Friday , April 19 2024

রেন্ট সার্টিফিকেট মোকদ্দমার পদ্ধতি ও ফলাফল, পর্ব-৩

৮ ধারা অনুসারে ৭ ধারার নোটিসের ফলাফলঃ

  • দেনাদার সার্টিফিকেট মামলাভুক্ত কোনো সম্পত্তি বিক্রয়/দান বা অন্যকোনো প্রকার হস্তান্তর করতে পারবেন না;
  • সার্টিফিকেট মামলাভুক্ত সম্পত্তি ক্রয় করলে তাতে আইনত ক্রেতার কোনো স্বত্ব সৃষ্টি হবে না;
  • মামলাভুক্ত সম্পত্তিতে সার্টিফিকেটে উল্লেখিত পাওনা প্রথম দাবী হিসেবে গণ্য হবে এবং অন্য সকলের দাবী স্থগিত থাকবে;
  • ৭ ধারার নোটিস জারী হওয়ার পর মামলাভুক্ত সম্পত্তির উপর ক্রোকের ন্যায় কার্যকর হবে, তাই নিলাম ইস্তেহার জারীর পূর্বে আর কোন ক্রোক আদেশের প্রয়োজন হয় না।

(দি পাবলিক ডিমান্ড রিকভারী (পি.ডি.আর) এক্ট, ১৯১৩ এর ৮ ধারা মতে)

নোটিশ জারীর পর প্রতারণা করে সম্পত্তি হস্তান্তরের শাস্তিঃ

কোনো দেনাদার ৭ ধারার নোটিসের পর প্রতারণামূলক ভাবে সম্পত্তি হস্তান্তর করে ফেললে, সার্টিফিকেট কার্যকরী করণে বাধা দিলে, নিলাম ক্রেতাকে দখল গ্রহণে বাধা দিলে তিনি দন্ডবিধি আইনের ২০৬ ধারার অপরাধে অপরাধী হবেন ৷ যার শাস্তি ২ বছর পর্যন্ত সশ্রম/বিনাশ্রম কারাদন্ড ও জরিমানা দন্ডের বিধান রয়েছে।

(দি পাবলিক ডিমান্ড রিকভারী (পি.ডি.আর) এক্ট, ১৯১৩ এর ৫৮ ধারা মতে )

দেনাদারের রেন্ট সার্টিফিকেটের দায় অস্বীকারের অধিকার এবং প্রতিকার:

  • ৭ ধারার নোটিস প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে বা নোটিস না পেয়ে থাকলে সার্টিফিকেট কার্যক্রম বাস্তবায়নের ৩০ দিনের মধ্যে দেনাদার এই আইনের ৯ ধারা অনুসারে নোটিসে উল্লেখিত সম্পূর্ণ বা আংশিক দায় অস্বীকার করে সার্টিফিকেট অফিসারের নিকট আপত্তি দিতে পারেন। আপত্তি দায়ের না হলে ধরে নেয়া হয় যে পাওনার বিষয়ে দেনাদারের কোন দ্বিমত নেই।
  • আর আপত্তি পাওয়া গেলে সার্টিফিকেট অফিসার ১০ ধারা অনুসারে আপত্তির উপর শুনানী গ্রহণ করবেন, প্রয়োজনে সাক্ষ্য গ্রহণ করবেন এবং সার্টিফিকেট সংশোধন, বাতিল বা বহাল রেখে সিদ্ধান্ত (রায়) প্রদান করবেন।
  • ১০ ধারা অনুসারে শুনানীর পর সার্টিফিকেট অফিসার যদি মামলা বহাল রাখেন বা ৯ ধারা অনুযায়ী কোনো আপত্তি দায়ের না হয়ে থাকে এবং ৭ ধারার নোটিস জারীর পর ৩০ দিন অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরও পাওনা টাকা অনাদায়ী থাকে তবে সার্টিফিকেট অফিসার এ আইনের দ্বিতীয় তফসিলের ৪৬ বিধি বলে একটি প্রকাশ্য নিলাম ইস্তেহার জারী করবেন।  উল্লেখ্য যে যখন মামলাভূক্ত সম্পত্তির মূল্য ২০০ টাকার বেশী হবে তখনই কেবলমাত্র উপরোক্ত বিধানগুলি প্রযোজ্য হবে।)

ইস্তেহারে যে সকল বিষয় থাকতে হবে তা হলোঃ

(ক) নিলামকৃত সম্পত্তির বর্ণনা।

(খ) যে পরিমাণ পাওনা টাকার জন্য নিলামের আদেশ।

(গ) নিলামের স্থান, তারিখ ও সময় বর্ণনা।

স্থাবর সম্পত্তি নিলামে বিক্রির জন্য ইস্তেহার নিলামী সম্পত্তিতে  ও সার্টিফিকেট অফিসারের অফিসে লটকাতে হবে এবং ঢোল সহরত বা প্রচলিত পদ্ধতিতে জারী (প্রচারসহ) করতে হবে (৪৭ বিধি)। অতঃপর ২৫ ধারা অনুসারে সার্টিফিকেট অফিসার সার্টিফিকেট কার্যকর করবেন।

(দি পাবলিক ডিমান্ড রিকভারী (পি.ডি.আর এক্ট, ১৯১৩ এর ৯ এবং ১০ ধারা মতে)

Check Also

আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষার প্রন্তুতির জন্য দেওয়ানী কার্যবিধির ভাষ্য

দেওয়ানী কার্যবিধির ধারা-১৪ (আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষার প্রন্তুতি)