রেন্ট সার্টিফিকেট মোকদ্দমার পদ্ধতি ও ফলাফল, পর্ব-২
দেনাদারের উপর ৭ ধারার নোটিস জারিঃ
দেনাদার বা তার প্রতিনিধি নোটিশ গ্রহণে রাজি না হলে বা যুক্তিসংগত অনুসন্ধানের পরও তাদের খুজে না পাওয়া গেলে জারীকারকঃ
(ক) নোটিশের কপি দেনাদারের ঘরের দরজায় বা প্রকাশ্য স্থানে লটকিয়ে জারী করবেন, অথবা
(খ) যে সম্পত্তির উপর মোকদ্দমা হয়েছে সে সম্পত্তিতে এক কপি এবং সার্টিফিকেট অফিসারের অফিসে নোটিরশর এক কপি লটকিয়ে জারী করতে হবে;
- জারীকারক নোটিস জারীর সাক্ষী ও নোটিস গ্রহণকারীকে সনাক্তকারীদের নাম ঠিকানা নোটিসের কপিতে লিখে সই করে রিটার্ণ দাখিল করবেন;
- সার্টিফিকেট অফিসার জারীকারককে জিজ্ঞাসাবাদ করে নিশ্চিত করে ঘোষণা করবেন যে নোটিস জারী হয়েছে;
- সার্টিফিকেট অফিসার অনুমতি দিলে ডাকযোগেও নোটিস জারী করা যাবে।
- যার নামে সার্টিফিকেট মামলা দায়ের আছে, মামলা নিষ্পত্তির পূর্বে তার মৃত্যু ঘটলে তার প্রতিনিধি উত্তরাধিকারীকে দি পাবলিক ডিমান্ড রিকভারী এক্ট এর ৪৩ ধারায় নোটিস জারী করে কার্যক্রম এগিয়ে নিতে হবে। (এ নোটিস ৭ ধারার নয় তবে ৭ ধারার নোটিশের মতই কার্যকর হবে)
(৭ ধারার নোটিস জারীর পদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে দি পাবলিক ডিমান্ড রিকভারী (পি.ডি.আর) এক্ট ১৯১৩ এর দ্বিতীয় তফসিলের ২ থেকে ৯ নং বিধি মতে )
৮ ধারা অনুসারে ৭ ধারার নোটিসের ফলাফলঃ
- দেনাদার সার্টিফিকেট মামলাভুক্ত কোনো সম্পত্তি বিক্রয়/দান বা অন্যকোনো প্রকার হস্তান্তর করতে পারবেন না;
- সার্টিফিকেট মামলাভুক্ত সম্পত্তি ক্রয় করলে তাতে আইনত ক্রেতার কোনো স্বত্ব সৃষ্টি হবে না;
- মামলাভুক্ত সম্পত্তিতে সার্টিফিকেটে উল্লেখিত পাওনা প্রথম দাবী হিসেবে গণ্য হবে এবং অন্য সকলের দাবী স্থগিত থাকবে;
- ৭ ধারার নোটিস জারী হওয়ার পর মামলাভুক্ত সম্পত্তির উপর ক্রোকের ন্যায় কার্যকর হবে, তাই নিলাম ইস্তেহার জারীর পূর্বে আর কোন ক্রোক আদেশের প্রয়োজন হয় না।
(দি পাবলিক ডিমান্ড রিকভারী (পি.ডি.আর) এক্ট, ১৯১৩ এর ৮ ধারা মতে)