দেওয়ানী কার্যবিধির ধারা-১১৫ (আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষার প্রন্তুতি)

১) কোন মোকদ্দমায় কিংবা কর্মপ্রক্রিয়ায় জেলা জজ আদালত বা অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত কর্তৃক ডিক্রি বা আদেশ প্রদত্ত হলে, বা যুগ্ম জেলা জজ, সিনিয়র সহকারী জজ বা সহকারী জজ কর্তৃক ডিক্রি প্রদত্ত হলে, যার বিরুদ্ধে আপীল দায়ের করা চলে না; সংক্ষুব্ধ পক্ষের আবেদনে হাইকোর্ট বিভাগ তার নথি তলব করতে পারবেন; এবং ন্যায়বিচারের ব্যর্থতা সমাপন করাইয়া অত্র ডিক্রি বা আদেশে উক্ত আদালত আইনে ভ্রান্তি করিয়াছে মর্মে দৃষ্টমান হলে হাইকোর্ট বিভাগ এই ডিক্রি বা আদেশ সংশোধন করতে পারবেন, কিংবা তা যেরূপ যথার্থ ভাবে মোকদ্দমা বা কর্মপ্রক্রিয়ায় সেইরূপ আদেশ দান করতে পারবে।

২) যেই আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করা যায় না, কোন যুগ্ম জেলা জজ আদালত, সিনিয়র সহকারী জজ আদালত বা সহকারী জজ আদালত উক্তরূপ কোন আদেশ দান করলে সংক্ষুব্ধ পক্ষের দরখাস্তের প্রেক্ষিতে জেলা জজ আদালত অত্র মোকদ্দমা কিংবা কর্মপ্রক্রিয়ায় নথি তলব করতে পারবেন; এবং ন্যায়বিচারের ব্যর্থতা অবসান করিয়ে এই আদেশে উক্ত আদালত আইনে ভুল করেছে মর্মে দৃষ্টমান হলে জেলা জজ আদালত উক্ত আদেশ সংশোধন করতে পারবে এবং তা যেরূপ যথার্থ ভাবে মোকদ্দমা কিংবা কর্মপ্রক্রিয়ায় সেরূপ আদেশ দান করতে পারবে।

৩) জেলা জজ রিভিশন মোকদ্দমা হস্তান্তর করলে উপ-ধারা (২) এর আওতাধীনে জেলা জজের সকল সর্বময় ক্ষমতা অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে থাকবে।

৪) ন্যায়বিচারের ব্যর্থতার অবসান করিয়ে ভুল সিদ্ধান্ত প্রদান করলে প্রয়োজনীয় আইনের প্রশ্নে ভুলের যেইক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগ রিভিশনের অনুমতির অনুমোদন দেয়, তদক্ষেত্রে উপ-ধারা (২) বা (৩) এর আওতাধীনে প্রদানকৃত জেলা জজ কিংবা অতিরিক্ত জেলা জজের আদেশ পুনঃ বিবেচনার উদ্দেশ্যে হাইকোর্ট বিভাগে আবেদন করা চলবে এবং হাইকোর্ট বিভাগ তা যেরূপ যথার্থ ভাবে মোকদ্দমা অথবা কর্মপ্রক্রিয়ায় সেরূপ আদেশ দান করতে পারবে।

৫) এই ধারাটির প্রতিস্থাপনে যাই উল্লেখিত থাকুক না কেন, উক্তরূপ প্রতিস্থাপনের পূর্বে ১১৫নং ধারার অধীনে আরম্ভ হওয়া কিংবা ঝুলন্ত থাকা কর্মপ্রক্রিয়া যেরূপে নিষ্পত্তি হবে যেন ১১৫নং ধারা প্রতিস্থাপিত হয় নাই। [২০০৩ সালের ৪০নং আইন দ্বারা সংশোধিত]