Thursday , September 18 2025
CPC 1908 (CPC Section 17) – Educational Visual for Bar Council Exam Preparation
CPC 1908 ধারা ১৭ এর ব্যাখ্যামূলক চিত্র – শিক্ষামূলক ভিজ্যুয়াল।

Section 17. Suits for immovable property situate within jurisdiction of different Courts | বিভিন্ন আদালতের এখতিয়ারাধীন স্থাবর সম্পত্তির মোকদ্দমা

দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮ এর সূচীপত্রে ফিরে যান।

দেওয়ানী কার্যবিধির ধারা ১৭ এর বিশ্লেষণ।

Section 17. Suits for immovable property situate within jurisdiction of different Courts:

Where a suit is to obtain relief respecting, or compensation for wrong to, immovable property situate within the jurisdiction of different Courts, the suit may be instituted in any Court within the local limits of whose jurisdiction any portion of the property is situate.

Provided that, in respect of the value of the subject-matter of the suit, the entire claim is cognizable by such Court.

ধারা ১৭। বিভিন্ন আদালতের এখতিয়ারাধীন স্থাবর সম্পত্তির মোকদ্দমাঃ

যেক্ষেত্রে কোনো মোকদ্দমা বিভিন্ন আদালতের এখতিয়ারাধীন স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত প্রতিকার লাভের জন্য বা উক্ত সম্পত্তির ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ লাভের জন্য দায়ের করা হয়, সেইক্ষেত্রে মোকদ্দমাটি এমন যেকোনো আদালতে দায়ের করা যাইবে যাহার স্থানীয় এখতিয়ারের সীমার মধ্যে উক্ত সম্পত্তির কোনো অংশ অবস্থিত।

তবে শর্ত থাকে যে, মোকদ্দমার বিষয়বস্তুর মূল্যের দিক হইতে সম্পূর্ণ দাবিটি উক্ত আদালত কর্তৃক বিচারযোগ্য হইতে হইবে।

বিশ্লেষণাত্মক আলোচনাঃ

এই ধারাটি দেওয়ানী কার্যবিধির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা কোনো স্থাবর সম্পত্তি (immovable property) নিয়ে মোকদ্দমার ক্ষেত্রে আদালতের এখতিয়ার (jurisdiction) নির্ধারণ করে। এই ধারাটি সেইসব মোকদ্দমার জন্য প্রযোজ্য, যেখানে সম্পত্তিটি একাধিক আদালতের ভৌগোলিক সীমানার (local limits) মধ্যে অবস্থিত।

ধারাটির মূল বিষয়বস্তুঃ

সহজ ভাষায়, এই ধারাটি বলছে যে, যদি আপনার কোনো জমি, বাড়ি বা অন্য কোনো স্থাবর সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ থাকে এবং সেই সম্পত্তিটি একাধিক আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে, তাহলে আপনি যেকোনো একটি আদালতে মোকদ্দমা দায়ের করতে পারবেন।

উদাহরণস্বরূপঃ ধরুন, আপনার একটি জমি আছে যা ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার সীমানায় পড়েছে। এই জমির এক অংশ ঢাকার এখতিয়ারাধীন এবং অন্য অংশ নারায়ণগঞ্জের এখতিয়ারাধীন। এখন যদি এই জমি নিয়ে কোনো বিরোধ দেখা দেয়, তাহলে আপনি মোকদ্দমাটি ঢাকার আদালতেও দায়ের করতে পারেন, আবার নারায়ণগঞ্জ আদালতেও দায়ের করতে পারেন। আপনাকে শুধু একটি আদালত বেছে নিতে হবে।

শর্ত (Proviso):

তবে এই নিয়মটির একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত রয়েছে। শর্তটি হলো, আপনি যে আদালতেই মোকদ্দমা করুন না কেন, সেই আদালতের আর্থিক এখতিয়ারের (pecuniary jurisdiction) মধ্যে সম্পূর্ণ মোকদ্দমাটির আর্থিক মূল্য থাকতে হবে। অর্থাৎ, যদি সম্পত্তির মূল্য বেশি হয় এবং আপনি এমন একটি আদালতে মোকদ্দমা করেন যার এত বেশি মূল্যের মোকদ্দমা বিচার করার ক্ষমতা নেই, তাহলে সেখানে মোকদ্দমা দায়ের করা যাবে না। আপনাকে এমন একটি আদালত বেছে নিতে হবে যার আর্থিক এখতিয়ার আপনার মোকদ্দমার মোট মূল্য বিচার করার জন্য যথেষ্ট।

সংক্ষেপে, ধারা ১৭ একটি সুবিধার বিধান দেয় যেখানে বাদীর সুবিধার জন্য একাধিক এখতিয়ারের সুযোগ তৈরি হয়, কিন্তু একই সাথে এটি নিশ্চিত করে যে, আদালত তার আর্থিক এখতিয়ারের সীমা লঙ্ঘন করছে না।

আপনার মূল্যবান মন্তব্য লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Index