Friday , December 12 2025
👁️ আজকের ভিউ: 2,783 | মোট ভিউ: 84,694
Bar Council exam MCQ model test, বার কাউন্সিল পরীক্ষা, Bangladesh Bar Council official resources
বার কাউন্সিল পরীক্ষার প্রস্তুতি এখন অনলাইনে!

Section 7. Relief not granted to enforce penal law | দণ্ড আইন প্রয়োগের উদ্দেশ্যে প্রতিকার মঞ্জুর করা হয় না

সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের সূচীপত্রে ফিরে যান।

বার কাউন্সিল পরীক্ষার প্রস্তুতির (Bar Council Exam Preparation) জন্য সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ধারা ৭ এর বিশ্লেষণ।

Section 7. Relief not granted to enforce penal law:

Specific relief cannot be granted for the mere purpose of enforcing a penal law.

ধারা ৭। দণ্ড আইন প্রয়োগের উদ্দেশ্যে প্রতিকার মঞ্জুর করা হয় নাঃ

কেবলমাত্র কোনো দণ্ড আইন প্রয়োগের উদ্দেশ্যে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার মঞ্জুর করা যায় না।

বিশ্লেষণাত্মক আলোচনাঃ

এই ধারাটি সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, ১৮৭৭ এর একটি গুরুত্বপূর্ণ সীমাবদ্ধতা নিয়ে আলোচনা করে। এটি একটি মৌলিক আইনি নীতি প্রতিষ্ঠা করে “দেওয়ানি আদালত দণ্ডবিধির প্রয়োগের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রতিকার দেবে না”।

ধারাটির মূল বিষয়বস্তুঃ

সহজ কথায়, এই ধারাটি বলে যে, আপনি শুধুমাত্র কোনো ফৌজদারী অপরাধের জন্য শাস্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার (যেমনঃ সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন বা নিষেধাজ্ঞা) চাইতে পারবেন না। সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন একটি দেওয়ানী আইন, যা ব্যক্তিগত অধিকার এবং বাধ্যবাধকতার সাথে সম্পর্কিত। অন্যদিকে, দণ্ডবিধি বা ফৌজদারী আইন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং তার জন্য শাস্তির বিধান করে।

দেওয়ানী এবং ফৌজদারী আইনের মধ্যে পার্থক্যঃ

  • দেওয়ানী আইনঃ এর লক্ষ্য হলো ব্যক্তিগত অধিকার লঙ্ঘন হলে ক্ষতিপূরণ বা প্রতিকার প্রদান করা। যেমনঃ চুক্তির শর্ত ভঙ্গ বা সম্পত্তির অধিকার লঙ্ঘন। প্রতিকার সাধারণত আর্থিক ক্ষতিপূরণ বা নির্দিষ্ট কাজ করার আদেশ হতে পারে।
  • ফৌজদারী আইনঃ এর লক্ষ্য হলো রাষ্ট্র এবং সমাজের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার এবং অপরাধীদের শাস্তি প্রদান করা। এর মধ্যে জরিমানা, কারাদণ্ড বা অন্যান্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত।

ধারা ৭ এই দুটি ভিন্ন আইনি ব্যবস্থার মধ্যে একটি স্পষ্ট বিভাজন রেখা টানে। উদাহরণস্বরূপ, যদি একজন ব্যক্তি আরেকজনের সম্পত্তি চুরি করে, তবে চুরি একটি ফৌজদারী অপরাধ। এর জন্য প্রতিকার হলো আদালতের মাধ্যমে বিচার এবং দোষী সাব্যস্ত হলে কারাদণ্ড বা জরিমানা। এক্ষেত্রে, আপনি সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের অধীনে চোরকে শাস্তি দেওয়ার জন্য আদালতে কোনো প্রতিকার চাইতে পারবেন না। তবে, আপনি যদি আপনার চুরি যাওয়া সম্পত্তি ফেরত চান, তাহলে সেটি দেওয়ানী আইনের অধীনে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব।

কেন এই ধারাটি গুরুত্বপূর্ণ?

এই ধারাটি দুটি প্রধান কারণে গুরুত্বপূর্ণঃ

  • আইনি এখতিয়ারের স্পষ্টতাঃ এটি দেওয়ানী এবং ফৌজদারী আদালতের এখতিয়ারের মধ্যেকার পার্থক্য স্পষ্ট করে। দেওয়ানী আদালত ব্যক্তিগত অধিকার লঙ্ঘনের প্রতিকার নিয়ে কাজ করবে, আর ফৌজদারী আদালত অপরাধের বিচার করবে।
  • ক্ষতিপূরণের বিকল্প নয়ঃ এটি নিশ্চিত করে যে দেওয়ানী প্রতিকারকে ফৌজদারী শাস্তির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। এটি আইনি প্রক্রিয়ায় শৃঙ্খলা বজায় রাখে এবং বিচার ব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্যকে রক্ষা করে।

সংক্ষেপে, ধারা ৭ একটি মৌলিক আইনি নীতি প্রতিষ্ঠা করে যে, সুনির্দিষ্ট প্রতিকার একটি দেওয়ানী প্রতিকার, যা শুধুমাত্র ব্যক্তিগত অধিকার ও বাধ্যবাধকতার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এটি অপরাধের বিচার বা দণ্ডবিধির প্রয়োগের জন্য নয়। এই ধারাটি দেওয়ানী এবং ফৌজদারী আইনের মৌলিক পার্থক্য এবং তাদের নিজ নিজ কার্যকারিতা সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা দেয়।

📱 অ্যাপ ডাউনলোড করুন — দ্রুত

অ্যাপ ইন্সটল করে সবকিছু এক জায়গায় দেখুন।

আপনার মূল্যবান মন্তব্য লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Index