Friday , April 26 2024

ঢাকা সিটি জরিপের রেকর্ড সংশোধনের জন্য একটি লিগ্যাল ড্রাফটিং

ড্রাফটিং এর বিষয়ঃ ঢাকা সিটি জরিপের রেকর্ড সংশোধনের জন্য একটি লিগ্যাল ড্রাফটিং সাবলীলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

সাবধানবণী

সাবধানবাণীঃ সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, অত্র পোর্টালটি একটি শিক্ষামূলক ও গবেষণামূলক পোর্টাল। এই পোর্টালে প্রকাশিত তথ্য-উপাত্ত শিক্ষামূলক। এটি কখনোই বিজ্ঞদের পরামর্শের বিকল্প নয়।

মোকামঃ বিজ্ঞ ৫ম যুগ্ম জেলা জজ আদালত, ঢাকা।
দেওয়ানী মোকদ্দমা নং————/২০১৯




মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান
পিতা-মোঃ মাহমুদুর রহমান
স্থায়ী সাং- কান্ধাল, থানা- হরিপুর, জেলা-ঠাকুরগাওঁ।
বর্তমানেঃ ৪, কাজী পাড়া, ৫নং রোড, কাফরুল, ঢাকা-১২১৬।

———— বাদী।

বনাম

১। মোছাঃ সেলিনা আক্তার
পিং-মোঃ মজিবর রহমান
বর্তমানেঃ ৩০, জিগাতলা, ধানমন্ডি, ঢাকা।

২। জেলা প্রশাসক, ঢাকা।
বর্তমানেঃ ঢাকা কালেক্টরিয়েট বিল্ডিং, কোতয়ালী, ঢাকা।

৩। মহা-পরিচালক
ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর, তেজগাঁও, ঢাকা- ১২০৮।

৪। জি.এল.আর (ডাইরেক্টর অব ল্যান্ডস)
ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর, তেজগাঁও, ঢাকা-১২০৮।

৫। সেটেলমেন্ট অফিসার, ঢাকা।
ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর
তেজগাঁও, ঢাকা-১২০৮।

৬। সহকারী কমিশনার (ভূমি)
ধানমন্ডি সার্কেল কাঁটাবন, নিউমার্কেট, ঢাকা।

৭। ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার)
ভূমি তহশিল অফিস, ধানমন্ডি, ঢাকা।

———— বিবাদীগণ।

ঢাকা সিটি জরিপের রেকর্ড সংশোধনের মোকদ্দমা।

মোকদ্দমার তায়দাদ মং- ৩০,০০,০০০/-(ত্রিশ লক্ষ) টাকা মাত্র।

বাদী পক্ষের বিনীত নিবেদন এই যে,

১। যেহেতু, বাদী/দরখাস্তকারী নিম্ন ‘ক’ তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি বিগত ১৯/০৮/১৯৮৪ ইং তারিখে ১০৩৪নং দলিল দ্বারা আর.এস রেকর্ডীয় মালিক জনাব মোঃ ফরিদ আলীর নিকট হতে খরিদ করে, খরিদ সূত্রে মালিক ও ভোগ দখলকার নিয়ত আছেন। যার সি.এস খতিয়ান নং-১৫১, এস.এ খতিয়ান নং- ১৭৭, সি.এস ও এস.এ দাগ নং-১০১৪, আর.এস খতিয়ান নং-৫৪৬। আর.এস দাগ নং-২৭৩৪, রেকর্ডকৃত জমির পরিমান ৫৭ শতাংশ, এর কাতে .৩০ (ত্রিশ) শতাংশ, যার স্থানীয় মাপে ২১২ (আড়াই) কাঠা। যা নালিশী সম্পত্তি বটে।

