নিলাম সংক্রান্ত অধিকার, লংঘন ও প্রতিকার, পর্ব-০৫
সার্টিফিকেট সহকারীর কাজঃ
- সার্টিফিকেট রিকুইজিশন পাওয়ার পর তা যাচাই ও আদেশপত্রভুক্ত করে সার্টিফিকেট অফিসারের নিকট পেশ করা;
- সার্টিফিকেট অফিসার সার্টিফিকেটে স্বাক্ষর করলে তা রেজিস্টারে এন্ট্রি করা;
- সার্টিফিকেট দেনাদারের বরাবরে ৭ ধারার নোটিস জারীর ব্যবস্থা করা;
- যথাযথভাবে জারী নোটিসের এস.আর. সহ নথি সার্টিফিকেট অফিসারের নিকট উপস্থাপন করা;
- ধার্য তারিখে নথি উপস্থাপনের সুবিধার্থে ফরোয়ার্ড ডাইরী সংরক্ষণ করা;
- নিলাম ইস্তেহার, ক্রোক আদেশসহ সকল আদেশ যথাসময়ে তামিল করা;
- পাওনা আদায়ের প্রতিবেদন/নিষ্পত্তি প্রতিবেদন পাবার পর তা রেজিষ্টারে এন্ট্রি করে রেজিষ্টার ও নথি সার্টিফিকেট অফিসারের স্বাক্ষরের মাধ্যমে কেসটি নিষ্পত্তি করা;
- আদায় প্রতিবেদন কোর্ট ফি দেখে তা কোর্ট ফি রেজিষ্টারে এন্ট্রি করা;
- মাঝে মাঝে তহসিল অফিস হতে রেজিষ্টার নিয়ে এসে নিজ অফিসের রেজিষ্টারের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা এবং
- কোনো গড়মিল থাকলে সংশোধন করা;
- নিষ্পত্তিকৃত নথিসহ সকল নথি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা।
রেন্ট সার্টিফিকেট সংক্রান্ত মামলায় যা জানা দরকারঃ
- ১৯১৩ সালের সরকারী পাওনা আদায় আইনের (পি.ডি. আর. এক্টের) ৪৯ ধারায় সার্টিফিকেট অফিসারকে এ আইনের অধীনে কাজ করার সময় দেওয়ানী আদালতের ক্ষমতা ভোগের অধিকার দেয়া হয়েছে।
- ১৯০৮ সালের তামাদী আইনের ১৪ ধারা মতে সার্টিফিকেট অফিসার কোর্ট/আদালত হিসেবে গণ্য হবেন তাই তিনি জুডিসিয়াল অফিসার্স প্রটেকশন এক্ট ১৮৫০ এর সুবিধা ভোগ করবেন।
- এক বছরের বকেয়ার জন্য সার্টিফিকেট মামলা দায়ের করা যাবে।
- সর্বোপরি বকেয়া তিন বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই তহসিলদারকে সার্টিফিকেট রিকুইজিশন দাখিল করতে হবে।
অন্যথায় বকেয়া তামাদি দোষে বারিত হবে ।
পুনঃ মোকদ্দমাঃ একটি সার্টিফিকেট মোকদ্দমা চালু থাকার পরও বকেয়া আদায় না হলে এবং পরবর্তীতে আরও পাওনা হলে পরবর্তী পাওনা তিন বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই দ্বিতীয় আরেকটি সার্টিফিকেট মোকদ্দমা দায়ের করতে হবে; এভাবে মোকদ্দমা দায়ের চলতে থাকবে, তাতে পাওনা অন্তত তামাদি হবে না। নতুন মোকদ্দমায় পূর্বের মোকদ্দমার বিষয়টি উল্লেখ করতে হবে।