Friday , April 19 2024

কৃষি খাস জমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত নীতিমালা, পর্ব-১০

জেলা প্রশাসকের বিশেষ ক্ষমতাঃ

  • জেলা প্রশাসক স্বেচ্ছায় অথবা কোনো অভিযোগের ভিত্তিতে যে কোনো সময় সংশ্লিষ্ট নথিতে কারণ লিপিবদ্ধ করে যে কোনো বন্দোবস্ত বাতিল করতে পারবেন৷
  • জেলা প্রশাসকের রায়ের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আপিল করা যাবে৷ বিভাগীয় কমিশনারের সিদ্ধান্ত হবে চূড়ান্ত৷
  • এই আদেশে জেলা প্রশাসকের উপর প্রদত্ত সকল ক্ষমতা ও দায়িত্বে নিম্নোক্ত কয়টি ক্ষেত্র ছাড়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর প্রতিও প্রদত্ত হয়েছে বলে গণ্য করা হবেঃ

(ক) প্রদেয় বন্দোবস্ত বাতিল এবং

(খ) উচ্ছেদ করণের আদেশ প্রদান৷

মিউটেশন প্রক্রিয়াঃ

  • উপজেলা (রাজস্ব) কর্মকর্তা সম্পাদিত কবুলিয়ত এর কপি পাওয়ার পর তিনি তার ভিত্তিতে একটি নামজারী কেইস সৃজন/সৃষ্টি করবেন এবং ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংশোধন করে এই বন্দোবস্তকৃত জমিকে ১০ নম্বর রেজিষ্টারভুক্ত করবেন৷
  • খতিয়ানের মন্তব্য কলামে এই জমি উত্তরাধিকার সূত্র ব্যতিত হস্তান্তরযোগ্য নয়,কথাগুলি লিপিবদ্ধ করতে হবে৷
  • রেকর্ড সংশোধন করে সংযোজনী-৯ এর ছকে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ভূমিহীন ও তহশীলদারকে জানিয়ে দিতে হবে৷
  • অনুমোদিত সকল কেইস রেকর্ড উপজেলা রাজস্ব কর্মকর্তার নিকট থাকবে ৷ মামলার ক্রমিক নম্বর অনুসারে রেকর্ডগুলি সংরক্ষণ করতে হবে ৷ রেকর্ড বা রেকর্ডের অংশ হারানো বা মিস ফাইল হওয়ার জন্য উপজেলা রাজস্ব কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন৷

(১৯৯৮ সনে ১৫ সেপ্টেম্বরের গেজেটে প্রকাশিত খাস জমি বন্দোবস্ত নীতিমালার সংশোধনী মতে)

দলিল হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিক সভাঃ

  • মহামান্য রাষ্ট্রপতি দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে ভূমিহীনদের মধ্যে নিজে খাস জমি বিতরণের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন৷ মহামান্য রাষ্ট্রপতি সময় দিতে না পারলে সে সকল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে মন্ত্রি পরিষদের সদস্যবর্গ, সংসদ সদস্যবর্গ, সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক বা উপজেলা চেয়ারম্যানকে আমন্ত্রণ জানানো যেতে পারে ৷ এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক প্রয়োজনীয় যোগাযোগ করবেন৷ সকল মনোনীত ভূমিহীন নিজে উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথির নিকট থেকে জমির মালিকানা সংক্রান্ত কাগজপত্র গ্রহণ করবেন৷
  • জমিতে সরেজমিন দখলের সাথে উপরোক্ত অনুষ্ঠানের কোনো যোগাযোগ থাকবে না৷ কবুলিয়ত সম্পাদনের পরেই উপজেলা কমিটির সদস্যগণ সরেজমিনে গিয়ে সংশ্লিষ্ট তহশীলদারের উপস্থিতিতে ঢোল শহরতের মাধ্যমে ভূমিহীনকে জমির দখল বুঝিয়ে দেবেন এবং হস্তান্তর রশীদ গ্রহণ করবেন ৷ এই রশীদে উপস্থিত সদস্যগণ সাক্ষ্য হিসাবে সই করবেন এবং এটি কেইস রেকর্ডের অন্তর্ভূক্ত হবে৷ এই দখল প্রদানের সময় ভূমিহীনদের জমির সীমানা চিহ্নিত করে দিতে হবে এবং প্রত্যেক প্রাপক কর্তৃক সীমানা চিহ্ন পুতে নিতে হবে৷

(১৯৯৮ সনে ১৫ সেপ্টেম্বরের গেজেটে প্রকাশিত খাস জমি বন্দোবস্ত নীতিমালার সংশোধনী মতে)

Check Also

আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষার প্রন্তুতির জন্য দেওয়ানী কার্যবিধির ভাষ্য

দেওয়ানী কার্যবিধির ধারা-১৪ (আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষার প্রন্তুতি)