Tuesday , April 16 2024

হিন্দু আইনে নারীদের অভিভাবকত্ব সম্পর্কে জানুন

হিন্দু আইন ও অভিভাবকত্বঃ প্রাচীন হিন্দু আইনে একজনের ভালমন্দ বুঝার বয়স হলেই তাকে সাবালক বলে গণ্য করা হতো। দায়ভাগা মতে, একজনের বয়স ১৫ হলে ও মিতাক্ষরা মতে ১৬ বছর হলে সাবালক হয়। তবে ১৮৭৫ সালে “ভারতীয় সাবালকত্ব আইন” পাস হওয়ার পর থেকে কোন নারী বা পুরুষ ১৮ বছর পূর্ণ হলে সাবালক বলে গণ্য হয়। এ আইন বাংলাদেশে প্রযোজ্য। এ আইনে উল্লেখ আছে যে, হিন্দু ও মুসলিমদের ক্ষেত্রে বিবাহ, বিবাহ-বিচ্ছেদ এবং দত্তক ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে এ আইন সমভাবে প্রযোজ্য হবে। হিন্দু আইনে অভিভাবকত্ব বলতে বুঝায়, নাবালকের জীবন ও বিষয়-সম্পত্তির নিরাপত্তা পরিচালনার দায়িত্ব আইনসম্মতভাবে পালন করাই হচ্ছে অভিভাবকত্ব।

হিন্দু আইন অনুযায়ী কিছু আইনগত ব্যাখ্যা নিম্নে তুলে ধরা হলঃ

  • হিন্দু আইনে পিতা একমাত্র প্রকৃত ও স্বাভাবিক অভিভাবক এবং পিতার জীবিত অবস্থায় অন্য কেউ অভিভাবক হতে পারে না।
  • পিতা যদি জীবিত থাকেন তবে সে যে কোন বয়সের নাবালকের দায়িত্ব ও অভিভাকত্ব গ্রহণ করতে পারবেন ও তার অভিভাকত্বই মাতার চাইতে উর্ধ্বে থাকবে। তবে পিতা যদি দ্বিতীয় বিয়েতে আবদ্ধ হন সেক্ষেত্রে মাতা তার নাবালিকা কন্যার অভিভাবকত্ব গ্রহণ করতে পারবেন।
  • যদি পিতা অনুপস্থিত বা অবর্তমান থাকে তবে মাতা তার নাবালিকা কন্যার অভিভাবকত্ব গ্রহণ করতে পারবেন।
  • বাংলাদেশের আইনানুযায়ী হিন্দু বাবাই শুধুমাত্র উইল বা ইচ্ছাপত্রের মাধ্যমে একজন নাবালক ও তার সম্পত্তির অভিভাবক নিয়োগ করতে পারবেন। কিন্তু, একজন মা তার নাবালক সন্তানের অভিভাবক নিয়োগ করতে পারবেন না৷ তবে আদালত অনেক সময় একজন মায়ের ইচ্ছাকে সম্মান প্রদান করতে পারেন।
  • মা তার অভিভাবকত্ব হারান যদি তিনি ধর্মান্তরিত হন।
  • হিন্দু আইনে দত্তক নেবার আইনগত অধিকার আছে। দত্তক গ্রহণের পর নাবালক দত্তক পুত্রের অভিভাবকত্ব তার স্বাভাবিক পিতা-মাতার নিকট হতে দত্তক পিতা-মাতার নিকট বর্তায়। একজন দত্তক সন্তান প্রকৃত সন্তানের সমপরিমাণ সুযোগ-সুবিধা লাভ করবে।

[yottie id=”12″]