Friday , March 29 2024

বর্গা চাষ, পর্ব-০৫

বর্গা জমির উত্‍পন্ন ফসলের ভাগ এবং ফসলের ভাগ সংক্রান্ত বিষয়ে যা যা করণীয়ঃ

  • বর্গা জমিটি চাষ করার জন্য চাষের ব্যয় ভার যে বহন করবে সে অবশিষ্ট ১/৩ অংশ ফসলের ভাগ পাবে অথবা যদি উভয় পক্ষই চাষের ব্যয়ভার বহন করে তাহলে অবশিষ্ট ১/৩ অংশ উৎপন্ন ফসলের ভাগ ব্যয়ভারের আনুপাতিক হারে পাবে। {১৯৮৪ সালের ভূমি সংস্কার অধ্যাদেশ এর ১২(১) ধারা}
  • অত্র ধারার ২ উপধারায় বলা হয়েছে বর্গাজমির হতে উৎপন্ন ফসল বর্গাজমির থেকে নিকটবর্তী (মনিব/বর্গাদারের) কোন স্থানে অথবা উভয় পক্ষ সম্মত হয়ে যে কোনো স্থানে মাড়াই করার জন্য ও গোলাজাত করার জন্য উঠানো যাবে।
  • শষ্য মাড়াই ও গোলাজাত হবার পর মনিব এবং বর্গাদার উভয়েই যার যার অংশ গ্রহণ করে নির্ধারিত ফরমে স্বাক্ষর করে একে অপরকে রশিদ প্রদান করবে।
  • যদি মালিক তার নির্ধারিত প্রাপ্য ফসলের ভাগ গ্রহণ করতে কিংবা রশিদ প্রদান করতে অস্বীকার করে তাহলে বর্গাদার উক্ত ঘটনা লিখিতভাবে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।
  • নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ জমির মালিকের প্রতি নোটিশ জারি করে ৭ দিনের মধ্যে উক্ত ফসল গ্রহণ করতে বলবেন।

  • যদি মনিব নোটিশ জারির তারিখ থেকে ৭ দিনের মধ্যে উত্‍‌পন্ন ফসলের অংশ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হন তাহলে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ বর্গাদারকে উক্ত উত্‍পন্ন ফসল যে কোনো সরকারী ক্রয় এজেন্সির নিকট অথবা অনুরূপ এজেন্সির অনুপস্থিতিতে স্থানীয় বাজারে বিক্রয় করতে অনুমতি দিবেন।
  • যদি বর্গাদার উত্‍পন্ন ফসল বিক্রি করেন তাহলে উক্ত বিক্রয়ের তারিখ হতে ৭ দিনের মধ্যে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের নিকট বিক্রয়লব্ধ অর্থ/টাকা জমা দিবেন।
  • নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ উক্ত টাকা গ্রহণ করে বর্গাদারকে একটি রশিদ প্রদান করে বর্গাদারকে উত্‍পন্ন ফসলের অংশ মনিবের নিকট অর্পনের বাধ্যতা হতে মুক্ত করবেন।
  • উক্ত অর্থ বা জমাকৃত টাকার ব্যাপারে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত ফরমের মাধ্যমে মনিবকে অবগত করাবেন।
  • যদি মনিব অনুরূপ জমাকৃত টাকা সম্পর্কে অবগত হওয়ার তারিখ হতে ১ মাসের মধ্যে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের নিকট হতে উক্ত জমাকৃত অর্থ গ্রহণ না করে সেক্ষেত্রে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ উক্ত টাকা সরকারী কোষাগারে রাজস্ব জমা খাতে মনিবের অনুকুলে জমা করবেন এবং মনিবকে অবগত করবেন।

<<< পর্ব-০৪ পর্ব-০৬ >>>