কৃষি খাস জমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত নীতিমালা, পর্ব-১২
অকৃষি খাসজমি বন্দোবস্ত সংক্রান্তঃ
- যে সকল অধিগ্রহণকৃত জমি পুনঃগ্রহণের মাধ্যমে খাস করা হয়েছে বা হবে সেই সকল জমির মূল মালিক বা তার বৈধ উত্তরাধিকারীদেরকে ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রদত্ত অর্থ সমন্বয় না করে বাজারদরে মেট্রোপলিটন এলাকায় সর্বোচ্চ ০.০৮ একর (আট শতাংশ) জেলা ও থানা সদরে এবং পৌর এলাকার সর্বোচ্চ ০.১৬ একর (ষোল শতাংশ) এবং এর বাইরের এলাকায় সর্বোচ্চ ০.৩২ একর (বত্রিশ শতাংশ) জমি বন্দোবস্ত দেয়া যাবে। প্রত্যেক ক্ষেত্রে জমির পরিমাণ তার নিকট হতে অধিগ্রহণকৃত জমির অর্ধেক অপেক্ষা বেশী হতে পারবে না। তবে কাউকে শহর এলাকায় মোট ০.০৪ একর (চার শতাংশ) এবং পল্লী এলাকায় ০.১০ একর (দশ শতাংশ) অপেক্ষা কমও দেয়া হবে না। তাছাড়া যেহেতু বন্দোবস্ত গ্রহীতা জমির পূরাতন মালিক, সেহেতু তাকে অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে। অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্থ এমন ভূমি মালিকের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র একজনকেই সুবিধা দেয়া হবে। এইরূপ বন্দোবস্ত প্রদানে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে।
- মেট্রোপলিটন এলাকা এবং জেলা শহরের বাইরে গবাদিপশু বা দুগ্ধ খামার হাঁস-মুরগীর খামার স্থাপনের জন্য অকৃষি খাস জমি বন্দোবস্ত দেয়া যাবে। তবে এই ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকল্পটি অনুমোদিত হতে হবে। হাঁস-মুরগীর খামারের জন্য সর্বোচ্চ ২.০ একর ও দুগ্ধ খামারের জন্য সর্বোচ্চ ৫.০ একর জমি বন্দোবস্ত দেয়া যাবে। বন্দোবস্ত প্রাথমিকভাবে ১০ বত্সরের জন্য দেয়া যাবে। প্রথম ৫ (পাঁচ) বছরের মধ্যে যদি প্রকল্পটি পুরাপুরি প্রকল্প পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়িত এবং বন্দোবস্তের সকল শর্ত যথাযথভাবে পালিত হয় তাহলে একই জমি পরিবর্তে সন্তোষজনক পরিচালনার শর্তে দীর্ঘ মেয়াদী বন্দোবস্তে রুপান্তর করা যাবে। তবে প্রথম পাঁচ বছরের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়িত না হলে বা পরবর্তীতে যে কোন সময় পরিত্যক্ত হলে বা বন্দোবস্তের শর্ত যথাযথভাবে পালিত না হলে বন্দোবস্তের যে কোনো সময় বাতিল করবার শর্ত চুক্তিপত্রে অন্তর্ভূক্ত থাকবে। যদি কেহ নিজ জমিতে হাঁস-মুরগীর খামার বা দুগ্ধ খামার করে থাকেন তা হলে তাকে তার খামারের সংলগ্ন খাস জমি উপরোক্ত নিয়মে বন্দোবস্ত দেয়া যাবে।
(১৯৯৫ সালের ৮ই মার্চে প্রকাশিত বাংলাদেশ গেজেটের মাধ্যমে জারি করা খাস জমি বন্দোবস্ত নীতিমালা মতে)