নিলাম সংক্রান্ত অধিকার, লংঘন ও প্রতিকার, পর্ব-০৪
নিলাম চূড়ান্তকরণঃ নিলাম বিক্রয়ের পর যদি ৩০ দিন অতিবাহিত হয় এবং (দি পাবলিক ডিমান্ড রিকভারী এক্ট ১৯১৩ আইনের) ২২ এবং ২৪ ধারা অনুসারে নিলাম রদের কোন আবেদন না হয় বা আবেদন অগ্রাহ্য হয় এবং ২৩ ধারার কোন অনিয়ম (নিলাম কার্যক্রমে) না হয় তবে সার্টিফিকেট অফিসার ২৫ ধারা মতে নিলাম চূড়ান্তকরণের ঘোষণা দিবেন। আর যুক্তিসংগত কারণে নিলাম রদের আবেদন গৃহীত হলে সার্টিফিকেট অফিসার নিলাম রদের ঘোষণা দিবেন এবং এ সম্পর্কে নোটিস জারী করবেন। (দি পাবলিক ডিমান্ড রিকভারী এ্যাক্ট ১৯১৩ আইনের ২৫ ধারা)
নিলামে প্রাপ্ত অর্থের বন্টন পদ্ধতিঃ নিলামে প্রাপ্ত অর্থের বন্টন নিম্নরূপ ভাবে হয়ে থাকে-
- সার্টিফিকেট পাওনাদারকে খরচ (সার্টিফিকেট কার্যক্রমের খরচ) প্রথমে দিতে হবে।
- যে প্রাপ্যের জন্য সার্টিফিকেট কার্যকর করে টাকা আদায় করা হয়েছে তা পাওনাদারকে দিতে হবে।
- উল্লেখিত অর্থ পরিশোধের পর অর্থ অবশিষ্ট থাকলে তা দেনাদেরকে দিতে হবে। {১ঌ১৩ সালের সরকারী পাওনা আদায় আইনের (পি. ডি. আর. এক্টের) ২৬ ধারা মতে}
দখল গ্রহনঃ নিলাম ক্রেতাকে নিলামী সম্পত্তির দখল গ্রহণে বাধা দিলে তা সরকার কতৃর্ক নিধার্রিত সার্টিফিকেট অফিসারকে অবহিত করলে, সার্টিফিকেট অফিসার প্রয়োজনীয় শুনানী শেষে এ বিষয়ে আদেশ প্রদান করবেন ৷ প্রয়োজনে বাধা দানকারীকে সিভিল জেলে আটক রাখা যাবে।
সম্পত্তি নিলাম হলে তার প্রতিকারঃ
- আপিল, রিভিশন এবং রিভিউ এর অধিকার।
- কোন ব্যক্তির সম্পত্তি নিলাম হলে নিলামের বিরদ্ধে বিভাগীয় কমিশনারের নিকট আপিল।
- ভূমি আপিল বোর্ডে রিভিশন এবং
- সংশ্লিষ্ট সার্টিফিকেট অফিসারের নিকট রিভিউ করা যাবে।
আপিলঃ ১৯১৩ সালের সরকারী পাওনা আদায় আইনের ৫১ ধারা মতে সার্টিফিকেট অফিসারের আদেশের বিরুদ্ধে আদেশদানের ১৫ দিনের মধ্যে কালেক্টরের নিকট, কালেক্টরের আদেশের বিরুদ্ধে আদেশ দানের ৩০ দিনের মধ্যে বিভাগীয় কমিশনারের নিকট আপিল করা যাবে।
রিভিশনঃ ১৯১৩ সালের সরকারী পাওনা আদায় আইনের ৫৩ ধারা মতে সার্টিফিকেট অফিসারের আদেশ কালেক্টরের নিকট এবং কালেক্টর প্রদত্ত আদেশ বিভাগীয় কমিশনারের নিকট এবং বিভাগীয় কমিশনার প্রদত্ত যে কোন আদেশ ভূমি আপিল বোর্ডের নিকট আদেশ দানের তারিখ হতে ৩০ দিনের মধ্যে রিভিশন/সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে।
রিভিউঃ আদেশদানকারী সার্টিফিকেট অফিসার নিজের বা তার স্থলবতী সার্টিফিকেট অফিসারের আদেশ এর ভুল ত্রুটির সংশোধনের লক্ষ্যে আদেশটি রিভিউ (পুনঃবিচার) করতে পারবেন। (১৯১৩ সালের সরকারী পাওনা আদায় আইনের ধারা ৫৪)