দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮
(ধারা ৪; লেকচার ভার্সন ১.১)
দায়িত্ব অব্যাহতি (Disclaimer): এটি শুধুমাত্র শিক্ষামূলক ও প্রশিক্ষণমূলক উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। এখানে প্রদত্ত সকল তথ্য, দৃষ্টান্ত ও উপাত্ত বিজ্ঞ আইনজীবীদের পেশাগত পরামর্শের বিকল্প নয়।
ধারার বাংলা ভার্সনঃ
৪। ব্যতিক্রমঃ
(১) ব্যতিক্রমধর্মী কোনো স্পষ্ট বিধান অনুপস্থিত থাকিলে, এই বিধির কোনো কিছুই বর্তমানে বলবৎ কোনো বিশেষ আইন, বা বর্তমানে বলবৎ অন্য কোনো আইনের অধীনে প্রদত্ত বিশেষ এখতিয়ার বা ক্ষমতা, অথবা তদধীন নির্ধারিত বিশেষ কার্যপদ্ধতিকে সীমিত বা অন্যভাবে প্রভাবিত করিবে বলিয়া গণ্য হইবে না।
(২) বিশেষভাবে এবং উপ-ধারা (১)-এ অন্তর্ভুক্ত সাধারণতার পরিপন্থী না হইয়া, এই বিধির কোনো কিছুই ভূমিধারী বা জমিদারের এমন কোনো প্রতিকারকে সীমিত বা প্রভাবিত করিবে বলিয়া গণ্য হইবে না, যা কৃষিজমির খাজনা আদায়ের জন্য বর্তমানে বলবৎ কোনো আইনের অধীনে তিনি অর্জন করিয়া থাকেন – বিশেষত উক্ত জমির ফসল হইতে।
(১) ব্যতিক্রমধর্মী কোনো স্পষ্ট বিধান অনুপস্থিত থাকিলে, এই বিধির কোনো কিছুই বর্তমানে বলবৎ কোনো বিশেষ আইন, বা বর্তমানে বলবৎ অন্য কোনো আইনের অধীনে প্রদত্ত বিশেষ এখতিয়ার বা ক্ষমতা, অথবা তদধীন নির্ধারিত বিশেষ কার্যপদ্ধতিকে সীমিত বা অন্যভাবে প্রভাবিত করিবে বলিয়া গণ্য হইবে না।
(২) বিশেষভাবে এবং উপ-ধারা (১)-এ অন্তর্ভুক্ত সাধারণতার পরিপন্থী না হইয়া, এই বিধির কোনো কিছুই ভূমিধারী বা জমিদারের এমন কোনো প্রতিকারকে সীমিত বা প্রভাবিত করিবে বলিয়া গণ্য হইবে না, যা কৃষিজমির খাজনা আদায়ের জন্য বর্তমানে বলবৎ কোনো আইনের অধীনে তিনি অর্জন করিয়া থাকেন – বিশেষত উক্ত জমির ফসল হইতে।
আইনের ভাষ্য
সাধারণভাবে, সকল দেওয়ানী মোকদ্দমা দেওয়ানী আদালতে, দেওয়ানী কার্যবিধিতে উল্লেখিত নিয়ম অনুযায়ী পরিচালিত হয় — এটাই মূল নিয়ম। তবে এই ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো বিশেষ আইনে কোনো নির্দিষ্ট পদ্ধতি উল্লেখ থাকে, তাহলে সেই বিশেষ মোকদ্দমায় সেই বিশেষ আইনের পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে দেওয়ানী কার্যবিধি প্রযোজ্য হবে না।তবে যদি সেই বিশেষ আইনে পুরো নিয়ম-কানুন (সম্পূর্ণ কার্যবিধি) না দেওয়া থাকে, তাহলে দেওয়ানী কার্যবিধি প্রযোজ্য হবে। যদি বিশেষ আইনের পদ্ধতির সঙ্গে দেওয়ানী কার্যবিধির কোনো দ্বন্দ্ব বা অসামঞ্জস্য থাকে, তাহলে সেক্ষেত্রে দেওয়ানী কার্যবিধির নিয়ম প্রযোজ্য হবে না।
দুই অনুচ্ছেদের বিষয়টি বর্তমানে আর প্রযোজ্য নয়, কারণ বাংলাদেশে এখন আর কোনো জমিদার নেই — ফলে খাজনার বিষয়টিও আর নেই।