Thursday , March 28 2024

দেওয়ানী কার্যবিধির ৬ আদেশের ১৭ বিধি অনুযায়ী বাদী পক্ষের আনীত আরজি সংশোধনী দরখাস্তের বিরুদ্ধে লিখিত আপত্তি সংক্রান্ত ড্রাফটিং

বিষয়ঃ দেওয়ানী কার্যবিধির ৬ আদেশের ১৭ বিধি অনুযায়ী বাদী পক্ষের আনীত আরজি সংশোধনী দরখাস্তের বিরুদ্ধে লিখিত আপত্তি।

উপরোক্ত মোকদ্দমার দরখাস্তকারী বিবাদী পক্ষের বিনীত নিবেদন এই যে,

১। বাদী পক্ষ গত ইং ০৫/০১/২০১৬ তারিখে বর্তমান মোকদ্দমা দাখিল করেন এবং বিবাদী পক্ষ সমন পেয়ে গত ইং ২০/০১/২০১৬ তারিখে লিখিত জবাব দাখিল করে।

২। লিখিত জবাবে বিবাদী পক্ষ সুনির্দিষ্টভাবে দাবী করেন যে, বাদী পক্ষ আরজির তফসিলে যে সম্পত্তির কথা উল্লেখ করেছেন তা পুকুরসহ জমি হওয়া সত্তে¡ও বাদী আরজির বর্ননায় উক্ত জমিকে বাগান বাড়ি হিসেবে উল্লেখ করেছে।

৩। এই বিবাদী লিখিত জবাবে আরো বর্ণনা করে যে, বাদী তার আরজিতে যে জমির কথা উল্লেখ করেছে সে জমির প্রকৃতি পুকুর হলেও বাগান বাড়ি উল্লেখ করে নালিশী জমি সংক্রান্ত বাদীর কোন জ্ঞান নেই এবং বাদী উক্ত জমিতে স্বত্ব দখলহীন ব্যক্তি বলে বাদী নালিশী জমি চিনত না। সে কারণে ভুল এবং কাল্পনিকভাবে বাদী নালিশী জমির বর্ণনা আরজিতে সন্নিবেশিত করেছেন।

৪। অতঃপর বিবাদী এডভোকেট কমিশনার আদালতের মাধ্যমে নিয়োগ করিয়ে নালিশী জমির প্রকৃত স্বরূপ নিরূপন করেছে এবং উক্ত প্রতিবেদন আদালতে প্রদান করা হয়েছে।

৫। বিবাদীর জবাবের বক্তব্য এবং বিজ্ঞ এডভোকেট কমিশনার কর্তৃক সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল হওয়ার দীর্ঘ দিন পরে বাদী পক্ষ দাখিল করে নালিশী জমি পুকুর জমি বলে নতুন করে দাবী উত্থাপণ করেছেন।

৬। বিবাদী আরো বর্ণনা করেন যে, যেহেতু বাদী অসত্য ঘটনার বর্ণনা দিয়ে উক্ত মোকদ্দমা দাখিল করে। বিবাদী মোকদ্দমায় পরাজিত হবে, অনুধাবন করতে পেরে নতুন সংশোধনী দ্বারা তর্কিত জমির আকার প্রকার পরিবর্তন করতে চায়। সংশোধন আনয়ন পূর্বক বাদীর দাখিলকৃত দরখাস্ত আদালতে গৃহীত হলে মোকদ্দমার মূল বিষয়বস্তু পরিবর্তন হবে এবং বিবাদী পক্ষ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ৭। শুনানীকালে অন্যান্য বক্তব্য উপস্থাপিত হবে।

প্রার্থনাঃ অতএব, বিজ্ঞ আদালতের নিকট বিনীত প্রার্থনা এই যে, উপরোক্ত অবস্থাধীনে এবং ন্যায় বিচারের স্বার্থে বাদী কর্তৃক দাখিলকৃত আরজি সংশোধনীর দরাখাস্ত না মঞ্জুরের আদেশদানে সুবিচার করতে মর্জি হয়।এবং উপরোক্ত আদেশের জন্য বিবাদী/দরখাস্তকারী চিরকৃতজ্ঞ থাকবে। অদ্য তাং …………….ইং।

