Friday , March 29 2024

ফৌজদারী কার্যবিধির ২৪১(ক) ধারা মোতাবেক মামলার দায় হতে অব্যাহতির আবেদন।

বিঃদ্রঃ নিম্নে ড্রাফটিং এর কাল্পনিক তথ্য পর্যাক্রমিকভাবে উপস্থাপন করা হল এবং এই তথ্যগুলো কিভাবে সাজিয়ে লিখতে হয় তা পিডিএফ ফাইলের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হল। আশাকরি সকলেই উপকৃত হবেন।

বিষয়ঃ ফৌজদারী কার্যবিধির ২৪১(ক) ধারা মোতাবেক মামলার দায় হতে দরখাস্তকারী আসামীদের অব্যাহতির আবেদন।

দরখাস্তকারী আসামীগণের পক্ষে বিনীত নিবেদন এই যে,

১। অত্র মামলায় অদ্য অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য আছে।

২। অত্র মামলার সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পর্যালোচনা করলে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের কোন উপাদান পাওয়া যাবে না।

৩। অত্র মামলায় এজাহারে কোন আসামীর নাম নাই।

৪। ঘটনার সময় যারা উপস্থিত ছিল তাদের মধ্যে ৭ জন লোকের নাম এজাহারে উল্লেখ করা আছে। উক্ত উপস্থিত ৭ জনের মধ্যে ৪ জনের নাম অভিযোগপত্রে সাক্ষী হিসাবে উল্লেখ আছে।

৫। অত্র মামলায় ১৩ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ৮ জন পাবলিক সাক্ষী, যারা সকলে রাজউক অফিসে কর্মরত আছেন এবং সাক্ষী ঘটনার পরের দিন অর্থাৎ ——— তারিখে তদন্তকারী অফিসারের নিকট ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬১ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেছেন। এরপর আর কোন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি। অথচ তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযোগপত্র দাখিল করিলেন ———— তারিখে। সকল সাক্ষীর জবানবন্দী গ্রহণ করার পরে ১ বছর ৯ মাস পরে অত্র অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করিলেন, যা বোধগম্য নয়।

৬। অত্র মামলার এজাহারে বাদী বর্ণনা করেছেন ———- তারিখে বেলা —— ঘটিকার সময় রাজউকের চেয়ারম্যান মহোদয়ের কক্ষে সকল সদস্য পরিচালকের উপস্থিতিতে গনশুনানী, পূর্বাঞ্চল প্লটের জামানত ফেরত দানের বিষয়টি এবং রাজউকের কর্মচারীদের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের সাথে পূর্ব সিডিউল মোতাবেক বিভিন্ন দাবী দাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। চেয়ারম্যান মহোদয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের সাথে এ বিষয়ে আলাপ আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বললে নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিগণ চলে যায়। কর্মচারী নেতৃবৃন্দ চলে যাওয়ার কিছুক্ষন পর বিকাল —– ঘটিকার দিকে ৮ম বার্ষিকীর পরিচালনা সভা চলাকালে ৭০-৮০ জনের ওয়ার্ক চাজর্ড কর্মচারীদের একটি দল উত্তেজিত হয়ে চেয়ারম্যান মহোদয়ের কক্ষে প্রবেশ করার চেষ্টা চালান এবং দরজায় লাথি মারে। যারা বাধাদানের চেষ্টা করে তাদেরকেও কিল, ঘুষি মেরে আহত করার চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে পূর্ব দিকের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। উপরোক্ত এহাজার পর্যালোচনা এবং ৭ জন সাক্ষীর ১৬১ ধারার জবান বন্দী পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে যে, কে কাকে মেরেছে, কে বাধা দিল, কে দরজায় লাথি মারল, কে কি অপরাধ করল তার কোন সন্ধান বা বর্ণনা পাওয়া যাবে না। কোন আসামীর বিরুদ্ধে সুর্নিদিষ্টিভাবে বা আকার ইঙ্গিতে কোন অপরাধের সন্ধান পাওয়া যাবে না।

৭। অত্র মামলা রাজউক অফিসের কোন কর্মচারীকে কোন আসামী মেরেছে সুনির্দিষ্টভাবে তার কোন বর্ণনা এজাহারে বা সাক্ষীদের জবান বন্দীতে কোথাও নাই। কি ভাংচুর করেছে, ক্ষতির পরিমান কত তার কোন উল্লেখ নাই। আসামীরা রাজউকের কর্মচারী কাজেই অবৈধ সমাবেশ বা অনধিকার প্রবেশের কোন প্রশ্নই আসে না।

৮। চেয়ারম্যান মহোদয়কে গালি-গালাজ করার কথা থাকলেও এই মামলায় চেয়ারম্যান মহোয়দকে সাক্ষী রাখা হয় নাই।

৯। এই মামলায় চার্জ গঠন করার মত কোন উপাদান নাই।

১০। অন্যান্য বক্তব্য মৌখিকভাবে বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করা হবে।

অতএব, বিজ্ঞ আদালতের নিকট প্রার্থনা, অত্র দরখাস্ত গ্রহন করতঃ আসামীদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের মত কোন উপাদান বিদ্যমান না থাকায় অত্র মামলার দায় হতে আসামীদেরকে অব্যাহতি দানের আদশ প্রদান করিয়া সুবিচার করতে হুজুর আদালতের মর্জি হয়। ইতি, তাং ————।