাল ড্রাফটিং

ড্রাফটিং এর বিষয়ঃ হাজতী আসামীর পক্ষে জামিনের জন্য একটি লিগ্যাল ড্রাফটিং সাবলীলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। …