Monday , November 24 2025
👁️ আজকের ভিউ: 4,455 | মোট ভিউ: 29,044
CrPC 1898 (CrPC Section 4a) – Educational Visual for Bar Council Exam Preparation
CrPC 1898 ধারা ৪এ এর ব্যাখ্যামূলক চিত্র – শিক্ষামূলক ভিজ্যুয়াল।

Section 4A. Construction of references | উল্লিখিত শব্দের ব্যাখ্যা

ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর সূচীপত্রে ফিরে যান।

ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ৪এ এর বিশ্লেষণ।

Section 4A. Construction of references:

(1) In this Code, unless the context otherwise requires, any reference-

  • (a) without any qualifying word, to a Magistrate, shall be construed as a reference to a Judicial Magistrate;
  • (b) with a qualifying word not being a word clearly indicating a Judicial Magistrate shall be construed as a reference to a Magistrate as indicated in sub-section (2) (b);
  • (c) to a Sub-divisional Magistrate shall be construed as a reference to-
    (i) the District Magistrate if the functions exercisable are of the nature specified in clause (b) of sub-section (2); or
    (ii) the Chief Judicial Magistrate or as the case may be, the Chief Metropolitan Magistrate, if the functions exercisable are of the nature specified in clause (a) of sub-section (2);
  • (d) to an Assistant Sessions Judge, shall be construed as a reference to a joint Sessions Judge;
  • (e) to any area which is included in a Metropolitan area, shall be construed as a reference to such Metropolitan area;
  • (f) to any reference to a Magistrate of the first, second or third class in relation to an area which is included in a Metropolitan area, shall be construed as a reference to the Metropolitan Magistrate exercising jurisdiction in that area;
  • (g) to a Magistrate of the first, second or third class in relation to an area outside a Metropolitan Area, shall be construed as a reference to a Judicial Magistrate of the first, second or third class exercising jurisdiction in that area.

(2) Where, under any law for the time being in force other than this Code, the functions exercisable by a Magistrate relate to matters-

  • (a) which involve the appreciation or sifting of evidence or the formulation of any decision which exposes any person to any punishment or penalty of detention in custody pending investigation, inquiry or trial or other proceeding or would have the effect of sending him for trial before any Court, they shall subject to the provision of the Code, be exercisable by a judicial Magistrate; or
  • (b) which are administrative or executive in nature, such as the granting of a licence, the suspension or cancellation of a licence, sanctioning a prosecution or withdrawing from a prosecution, they shall, subject as aforesaid, be exercisable by an Executive Magistrate.

ধারা ৪ক. উল্লিখিত শব্দের ব্যাখ্যাঃ

(১) এই বিধিতে, যদি প্রসঙ্গ ভিন্ন কিছু প্রত্যাশা না করে, তবে যেকোনো উল্লেখ নিম্নরূপে ব্যাখ্যা করা হইবে—

  • (এ) কোনোরূপ বিশেষণ ব্যতিরেকে “Magistrate” শব্দের উল্লেখকে “Judicial Magistrate” এর প্রতি উল্লেখ বলিয়া গণ্য করা হইবে;
  • (বি) এমন বিশেষণসহ “Magistrate” শব্দের উল্লেখ, যাহা স্পষ্টরূপে Judicial Magistrate নির্দেশ করে না, তাহাকে উপ-ধারা (২)-এর (খ) অংশে উল্লিখিত Magistrate-এর প্রতি উল্লেখ বলিয়া গণ্য করা হইবে;
  • (সি) “Sub-divisional Magistrate”-এর উল্লেখ গণ্য করা হইবে—
    (i) যদি কার্যসমূহ উপ-ধারা (২)-এর (খ) অংশে বর্ণিত প্রকৃতির হইয়া থাকে, তবে “District Magistrate”-এর প্রতি উল্লেখ বলিয়া; অথবা
    (ii) যদি কার্যসমূহ উপ-ধারা (২)-এর (ক) অংশে বর্ণিত প্রকৃতির হইয়া থাকে, তবে “Chief Judicial Magistrate” বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে “Chief Metropolitan Magistrate”-এর প্রতি উল্লেখ বলিয়া;
  • (ডি) “Assistant Sessions Judge”-এর উল্লেখকে “Joint Sessions Judge”-এর প্রতি উল্লেখ বলিয়া গণ্য করা হইবে;
  • (ই) যে কোনো অঞ্চলে “Metropolitan area” অন্তর্ভুক্ত থাকিলে, উহাকে ঐ Metropolitan area এর প্রতি উল্লেখ বলিয়া গণ্য করা হইবে;
  • (এফ) Metropolitan area এর অন্তর্ভুক্ত অঞ্চলে “Magistrate of the first, second or third class” এর উল্লেখকে ঐ অঞ্চলে এখতিয়ারপ্রাপ্ত Metropolitan Magistrate-এর প্রতি উল্লেখ বলিয়া গণ্য করা হইবে;
  • (জি) Metropolitan area এর বাহিরে কোনো অঞ্চলে “Magistrate of the first, second or third class” এর উল্লেখকে ঐ অঞ্চলে এখতিয়ারপ্রাপ্ত Judicial Magistrate of the first, second or third class-এর প্রতি উল্লেখ বলিয়া গণ্য করা হইবে।