২। নালিশী নিম্ন ‘ক’ তফসিল বর্ণিত সম্পত্তির সি.এস ও এস.এ রেকর্ডীয় মালিকের কাছ থেকে বিগত ০২/১১/১৯৬৭ইং তারিখে ২১০৫০নং রেজিঃকৃত সাফ কবলা দলিলমূলে জনাব মোঃ ফরিদ আলী, পিতা-মৃত মোঃ তালেব আলী মাদবর, খরিদ করে খরিদা সূত্রে মালিক ও ভোগদখলকার নিয়ত থাকেন এবং সকলের জ্ঞাতসারে নিরাপদে নির্বিবাদে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখলে নিয়ত থাকাবস্থায় আর.এস জরীপ আগত হলে তার নাম শুদ্ধরূপে আর.এস রেকর্ড লিপিবদ্ধ হয়ে গেজেট প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়। যার আর.এস খতিয়ান নং-৫৪৬, দাগ নং-২৪২২, ২৪২৩, ২৭৩৪, ২৭৩৫, ২৭৩৬,২৭৬৬ রেকর্ডকৃত জমির পরিমান মোট ১.৭০ একর। যার মধ্যে ২৭৩৪নং দাগে রেকর্ডকৃত জমির পরিমান ৫৭ শতাংশ। এর কাতে ৪.১২৫ শতক বাদী পক্ষের খরিদকৃত। যা নালিশী সম্পত্তি বটে।

৩। অতঃপর, আর.এস রেকর্ডীয় মালিক জনাব মোঃ ফরিদ আলী নালিশী ‘ক’ তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি সহ অন্যান্য সম্পত্তি ভোগ দখলে নিয়ত থাকা অবস্থায় বিগত ১৯/০৮/১৯৮৪ইং তারিখে নগদ অর্থের প্রয়োজনে ১০৩৪নং সাফ কবলা দলিল দ্বারা অত্র মোকদ্দমার বাদী জনাব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, পিতা- মোঃ মাহমুদুর রহমানের নিকট নালিশী ‘ক’ তফসিল বর্ণিত এস.এ ১০১৪ (এক হাজার চৌদ্দ) এবং আর.এস ২৭৩৪ নং দাগের কাতে ৪.১২৫ শতাংশ বা স্থানীয় মাপে ২১২ (আড়াই) কাঠা জমি বিক্রয় করে বিক্রিত জমির দখল মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সাহেবকে বুঝিয়ে দিয়ে নালিশী ‘ক’ তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি চিরতরে নিঃস্বত্ববান হন।

৪। অতঃপর, খরিদসূত্রে মালিক ও ভোগ দখলকার জনাব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান নালিশী ‘ক’ তফসিল বর্ণিত সম্পত্তিতে কাচা-পাকা গৃহাদি নির্মাণ করে ফলজ বৃক্ষাদি রোপন করে বিদ্যুৎ আনয়ন করে তথায় সকলে অদ্যবদি নিরাপদে, নির্বিবাদে শান্তিপুর্ণভাবে দখলে নিয়ত আছে। যার ১নং বিবাদীর কোন স্বত্ব, স্বার্থ, দখল, অধিকার কোন কিছুই নাই। কিংবা থাকার প্রশ্নও আসে না।

৫। অতঃপর, খরিদসূত্রে মালিক ও ভোগ দখলকার অত্র মোকদ্দমার বাদী জনাব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান নালিশী ‘ক’ তফসিল বর্ণিত সম্পত্তিতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখলে নিয়ত থাকাবস্থায় ঢাকা সিটি জরীপ আগত হলে বিভিন্ন পারিবারিক সমস্যা ও শারীরিক অসুস্থতার জন্য তার নাম সঠিকভাবে রেকর্ডে লিপিবদ্ধ হয়েছে কিনা তা দেখতে পারেন নাই। যেহেতু, ‘ক’ তফসিল বর্ণিত সম্পত্তির দখল ও স্বত্বের সকল কাগজপত্রাদি অত্র বাদীর স্বপক্ষে আছে। বাদী নিয়মিত খাজনাদিও পরিশোধ করে আসছেন। তাই, স্বাভাবিক নিয়মেই তার নামে সিটি জরিপে রেকর্ড লিপিবদ্ধ হয়ে গেজেট প্রচারিত ও প্রকাশিত হওয়ার কথা। কিন্তু, দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সম্পূর্ণ অন্যায়, অবৈধ ও বে-আইনী ভাবে ২নং থেকে ৭নং বিবাদীগণের অসৎ ও অন্যায় যোগসাজশে ১নং বিবাদীর নামে ঢাকা সিটি জরীপে রেকর্ড লিপিবদ্ধ হয়ে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়। যা বাদী পক্ষ বিগত ০১/০২/২০১৩ইং তারিখে ঢাকা সিটি জরিপের গেজেড পর্চা উঠানোর পরে জানতে পারে এবং ৭নং বিবাদীর নিকট খাজনা দিতে গেলে তিনি খাজনা নিতে অস্বীকার করলে এই অন্যায় সম্পর্কে জানতে পারে। যা সম্পূর্নরূপে অবৈধ, বে-আইনী ও অকার্যকর বটে।