হলফনামাঃ আমি মোঃ করিম উদ্দীন, পিতাঃ মোঃ মৃত আবুল কালাম, মাতাঃ জামেনা খাতুন, বয়সঃ ৩৫ বছর, বর্তমান ঠিকানাঃ ——————————, স্থায়ী ঠিকানাঃ ——————————–, পেশাঃ কৃষি, জাতীয়তাঃ জন্মসূত্রে বাংলাদেশী, জাতীয় পরিচয়পত্র নংঃ ——————-, শপথপূর্বক নিম্নরুপ ঘোষণা করিতেছি যে,

১) আমি অত্র মোকদ্দমার বিবাদী এবং মোকদ্দমার বিষয়বস্তু আমি জানি এবং আমি অত্র হলফনামা করতে সক্ষম।

২) উপরোক্ত বিবরণসমূহ আমার জ্ঞানমতে সত্য এবং সঠিক জেনে অত্র হলফনামায় আমার নিজ নাম স্বাক্ষর করলাম।

(স্বাক্ষর)

সনাক্তঃ হলফকারী আমার পরিচিত এবং তিনি আমার সামনে অত্র হলফনামায় তার নিজ নাম দস্থখত করেছেন। আমি তাকে সনাক্ত করলাম।

(আইনজীবীর স্বাক্ষর)

অদ্য ——- তারিখ, হলফকারী আমার সামনে অত্র হলফনামায় তা নিজ নাম দস্তখত করেছেন।

হলফনামা পরিচালনাকারীর কর্মকর্তার দস্তখত এবং সিল।

বিঃদ্রঃ নিম্নে ড্রাফটিং এর কাল্পনিক তথ্য পর্যাক্রমিকভাবে উপস্থাপন করা হল এবং এই তথ্যগুলো কিভাবে সাজিয়ে লিখতে হয় তা পিডিএফ ফাইলের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হল। আশাকরি সকলেই উপকৃত হবেন।

কোর্টঃ মোকামঃ সহকারী জজ আদালত, ঢাকা।

সূত্রঃ স্বত্ত্ব মোকদ্দমা নং-০৬/২০১৬

বাদীঃ মোঃ জামাল উদ্দীন, বর্তমান ঠিকানাঃ —————————, স্থায়ী ঠিকানাঃ ———————–।

বিবাদীঃ মোঃ করিম উদ্দীন, বর্তমান ঠিকানাঃ ————————–স্থায়ী ঠিকানাঃ ————————।

বিষয়ঃ দেওয়ানী কার্যবিধির ৬ আদেশের ১৭ বিধি অনুযায়ী বাদী পক্ষের আনীত আরজি সংশোধনী দরখাস্তের বিরুদ্ধে লিখিত আপত্তি।

নিবেদনঃ উপরোক্ত মোকদ্দমার দরখাস্তকারী বিবাদী পক্ষের বিনীত নিবেদন এই যে,

১। বাদী পক্ষ গত ইং ০৫/০১/২০১৬ তারিখে বর্তমান মোকদ্দমা দাখিল করেন এবং বিবাদী পক্ষ সমন পেয়ে গত ইং ২০/০১/২০১৬ তারিখে লিখিত জবাব দাখিল করে।

২। লিখিত জবাবে বিবাদী পক্ষ সুনির্দিষ্টভাবে দাবী করেন যে, বাদী পক্ষ আরজির তফসিলে যে সম্পত্তির কথা উল্লেখ করেছেন তা পুকুরসহ জমি হওয়া সত্তে¡ও বাদী আরজির বর্ননায় উক্ত জমিকে বাগান বাড়ি হিসেবে উল্লেখ করেছে।