(২) যখন এই বিধি ব্যতীত অন্য কোনো প্রচলিত আইনের অধীন Magistrate কর্তৃক কার্য সম্পাদনীয় হয়—

  • (এ) যদি কার্যসমূহ প্রমাণ নিরূপণ বা যাচাই করিবার সহিত সংশ্লিষ্ট হয়, অথবা এমন কোনো সিদ্ধান্ত যাহাতে কোনো ব্যক্তি শাস্তি, দণ্ড, বা তদন্ত, অনুসন্ধান বা বিচারাধীন অবস্থায় আটক হইবার ঝুঁকিতে পড়ে, অথবা তাহাকে কোনো আদালতের বিচারকার্য্যে প্রেরণ করা হয়— তাহা হইলে উহা, এই বিধির বিধান সাপেক্ষে, Judicial Magistrate কর্তৃক সম্পাদনীয় হইবে; অথবা
  • (বি) যদি কার্যসমূহ প্রশাসনিক বা নির্বাহী প্রকৃতির হয়, যেমন— লাইসেন্স প্রদান, লাইসেন্স স্থগিতকরণ বা বাতিলকরণ, মামলা পরিচালনার অনুমোদন প্রদান বা মামলা প্রত্যাহার— তাহা হইলে উহা, উল্লিখিত শর্তসাপেক্ষে, Executive Magistrate কর্তৃক সম্পাদনীয় হইবে।

বিশ্লেষণাত্মক আলোচনাঃ

এই ধারাটি ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিধান, যা বিচার বিভাগ এবং নির্বাহী বিভাগ পৃথকীকরণ এর প্রেক্ষাপটে সংযোজন করা হয়েছে। এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো বিচারিক ক্ষমতা (judicial powers) এবং নির্বাহী ক্ষমতা (executive powers) এর মধ্যে একটি স্পষ্ট বিভাজন রেখা টেনে দেওয়া এবং নিশ্চিত করা যে আইনের পুরোনো পরিভাষাগুলো নতুন কাঠামোর সাথে সঙ্গতিপূর্ণভাবে ব্যাখ্যা করা হয়।

ধারাটির মূল বিষয়বস্তুঃ

এই ধারাটি দুটি উপধারায় বিভক্ত, যা ম্যাজস্ট্রেটের বিভিন্ন পদের ব্যাখ্যা এবং তাদের কার্যাবলীর প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করে।

