Friday , April 19 2024

কৃষি খাস জমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত নীতিমালা, পর্ব-১১

অকৃষি খাসজমি বন্দোবস্ত সংক্রান্তঃ

  • বাজার দর অনুযায়ী জমির উপযুক্ত মূল্য পরিশোধ করতে হবে।
  • ধর্মীয় উপাসনালয়, এতিমখানা, কবরস্থান ও শ্নশানঘাট স্থাপনের জন্য পরিমাণমত জমি বন্দোবস্ত দেয়া যাবে। এই ক্ষেত্রে বাজারদর অনুযায়ী জমির মূল্য নির্ধারণ করে নির্ধারিত মূল্যের ১০% মূল্যে বন্দোবস্ত দেওয়া যাবে।
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য পরিমাণমত জমি নির্ধারিত মূল্যের ১০% মূল্যে বন্দোবস্ত দেয়া হবে।
  • প্রাকৃতিক দূর্যোগজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ও সরকার কর্তৃক বৈধভাবে পূণনির্বাসিত লোকজনকে সংশ্লিষ্ট জমি সরকারের অন্য কোন প্রয়োজনে না লাগলে দখল বিবেচনায়  এনে পরিবার প্রতি সর্বোচ্চ ০.০৫ একর (পাঁচ শতাংশ) জমি দীর্ঘ মেয়াদী বন্দোবস্ত দেয়া যাবে। তবে নারায়নগঞ্জসহ ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় এবং চট্রগ্রাম মেট্র্রোপলিটন এলাকায় এই ধরণের বন্দোবস্ত দেয়া যাবে না।
  • বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, কবি, সাহিত্যিক বা জাতীয় পর্যায়ে নিজ অবদানের জন্য বিশেষভাবে স্বীকৃত ব্যক্তিকে সরকার প্রধানের অনুমোদনক্রমে মেট্রোপলিটন এলাকায় সর্বোচ্চ ০.০৫ একর (পাঁচ শতাংশ) এবং মেট্রোপলিটন এলাকার বাহিরে সর্বোচ্চ ০.০৮ একর (আট শতাংশ) পর্যন্ত জমি বাজার দরে বন্দোবস্ত দেয়া যাবে। তবে এই ক্ষেত্রে সরকার প্রধান ইচ্ছা করলে  রায়তী মূল্যে বন্দোবস্তের আদেশ দিতে পারবেন।
  • প্রবাসী বাংলাদেশীরা যদি রেজিষ্ট্রিকৃত সমবায় এর মাধ্যমে বহুতল বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ (নূন্যপক্ষে পাঁচতলা ভবন হতে হবে) এর জন্য জমি বন্দোবস্ত নিতে চান তাহলে তাদেরকে মেট্রোপলিটন এলাকায় সর্বোচ্চ ১.০ একর এবং জেলা শহরে সর্বোচ্চ ৩.০ একর পর্যন্ত জমি বন্দোবস্ত দেয়া যাবে। তবে এইক্ষেত্রে তাদেরকে জমির সমুদয় মূল্য বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধ করতে হবে এবং তাদের দলে একই পরিবারের একজনের বেশী সদস্য থাকতে পারবেন না। বহুতল বিশিষ্ট ভবনের জন্য সমবায়ের প্রতি দুইজন সদস্যের জন্য ০.০২৫ একর (২.৫ শতাংশ) হিসেবে জমির পরিমাণ নির্ধারণ করে বন্দোবস্ত দেয়া হবে।
  • শহর এলাকার বাহিরে শিল্প স্থাপনের জন্য আবেদনকারী যদি মোট প্রয়োজনীয় জমির ৩/৪ অংশ নিজে সংগ্রহ করেন তাহলে সর্বোচ্চ অংশ পরিমাণ সংলগ্ন খাস জমি বাজার দরে বন্দোবস্ত দেয়া যাবে।
  • অন্ততঃ ১০ বছরের বেশী সময় ধরে নিয়মিতভাবে সরকারী পাওনা পরিশোধ করে একসনা লীজমূলে জমির দখলে আছেন এমন লোকদেরকে সর্বোচ্চ ০.০৫ একর (পাঁচ শতাংশ) জমি বাজার দরে বন্দোবস্ত দেয়া যাবে।

(১৯৯৫ সালের ৮ই মার্চে প্রকাশিত বাংলাদেশ গেজেটের মাধ্যমে জারীকরা খাস  জমি বন্দোবস্ত নীতিমালা মতে)

Check Also

আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষার প্রন্তুতির জন্য দেওয়ানী কার্যবিধির ভাষ্য

দেওয়ানী কার্যবিধির ধারা-১৪ (আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষার প্রন্তুতি)