Thursday , September 18 2025
CPC 1908 (CPC Section 12) – Educational Visual for Bar Council Exam Preparation
The Code of Civil Procedure, 1908

Section 12. Bar to further suit | অতিরিক্ত মোকদ্দমা দায়েরের বাধা

দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮ এর সূচীপত্রে ফিরে যান।

দেওয়ানী কার্যবিধির ধারা ১২ এর বিশ্লেষণ।

Section 12. Bar to further suit:

Where a plaintiff is precluded by rules from instituting a further suit in respect of any particular cause of action, he shall not be entitled to institute a suit in respect of such cause of action in any Court to which this Code applies.

ধারা ১২। অতিরিক্ত মোকদ্দমা দায়েরের বাধাঃ

যেক্ষেত্রে কোন বাদী বিধিমালা দ্বারা কোন বিশেষ কার্যকারণ সম্পর্কে অতিরিক্ত মোকদ্দমা দায়ের করা হইতে বারিত হয়, সেইক্ষেত্রে সে এই কোড যে সকল আদালতে প্রযোজ্য সেই সকল আদালতে উক্ত কার্যকারণ সম্পর্কে মোকদ্দমা দায়ের করিতে অধিকারী হইবে না।

বিশ্লেষণাত্মক আলোচনাঃ

ধারা ১২ একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিধান, যা মূলত মোকদ্দমার বাহুল্য বা অতিরিক্ত মোকদ্দমা দায়েরের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সহজভাবে বললে, এই ধারাটি নিশ্চিত করে যে, যদি কোনো বাদীকে আইনের নির্দিষ্ট নিয়ম (বিধিমালা) দ্বারা একই বিষয় বা কারণ নিয়ে বারবার মোকদ্দমা করা থেকে নিষেধ করা হয়, তবে সে আর ওই বিষয় নিয়ে দেওয়ানী আদালতে মোকদ্দমা করতে পারবে না।

ধারাটির মূল অংশঃ

“যেক্ষেত্রে কোন বাদী বিধিমালা দ্বারা কোন বিশেষ কার্যকারণ সম্পর্কে অতিরিক্ত মোকদ্দমা দায়ের করা হইতে বারিত হয়, সেইক্ষেত্রে সে এই কোড যে সকল আদালতে প্রযোজ্য সেই সকল আদালতে উক্ত কার্যকারণ সম্পর্কে মোকদ্দমা দায়ের করিতে অধিকারী হইবে না।”
চলুন, এটাকে সহজ করে বুঝিঃ
“যেক্ষেত্রে কোন বাদী বিধিমালা দ্বারা কোন বিশেষ কার্যকারণ সম্পর্কে অতিরিক্ত মোকদ্দমা দায়ের করা হইতে বারিত হয়...": ১) এখানে “বাদী” বলতে সেই ব্যক্তিকে বোঝানো হচ্ছে যে মোকদ্দমা করে। ২) “বিধিমালা দ্বারা” বলতে বোঝানো হচ্ছে দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের অধীনে প্রণীত বিভিন্ন নিয়মকানুন (যেমনঃ ‘আদেশ’ এবং ‘বিধি’)। দেওয়ানী কার্যবিধির প্রথম অংশটি ধারা এবং দ্বিতীয় অংশটি বিধিমালা নিয়ে গঠিত। এই বিধিমালাগুলোতে সুনির্দিষ্ট কিছু পরিস্থিতি বা কার্যকারণ সম্পর্কে অতিরিক্ত মোকদ্দমা দায়েরের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে।
“কোন বিশেষ কার্যকারণ সম্পর্কে অতিরিক্ত মোকদ্দমা দায়ের করা হইতে বারিত হয়”: এর মানে হলো, কোনো নির্দিষ্ট বিষয় বা একই মোকদ্দমার কারণ নিয়ে দ্বিতীয়বার বা বারবার মোকদ্দমা করা থেকে আইনগতভাবে তাকে নিষেধ করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপঃ দেওয়ানী কার্যবিধির আদেশ-২, বিধি-২ এমন একটি পরিস্থিতি যেখানে একই কারণ থেকে উদ্ভূত সকল প্রতিকার একসঙ্গে দাবি না করলে, পরবর্তীতে অবশিষ্ট প্রতিকার দাবি করে নতুন মোকদ্দমা করা নিষিদ্ধ হতে পারে।
“...সেইক্ষেত্রে সে এই কোড যে সকল আদালতে প্রযোজ্য সেই সকল আদালতে উক্ত কার্যকারণ সম্পর্কে মোকদ্দমা দায়ের করিতে অধিকারী হইবে না।”: যদি উপরের শর্ত পূরণ হয়, অর্থাৎ বাদীকে যদি বিধিমালা দ্বারা একই বিষয়ে অতিরিক্ত মোকদ্দমা করতে নিষেধ করা হয়, তাহলে সেই বাদী আর ওই একই কারণ বা বিষয় নিয়ে দেওয়ানী কার্যবিধি আইন প্রযোজ্য এমন কোনো আদালতেই নতুন করে মোকদ্দমা দায়ের করতে পারবে না। এর মানে হলো, এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়ানী কার্যবিধি প্রযোজ্য সকল দেওয়ানী আদালতের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে।

ধারা ১২ এর প্রধান উদ্দেশ্যঃ

  • ১) মোকদ্দমার অপব্যবহার রোধঃ কিছু বাদী অপ্রয়োজনীয়ভাবে বারবার একই বিষয় নিয়ে মোকদ্দমা করে আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট করতে পারে। এই ধারাটি তা প্রতিরোধ করে।
  • ২) বিচার ব্যবস্থার দক্ষতাঃ এটি আদালতের ওপর অযাচিত চাপ কমায় এবং বিচার প্রক্রিয়াকে আরও সুশৃঙ্খল করে।
  • ৩) মোকদ্দমার চূড়ান্ততাঃ এটি নিশ্চিত করে যে, একবার একটি নির্দিষ্ট আইনি কারণে একটি মোকদ্দমা নিষ্পত্তি হলে, সেই একই কারণ নিয়ে বারবার আদালতের দ্বারস্থ হওয়া যাবে না, যদি না বিধিতে ভিন্ন কিছু বলা থাকে।

সংক্ষেপে, ধারা ১২ এমন একটি সুরক্ষা ব্যবস্থা যা নিশ্চিত করে যে, দেওয়ানী কার্যবিধির নিয়ম অনুযায়ী যদি কোনো ব্যক্তিকে একই বিষয়ে বারবার মোকদ্দমা করতে নিষেধ করা হয়, তাহলে সে আসলেই আর সেই বিষয়ে কোনো দেওয়ানী আদালতে মোকদ্দমা করতে পারবে না। এটি বিচার ব্যবস্থার শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

Index