  • উপধারা (১) - পুরোনো পরিভাষার নতুন অর্থঃ এই উপধারাটি ফৌজদারী কার্যবিধিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ম্যাজস্ট্রেট এবং বিচারকের পদবীগুলোর আধুনিকীকৃত ব্যাখ্যা প্রদান করে।
    ম্যাজিস্ট্রেট (Magistrate): কোনো অতিরিক্ত শব্দ ছাড়া শুধু “ম্যাজিস্ট্রেট” বলতে এখন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে বোঝায়।
    যোগ্যতাপূর্ণ ম্যাজস্ট্রেটঃ যদি কোনো ম্যাজস্ট্রেটের পদের আগে কোনো যোগ্যতাসূচক শব্দ থাকে যা স্পষ্টভাবে জুডিশিয়ালকে বোঝায় না, তাহলে এটি নির্বাহী ম্যাজস্ট্রেটকে বোঝায়।
    মহকুমা ম্যাজস্ট্রেট (Sub-divisional Magistrate): এই পদটি এখন দুটি ভিন্ন পদে বিভক্ত হয়েছে, যা কার্যধারার প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। যদি কার্যধারা প্রশাসনিক হয়, তাহলে এটি জেলা ম্যাজস্ট্রেটকে বোঝায়; যদি এটি বিচারিক হয়, তাহলে এটি চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজস্ট্রেট বা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজস্ট্রেটকে বোঝায়।
    সহকারী দায়রা জজ (Assistant Sessions Judge): এই পদটি এখন যুগ্ম দায়রা জজ (Joint Sessions Judge) হিসেবে গণ্য হবে।
    এলাকার ব্যাখ্যাঃ মেট্রোপলিটন এলাকার ক্ষেত্রে প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় শ্রেণির ম্যাজস্ট্রেটকে “মেট্রোপলিটন ম্যাজস্ট্রেট” হিসেবে গণ্য করা হবে। মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরের ক্ষেত্রে তাদের “জুডিশিয়াল ম্যাজস্ট্রেট” হিসেবে গণ্য করা হবে।
  • উপধারা (২) - কার্যধারার বিভাজনঃ এই উপধারাটি বিচার বিভাগ এবং নির্বাহী বিভাগের পৃথকীকরণের মূল ভিত্তি। এটি স্পষ্টভাবে ম্যাজিস্ট্রেটদের কার্যাবলীকে দুটি প্রধান ভাগে বিভক্ত করেঃ
    বিচারিক কার্যধারা (Judicial Functions):
    এই কার্যধারাগুলো একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা পরিচালিত হবে। এই ধরনের কার্যাবলীর মধ্যে রয়েছেঃ
    ১। সাক্ষ্যপ্রমাণ মূল্যায়ন ও বাছাই।
    ২। কোনো ব্যক্তিকে শাস্তি, জরিমানা বা হেফাজতে আটক রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া।
    ৩। তদন্ত, অনুসন্ধান বা বিচার প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যক্তিকে পাঠানো।
    এই কাজগুলো যেহেতু কোনো ব্যক্তির স্বাধীনতা বা অধিকারকে সরাসরি প্রভাবিত করে, তাই এগুলো বিচারিক কার্যধারা হিসেবে বিবেচিত হয় এবং স্বাধীন বিচার বিভাগের অধীনে আসে।
    প্রশাসনিক বা নির্বাহী কার্যধারা (Administrative or Executive Functions): এই কার্যধারাগুলো একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা পরিচালিত হবে। এই ধরনের কার্যাবলীর মধ্যে রয়েছেঃ
    ১। লাইসেন্স প্রদান, স্থগিত বা বাতিল করা।
    ২। মামলা পরিচালনার অনুমোদন দেওয়া বা মামলা প্রত্যাহার করা।
    ৩। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য কাজ।
    এই কাজগুলো প্রশাসনিক প্রকৃতির এবং সরকারের নির্বাহী বিভাগের অধীনে থাকে।

কেন এই ধারাটি গুরুত্বপূর্ণ?

ধারা ৪এ বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটি নিশ্চিত করে যেঃ

  • ক্ষমতার পৃথকীকরণঃ বিচারিক ক্ষমতা এবং প্রশাসনিক ক্ষমতা একে অপরের থেকে সম্পূর্ণরূপে পৃথক, যা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে।
  • আইনি নিশ্চিততাঃ এটি পুরোনো এবং নতুন আইনের মধ্যেকার পরিভাষাগত বিভ্রান্তি দূর করে, যা বিচারিক প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে।
  • ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাঃ এটি নিশ্চিত করে যে কোনো ব্যক্তির বিচার তার স্বাধীনতা এবং অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একটি বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিচালিত হয়, প্রশাসনিক প্রক্রিয়া দ্বারা নয়।

সংক্ষেপে, ধারা ৪ক হলো বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের একটি ভিত্তিপ্রস্তর যা বিচারিক ও নির্বাহী ক্ষমতার মধ্যে একটি স্পষ্ট বিভাজন রেখা টেনে দেয়। এটি বাংলাদেশের ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থার একটি আধুনিকীকরণ এবং ন্যায়বিচারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই ধারাটি বিচার ব্যবস্থার কাঠামোগত পরিবর্তন এবং এর কার্যকরী দিক সম্পর্কে একটি গভীর ধারণা দেয়।

📱 অ্যাপ ডাউনলোড করুন — দ্রুত

অ্যাপ ইন্সটল করে সবকিছু এক জায়গায় দেখুন।

আপনার মূল্যবান মন্তব্য লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Index