দেওয়ানী কার্যবিধির ধারা-১১ (আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষার প্রন্তুতি)

কোন আদালত এমন কোন মামলা বা প্রশ্নের বিচার করবেন না, যার প্রত্যক্ষ বা মূল বিচার্য বিষয়বস্তু পূর্ববর্তী কোন মামলার প্রত্যক্ষ এবং মূল বিচার্য বিষয়বস্তু ছিল, এবং মামলাটি একই পক্ষসমূহের মধ্যে হয়েছে, যাদের সূত্রে বা যাদের মধ্যে একজনের সূত্রে পরবর্তী মামলার পক্ষসমূহের বা পক্ষসমূহের মধ্যে একজন স্বত্ব দাবি করেন, এবং মামলাটি এমন একটি আদালতে শ্রুত ও চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হয়েছে, যে আদালত পরবর্তী মামলা অথবা যে মামলায় পরবর্তী বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছে, তার বিচার করতে এখতিয়ারসম্পন্ন।

ব্যাখ্যা ১। “পূর্ববর্তী মোকদ্দমা” বলতে সেই মামলা বুঝাবে, যার বিচার বর্তমান মামলার পূর্বেই হয়ে গিয়েছে, উহা পূর্বে দায়ের করা হয়েছে কি-না, সেই সম্পর্কে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না;

ব্যাখ্যা ২। উক্ত ধারার উদ্দেশ্য কোন আদালতে বিচার করার ক্ষমতা, উহার রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করার অধিকার সম্পর্কিত ব্যবস্থা বাদ দিয়ে বিবেচনা করতে হবে,

ব্যাখ্যা ৩। উপরোল্লিখিত বিষয়টি পূর্ববর্তী মামলায় একপক্ষ কর্তৃক দাবিকৃত এবং অপর পক্ষ কর্তৃক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে স্বীকৃত হতে হবে;

ব্যাখ্যা ৪। পূর্ববর্তী মামলায় যে বিষয়টি আত্মপক্ষ সমর্থন বা বিপক্ষের যুক্তি খন্ডনের জন্য ব্যবহৃত হতে পারত বা হওয়া উচিত ছিল, তা উক্ত মামলার প্রত্যক্ষ ও মূল বিবেচ্য বিষয় ছিল বলে ধরে নিতে হবে,

ব্যাখ্যা ৫। আরজীতে যে প্রতিকার প্রার্থনা করা হয়েছে, ডিক্রিতে তা সুষ্পষ্টভাবে মঞ্জুর না হয়ে থাকলে, উক্ত ধারার উদ্দেশ্যে তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে বলে ধরে নিতে হবে;

ব্যাখ্যা ৬। যখন একাধিক লোক কোন সাধারণ অধিকার কিংবা সকলের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তিগত অধিকারের জন্য সরল বিশ্বাসে মামলা করে, তখন উক্ত স্বার্থের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল লোক উক্ত ধারার উদ্দেশ্যে মামলাকারীদের সূত্রে স্বত্ব দাবী করছে বলে ধরতে হবে।