৩। এই বিবাদী লিখিত জবাবে আরো বর্ণনা করে যে, বাদী তার আরজিতে যে জমির কথা উল্লেখ করেছে সে জমির প্রকৃতি পুকুর হলেও বাগান বাড়ি উল্লেখ করে নালিশী জমি সংক্রান্ত বাদীর কোন জ্ঞান নেই এবং বাদী উক্ত জমিতে স্বত্ব দখলহীন ব্যক্তি বলে বাদী নালিশী জমি চিনত না। সে কারণে ভুল এবং কাল্পনিকভাবে বাদী নালিশী জমির বর্ণনা আরজিতে সন্নিবেশিত করেছেন।

৪। অতঃপর বিবাদী এডভোকেট কমিশনার আদালতের মাধ্যমে নিয়োগ করিয়ে নালিশী জমির প্রকৃত স্বরূপ নিরূপন করেছে এবং উক্ত প্রতিবেদন আদালতে প্রদান করা হয়েছে।

৫। বিবাদীর জবাবের বক্তব্য এবং বিজ্ঞ এডভোকেট কমিশনার কর্তৃক সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল হওয়ার দীর্ঘ দিন পরে বাদী পক্ষ দাখিল করে নালিশী জমি পুকুর জমি বলে নতুন করে দাবী উত্থাপণ করেছেন।

৬। বিবাদী আরো বর্ণনা করেন যে, যেহেতু বাদী অসত্য ঘটনার বর্ণনা দিয়ে উক্ত মোকদ্দমা দাখিল করে। বিবাদী মোকদ্দমায় পরাজিত হবে, অনুধাবন করতে পেরে নতুন সংশোধনী দ্বারা তর্কিত জমির আকার প্রকার পরিবর্তন করতে চায়। সংশোধন আনয়ন পূর্বক বাদীর দাখিলকৃত দরখাস্ত আদালতে গৃহীত হলে মোকদ্দমার মূল বিষয়বস্তু পরিবর্তন হবে এবং বিবাদী পক্ষ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ৭। শুনানীকালে অন্যান্য বক্তব্য উপস্থাপিত হবে।

প্রার্থনাঃ অতএব, বিজ্ঞ আদালতের নিকট বিনীত প্রার্থনা এই যে, উপরোক্ত অবস্থাধীনে এবং ন্যায় বিচারের স্বার্থে বাদী কর্তৃক দাখিলকৃত আরজি সংশোধনীর দরাখাস্ত না মঞ্জুরের আদেশদানে সুবিচার করতে মর্জি হয়।এবং উপরোক্ত আদেশের জন্য বিবাদী/দরখাস্তকারী চিরকৃতজ্ঞ থাকবে। অদ্য তাং …………….ইং।

হলফনামাঃ আমি মোঃ করিম উদ্দীন, পিতাঃ মোঃ মৃত আবুল কালাম, মাতাঃ জামেনা খাতুন, বয়সঃ ৩৫ বছর, বর্তমান ঠিকানাঃ ——————————, স্থায়ী ঠিকানাঃ ——————————–, পেশাঃ কৃষি, জাতীয়তাঃ জন্মসূত্রে বাংলাদেশী, জাতীয় পরিচয়পত্র নংঃ ——————-, শপথপূর্বক নিম্নরুপ ঘোষণা করিতেছি যে,

১) আমি অত্র মোকদ্দমার বিবাদী এবং মোকদ্দমার বিষয়বস্তু আমি জানি এবং আমি অত্র হলফনামা করতে সক্ষম।

২) উপরোক্ত বিবরণসমূহ আমার জ্ঞানমতে সত্য এবং সঠিক জেনে অত্র হলফনামায় আমার নিজ নাম স্বাক্ষর করলাম।

(স্বাক্ষর)

সনাক্তঃ হলফকারী আমার পরিচিত এবং তিনি আমার সামনে অত্র হলফনামায় তার নিজ নাম দস্থখত করেছেন। আমি তাকে সনাক্ত করলাম।

(আইনজীবীর স্বাক্ষর)

অদ্য ——- তারিখ, হলফকারী আমার সামনে অত্র হলফনামায় তা নিজ নাম দস্তখত করেছেন।

হলফনামা পরিচালনাকারীর কর্মকর্তার দস্তখত এবং সিল।

Full Screen Mode (Click here)