দেওয়ানী কার্যবিধির ধারা-৫৫ (আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষার প্রন্তুতি)
***2544-Header login & logout
OK-10-দেওয়ানী কার্যবিধির সূচীপত্র
আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষা
এম.সি.কিউ পরীক্ষার প্রস্তুতি
দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮
|
***3899-Header-CPC-BBC Exam
130-ধারা-55
ধারা ৫৫। গ্রেফতার ও আটক |
১) যে কোন সময় যেকোন দিনে ডিক্রি জারির জন্য সাব্যস্ত দেনাদারকে গ্রেফতার করা যাবে, ও যথাসম্ভব শীঘ্র তাকে আদালতে উপস্থিত করা যাবে, এবং আটক আদেশদানকারী আদালত যে জেলায় অবস্থিত সে জেলার দেওয়ানী কয়েদে তাকে আটক রাখা যেতে পারে, কিংবা যেক্ষেত্রে এরূপ দেওয়ানী কয়েদ উপযুক্ত স্থান সংকুলান করতে পারে না তদক্ষেত্রে উক্তরূপ জেলার আদালত দ্বারা আটকাদেশ প্রাপ্ত বা লোকের আটকের জন্য সরকার অন্য যে স্থান নির্ধারণ করতে পারে সেই জায়গায় তাকে আটক রাখা যেতে পারেঃ
তবে প্রথমতঃ শর্ত থাকে যে, অস্ত্র ধারার অধীনে কাউকেও গ্রেফতার করার উদ্দেশ্যে কোন বাসগৃহে সূর্যাস্তের পর এবং সুর্যোদয়ের পূর্বে প্রবেশ করা যাবে না।।
দ্বিতীয়তঃ শর্ত থাকে যে, সাব্যস্ত দেনাদারের দখলকৃত বাসগৃহ না হলে ও অস্বীকৃতি না জানালে কিংবা উক্ত বাসগৃহে প্রবেশ করতে যে কোন বাধা না দিলে সেই কক্ষের বহিদ্বায় ভাঙ্গা যাবে না, কিন্তু যদি গ্রেফতারের ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসার যে কোন বাসগৃহের যথারীতি প্রবেশ করে থাকেন তবে সাব্যস্ত দেনাদারের সন্ধান পাওয়া যাবে তার এরূপ বিশ্বাসের সংগত কারণ থাকলে তিনি যে কোন কক্ষের দরজা ভেঙ্গে খুলতে পারবে।
তৃতীয়তঃ শর্ত থাকে যে, যদি কক্ষটি এমন মহিলার দখলে থাকে যে, যে লোক সাব্যস্ত সেনাদার নন ও যে লোক দেশাচার অনুযায়ী সর্ব সমক্ষে বের হন না তবে গ্রেফতারের ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসার সে কক্ষ ত্যাগ করার জন্য মুক্ত বলে নোটিশ প্রদান করবে ও মহিলাকে কক্ষ পরিত্যাগ করার জন্য যুক্তি যুক্ত সময় ও সুযোগ প্রদানের পর তিনি গ্রেফতারকার্যের জন্য কক্ষে প্রবেশ করতে পারেন।
চতুর্থতঃ শর্ত থাকে যে, যখন যে ডিক্রি জারিতে সাব্যস্ত দেনাদার গ্রেফতার হয়, সেই ডিক্রির টাকা পরিশোধের ডিক্রি হয়ে থাকে এবং সাব্যস্ত দেনাদার ডিক্রির টাকা ও গ্রেফতারের খরচ গ্রেফতারকারী অফিসারকে প্রদান করে তখন উক্ত অফিসার তাকে তখনই মুক্তি দিবে।
২) সরকার সরকারি গেজেটে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ঘোষণা করতে পারে যে, অত্র উদ্দেশ্যে সরকার দ্বারা নির্ধারিত হতে পারে এমনরূপ পদ্ধতি ভিন্ন ডিক্রি জারিতে কোন লোক কিংবা কোন শ্রেণীর ব্যক্তিগণকে গ্রেফতার করলে জনসাধারণের বিপদ বা অসুবিধার সৃষ্টি হতে পারে বিধায় উহারা গ্রেফতারের জন্য দায়ী হবে না।
৩) যেখানে টাকা পরিশোধের ডিক্রি জারির জন্য সাব্যস্ত দেনাদারকে গ্রেফতার করা হয় ও আদালতে হাজির করা হয় সেখানে আদালত তাকে জানাইবে যে সে দেউলিয়া ঘোষণার জন্য আবেদন করতে পারে, এবং আবেদনের ব্যাপারে যদি কোন অসাধু উপায় অবলম্বন না করে এবং যদি সে বর্তমানে প্রচলিত দেউলিয়া আইনের বিধানসমূহ মেনে চলে, তাহলে সে লোকের মুক্তি হতে পারে।
৪) যখন সাব্যস্ত দেনাদার তাকে দেউলিয়া ঘোষণার জন্য আবেদনের ইচ্ছা প্রকাশ করে এবং আদালতের সন্তোষসহকারে সে এমনরূপ জামানত পেশ করে, সে এক মাসের মধ্যে অনুরূপ আবেদন পেশ করবে, ও আবেদনের উপর কিংবা যে ডিক্রি জারির জন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে ঐরূপ ডিক্রি জারির উপর কোন কার্যধারায় যখন আহবান করা হবে তখন সে উপস্থিত হবে তখন আদালত তাকে গ্রেফতার হতে মুক্তি দান করতে পারে, এবং যদি সে যথাসময়ে উপরোক্ত আবেদন করতে ও উপস্থিত হতে ব্যর্থ হয় তবে আদালত ডিক্রি জারির দ্বারা তার জামানত আদায়ের জন্য নির্দেশ দিতে পারে কিংবা তাকে দেওয়ানী কয়েদে সোপর্দ করার নির্দেশ দান করতে পারবেন।