Friday , March 29 2024

বর্গা চাষ, পর্ব-০১

বর্গা চাষ কি?

কোনো ব্যক্তি যখন কোনো জমির মূল মালিকের নিকট হতে কোনো নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য ঐ জমি হতে ফসলের ভাগ দেবার শর্তে জমি চাষাবাদ করে  তখন ঐ ধরনের চাষাবাদকে বর্গা চাষ বলে। (১৯৮৪ সালের ভুমি সংস্কার অধ্যাদেশ মতে)

বর্গা চাষ সংক্রান্ত অধিকারঃ

  • বর্গাদারের সাথে জমির মালিকের বর্গাচাষ সংক্রান্ত চুক্তি সম্পাদনের অধিকার এবং চুক্তির ব্যাপারে একমত হওয়ার পর চুক্তি সম্পাদনের জন্য সময় পাবার অধিকার। (১৯৮৪ সালের ভূমি সংস্কার অধ্যাদেশের ৯(১) ধারা)
  • জমি বর্গা দেওয়ার অধিকার এবং বর্গা চাষ করার অধিকার। {১৯৮৪ সালের ভূমি সংস্কার অধ্যাদেশের ৮(১) ধারা}
  • বর্গা জমি হতে উত্পন্ন ফসলের ভাগ পাবার অধিকার। (১৯৮৪ সালের ভূমি সংস্কার অধ্যাদেশের ১২ ধারা)
  • বর্গাকৃত জমিটি নির্ধারিত সময়ের জন্য ভোগ দখলের অধিকার। {১ঌ৮৪ সালের ভূমি সংস্কার অধ্যাদেশের ৮(২)ধারা}
  • চুক্তি সম্পাদন নিয়ে কোনো সমস্যার সৃষ্টি হলে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করার অধিকার। {১৯৮৪ সালের ভূমি সংস্কার অধ্যাদেশের ৯(৩) ধারা}
  • বর্গাদার কোনো বর্গাচুক্তির কোনো শর্ত লংঘন করলে জমির মালিক কর্তৃক জমি ফিরিয়ে নেয়ার অধিকার। {১৯৮৪ সালের ভূমি সংস্কার অধ্যাদেশের ১১ ধারা}
  • সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ব্যক্তি যদি বর্গা জমির ফসল বিক্রির করার দায়িত্ব নিয়ে থাকে সেক্ষেত্রে বর্গাদারের রশিদ পাবার অধিকার। {১৯৮৪ সালের ভূমি সংস্কার অধ্যাদেশের ১২(৮) ধারা}
  • বর্গা জমিটি যদি জমির মালিক বিক্রির ইচ্ছা পোষণ করে সেক্ষেত্রে জমিটি ক্রয়ের জন্য বর্গাদারের অধিকার। (১৯৮৪ সালের ভূমি সংস্কার অধ্যাদেশের ১৩ ধারা)
  • নির্দিষ্ট পরিমাণ জমি বর্গা নেয়ার অধিকার। (১৯৮৪ সালের ভূমি সংস্কার অধ্যাদেশের ১৪ ধারা)
  • বর্গা জমির উত্‌পন্ন ফসল গোলাজাত করার জন্য জমির মালিক ও বর্গাদারের মধ্যে আলোচনার অধিকার। {১৯৮৪ সালের ভূমি সংস্কার অধ্যাদেশের ১২(২) ধারা}
  • গোলাজাত সংক্রান্ত ব্যাপারে মনিব ও বর্গাদারের মধ্যে আপোষ মীমাংসা না হলে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করার অধিকার।
  • নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল কর্তৃপক্ষের নিকট  আপিলের অধিকার। {১৯৮৪ সালের ভূমি সংস্কার অধ্যাদেশের ১৭(২)ধারা}

পর্ব-০২ >>>