Thursday , April 18 2024

বর্গা চাষ, পর্ব-০৪

বর্গাদারের মৃত্যুর পর বর্গা জমির চাষ পদ্ধতিঃ

  • যে ক্ষেত্রে কোনো বর্গাদার বর্গাচুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বেই মারা যান সেক্ষেত্রে বর্গাচুক্তির মেয়াদ অবসান না হওয়া পর্যন্ত মৃত বর্গাদারের পরিবারের জীবিত সদস্যগণ বর্গা জমির চাষ অব্যাহত রাখতে পারেন।
  • যে ক্ষেত্রে বর্গাদার তার পরিবারের উক্ত জমি চাষ করবার মত অবস্থায় কোনো ব্যক্তিকে না রেখে মারা যান,সেক্ষেত্রে জমির মনিব বা জমির মালিক জমি ব্যক্তিগত চাষের অধীনে আনতে পারেন অথবা অন্য কোনো বর্গাদারকে উক্ত জমি চাষের অনুমোদন দিতে পারেন। (১৯৮৪ সালের ভূমি সংস্কার অধ্যাদেশের ১০ ধারা)

বর্গাচুক্তির অবসানঃ

  • বর্গাদার কোনো যুক্তি সঙ্গত কারণ ছাড়া যদি বর্গাজমি চাষ করতে ব্যর্থ হন।
  • বর্গাদার কোনো যুক্তি সঙ্গত কারণ ছাড়া যদি সংশ্লিষ্ট একই এলাকায় অবস্থিত বর্গাজমির অনুরূপ কোনো জমিতে যে পরিমাণ শষ্য উৎপন্ন হওয়া স্বাভাবিক সেই পরিমাণ শষ্য উৎপন্ন করতে ব্যর্থ হন।
  • বর্গাদার যদি বর্গাজমিটি সম্পূর্ণ বা আংশিক ভাবে কৃষি ব্যতীত অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেন।
  • বর্গাদার যদি স্বেচ্ছায় বর্গাজমিতে চাষের অধিকার পরিত্যাগ করেন তাহলেও বর্গা চুক্তির অবসান ঘটবে।
  • বর্গা জমিটি যদি বর্গাদার নিজে চাষ না করে অন্য কোন ব্যক্তিকে চাষ করতে দেন সেক্ষেত্রেও বর্গা চুক্তির অবসান ঘটবে।
  • বর্গাজমিটি যদি বর্গাজমির মালিকের বা মনিবের ব্যক্তিগত চাষের জন্য বা ব্যবহারের জন্য প্রকৃত পক্ষে বিশেষ প্রয়োজন হয়।
  • বর্গাদার যদি ১৯৮৪ সালের ভূমি সংস্কার অধ্যাদেশের কোন বিধি বিধান লংঘন করেন৷ (১৯৮৪ সালের ভূমি সংস্কার অধ্যাদেশের ১১ ধারায় বর্গাচুক্তির অবসানের বিধানাবলীর কথা বলা হয়েছে)

উল্লেখ্য যে, যদি কোনো বর্গা জমির মালিক বর্গাচুক্তির অবসান ঘটিয়ে তার ব্যক্তিগত চাষের জন্য জমিটি ব্যবহার না করে ২৪ মাসের মধ্যে অন্য কাউকে বর্গা দেন তাহলে পূর্ববর্তী বর্গাদার নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ নতুন বর্গাদার  দখল উচ্ছেদ করে মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত পূর্ববর্তী বর্গা গ্রহণকারী বর্গাদারের দখলে বহাল রাখার নির্দেশ দিবেন৷ {১৯৮৪ সালের ভূমি সংস্কার অধ্যাদেশের ১৯(২) ধারা}

<<< পর্ব-০৩ পর্ব-০৫ >>>

Check Also

সরকারি ও বেসরকারি চাকুরির প্রিলিমিনারি পরিক্ষার প্রস্তুতি (আর্ন্তজাতিক বিষয়াবলী)