Thursday , April 18 2024

নারী অপহরণ করা হলে করণীয় কি?

যে ব্যক্তি সম্মতি দানে সমর্থ সেই ব্যক্তির সম্মতি ব্যতিত বা যে ব্যক্তি সম্মতি দানে অসমর্থ তার সংগত অভিভাবকের সম্মতি ব্যতিত উক্ত ব্যক্তিকে বাংলাদেশের বাইরে বা বাংলাদেশের ভিতরে স্থানান্তর করা হলে উক্ত ব্যক্তিকে অপহরণ করা হয়েছে বলে গণ্য করা হবে। দণ্ডবিধির ৩৬২ ধারা এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২(খ) ধারা মতে, যদি কোনো ব্যক্তি নারী বা শিশু পাচারের উদ্দেশ্য ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে কোনো নারী বা শিশুকে জোরপূর্বক কোনো স্থান থেকে গমন করার জন্য বাধ্য করে বা কোনো প্রতারণামূলক উপায়ে ফুসলিয়ে বা ভুল বুঝিয়ে বা ভীতি প্রদর্শন করে প্রলুব্ধ করে, তবে সেই ব্যক্তি উক্ত নারী বা শিশুকে অপহরণ করেছে বলে গণ্য হবে।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ অনুযায়ী শাস্তিঃ এই আইনের ধারা ৭ অনুযায়ী যদি কোনো ব্যক্তি কোনো নারী বা শিশুকে অপহরণ করে তবে ওই ব্যক্তির সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা কমপক্ষে চৌদ্দ বছরের জেল এবং জরিমানা।

উদাহরণঃ নূরুল নূরজাহানকে অনেক টাকার লোভ দেখিয়ে ঢাকায় নিয়ে যেতে চায় এবং চাকুরি দিতে চায়।নূরজাহান রাজী না হলে সে তাকে ভয় দেখানোর জন্য ধারালো অস্ত্র বের করে এবং তার সাথে যেতে বলে। এক্ষেত্রে নূরুল অপহরণের অপরাধে অপরাধী হবে এবং তার শাস্তি হবে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা কমপক্ষে চৌদ্দ বছরের জেল এবং জরিমানা।

এজাহার দায়েরের মাধ্যমে প্রতিকারঃ নারী অপহরণের সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে আপনার  নিকটস্থ পুলিশ থানাতে গিয়ে বিষয়টি জানান। বিষয়টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এজাহার হিসাবে গণ্য করলে তিনি ঘটনাটি প্রাথমিক তথ্য বিবরনী ফরম বা F.I.R ফরমে লিপিবদ্ধ করবেন এবং এটি নথিভুক্ত করে সংশ্লিষ্ট এখতিয়ার সম্পন্ন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে প্রেরন করবেন। মামলাটি সংশ্লিষ্ট এখতিয়ারাধীন ম্যাজিষ্ট্রেট আমলে গ্রহন করলে, উক্ত মামলার আসামীদেরকে আদালতের সামনে উপস্থিত হওয়ার জন্য একটি তারিখ ধার্য করবেন এবং পরবর্তীতে মামলাটি বিচারের জন্য উপযুক্ত আদালত তথা ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করবেন। যদি কোন কারনে এজাহার দায়ের করতে বিলম্ব হয়ে যায় তবে বিলম্ব হওয়ার কারন থানাকে অবহিত করুন।

আদালতে মামলা দায়েরের মাধ্যমে প্রতিকারঃ যদি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অপরাধটি গ্রহন করতে সম্মত না হন তাহলে থানায় যে কারনে মামলাটি গ্রহন করা হয়নি সেই কারন থানা কর্তৃক নির্দিষ্ট ফরমে লিপিবদ্ধ করে নিয়ে কিংবা সরাসরি আরজি দাখিলের মাধ্যমে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করতে পারবেন।

[yottie id=”12″]

Check Also

সরকারি ও বেসরকারি চাকুরির প্রিলিমিনারি পরিক্ষার প্রস্তুতি (আর্ন্তজাতিক বিষয়াবলী)