৬। নালিশী ‘ক’ তফসিল বর্ণিত সম্পত্তিতে ১নং বিবাদীর কখনই কোন স্বত্ব, স্বার্থ, অধিকার বা দখল ছিল না। ইহা সর্বদাই বাদী পক্ষ ও তার পূর্ববর্তী বায়াদের দখলে ছিল। এমতাবস্থায়, বাদী পক্ষের ভোগ দখলীয় নালিশী ‘ক’ তফসিল বর্ণিত যা ১নং বিবাদীর নামীয় ‘খ’ তফসিল বর্ণিত ঢাকা সিটি জরিপের তর্কিত খতিয়ানে অন্যায় ও অবৈধভাবে লিপিবদ্ধ হয়েছে উক্ত ৪২০৩নং খতিয়ানের ১১৮৪৪নং দাগের ষোল আনা ৩.৩২ শতাংশ সংশোধন করে বাদী পক্ষের এবং রেকর্ডকৃত জমির পরিমান ৩.৩২ শতক এর স্থলে ৪.২১৫ শতাংশ করে সংশোধিত রের্কডের প্রচার ও প্রকাশের জন্যই বাদী পক্ষ বাধ্য হয়ে অত্র মোকদ্দমা দায়ের করলেন।

৭। মোকদ্দমার কারণঃ বিগত ০১/০২/২০১৩ইং তারিখে যে দিন বাদী পক্ষ ঢাকা সিটি জরিপের গেজেটের পর্চা উত্তোলন করেন এবং তফশিল অফিস হতে খাজনা নিতে অস্বীকার করা হয় সেদিন অত্র মোকদ্দমার কারণ উদ্ভব হয়। যা বিজ্ঞ আদালতের বিচার এখতিরাধীন ঢাকা জেলা সাবেক-মোহাম্মদপুর, হালে ধানমন্ডি থানাধীন জিগাতলা মৌজায় উদ্ভব হয়েছে। যা অদ্য বিদ্যমান আছে।

৮। কোর্ট ফিঃ যেহেতু, বাদী নালিশী জমিতে ভোগ দখলে নিয়ত আছেন এবং অত্র মোকদ্দমা একটি ঘোষণামূলক মোকদ্দমা হওয়ায় এবং এর কোর্ট ফি নির্নয়ের কোন মানদন্ড না থাকায় ৩০০/- টাকার অ্যাডভোলারাম কোর্ট ফি প্রদানে বাদী অত্র মোকদ্দমা রুজু করলেন।

৯। অতএব হুজুর আদালতে বিনীত প্রার্থনা এই যে,




(ক) বাদীর ভোগ দখলীয় ‘ক’ তফসিল বর্ণিত নালিশী ৪.১২৫ অযুতাংশ বা স্থানীয় মাপে ২১২ (আড়াই কাঠা) জমি ‘খ’ তফসিল বর্ণিত তর্কিত ঢাকা সিটি জরিপের ৪২০৩নং খতিয়ানের ১১৮৪৪নং দাগে রেকর্ডকৃত ৩.৩২ শতাংশ জমি ১নং বিবাদীর নামে রেকর্ড হওয়া সম্পূর্ণরূপে ভুল, বে-আইনী এবং অকার্যকর মর্মে আদেশ দিতে;

(খ) বাদীর ভোগ দখলীয় ‘ক’ তফসিল বর্ণিত ৪.১২৫ অযুতাংশ জমি ১নং বিবাদীর নামীয় ‘খ’ তফসিলে বর্ণিত তর্কিত ১৪৮৪৪নং দাগের তর্কিত ৩.৩২ শতাংশ জমি (যা প্রকৃত ৪.১২৫ শতাংশ হতে রাস্তার জন্য ছাড়কৃত জায়গা বাদে) ঢাকা সিটি জরিপের রেকর্ড একই দাগ, খতিয়ানে কিংবা বাদীর নামে নতুন দাগ খতিয়ান খুলে ঢাকা সিটি জরিপের রেকর্ড বাদীর বরাবরে প্রদান করতঃ ঢাকা সিটি জরিপের নালিশী জমির রেকর্ড সংশোধন করার জন্য এবং সংশোধিত রেকর্ডের পর্চা বাদীর বরাবরে প্রদানের জন্য (২-৭)নং বিবাদীগণকে নির্দেশ দিতে;

(গ) মোকাদ্দমার খরচ বাদীর স্বপক্ষে এবং বিবাদীর বিরুদ্ধে আদেশ দিতে;

(ঘ) বাদী আইন, ন্যায়নীতি ও ন্যায় বিচারে আর যে যে প্রতিকারাদি পাওয়ার হকদার সেই সকল প্রতিকারাদি বাদী বরাবরে প্রদানের আদেশ দিতে মর্জি হয়;

এবং

তজ্জন্য অত্র বাদী চিরকৃতজ্ঞ থাকবে।

তফসিল ‘ক’

জেলা-ঢাকা, সদর সাব রেজিষ্ট্রার সাবেক লালবাগ, জিগাতলা হালে ধানমন্ডি থানাধীন ঢাকা কালেক্টরীর ৫৫৬৪নং তৌজিভুক্ত মৌজা ৩৪৯নং জিগাতলাস্থিত সাবেক ১৫১নং খারিজা ১৭৭/৩নং এস.এ ১৭৭নং আর.এস ৫৪৬নং খতিয়ানভুক্ত, সি.এস ও এস.এ ১০১৪নং দাগের আর.এস ২৭৩৪নং দাগের কাতে ৩০ শতাংশ এর কাতে ৪.১২৫ শতাংশ জমি বা স্থানীয় মাপে ২১২ (আড়াই) কাঠা ভূমি হতে রাস্তার জন্য ছাড়কৃত জায়গা বাদে ৩.৩২ শতাংশ ভূমি যা নালিশী সম্পত্তি বটে। যার চৌহদ্দিঃ উত্তরেঃ আরিফ, দক্ষিণেঃ মোঃ ফরিদ আলী, পূর্বেঃ মোঃ ফরিদ আলী, পশ্চিমেঃ মোঃ মদন আলী।

তর্কিত ‘খ’ তফসিল

ঢাকা জেলার সাবেক মোহাম্মদপুর থানা হালে ধানমন্ডি থানাধীন জিগাতলা জরিপ খতিয়ান নং-৪২০৩, দাগ নং-১১৮৪৪, জমির শ্রেণী ভিটা জমির পরিমা ০৩৩২ শতাংশ নালিশী সম্পত্তি বটে। ৮(খ) নং রেকর্ডকৃত জমির পরিমান ৩.৩২ শতাংশ এর স্থলে ৪.১২৫ শতাংশ হবে এবং ১নং ঘরে ১নং বিবাদীর নামে কর্তন করে বাদীর নাম অন্তর্ভূক্ত হবে বটে। ইহাই নালিশী সম্পত্তি বটে।

Check Also

আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষার প্রন্তুতির জন্য দেওয়ানী কার্যবিধির ভাষ্য

দেওয়ানী কার্যবিধির ধারা-১৪ (আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষার প্রন্তুতি)

আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষার প্রন্তুতির জন্য দেওয়ানী কার্যবিধির ভাষ্য

দেওয়ানী কার্যবিধির ধারা-১৩ (আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষার প্রন্তুতি)