Saturday , April 27 2024

নারী অধিকার (পারিশ্রমিক বা মজুরী সংক্রান্ত), পর্ব-১

যখন থেকে শ্রম, মালিক এবং শ্রমিকের সূচনা তখন থেকেই পারিশ্রমিক বা মজুরীর সৃষ্টি। সাধারন ভাষায় মজুরী হলো কর্মক্ষেত্রে কাজের বিনিময়ে অর্থ প্রাপ্তি। অর্থাত্‍  চাকরির্ শর্ত পূরণ সাপেক্ষে যা কিছু পরিশোধযোগ্য তাই মজুরী। ১৯৩৬ সালের মজুরী পরিশোধ আইনের ২(৬) ধারায় মজুরীর সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে৷ সেখানে বলা হয়েছে, মজুরী বলতে অর্থ প্রকাশযোগ্য যেকোন পারিতোষিক বা চাকুরীর শর্ত, ব্যক্ত বা আরোপিত যাই হোক না কেন, পূরণ সাপেক্ষে কোন ব্যক্তিকে প্রদেয় হয় বা যা কাজে নিযুক্ত ব্যক্তির নিয়মিত উপস্থিতি, ভাল কাজ বা আচরন বা ভাল ব্যবহার এর শর্ত সাপেক্ষে নিযুক্ত ব্যক্তিকে তার নিযুক্তির কারনে বা কৃত কাজের জন্য পরিশোধযোগ্য তাকে বুঝায় এবং যে কোন বোনাস বা উপরে বর্ণিত ধরনের পরিশোধযোগ্য অন্যান্য অতিরিক্ত পারিতোষিক বা এরূপ চাকরির অবসানের দরুন যে অর্থ প্রদেয় হয় তাও এর অন্তর্ভুক্ত।

শ্রম মানেই মজুরী অার সেই সাথে মজুরী পরিশোধের বিভিন্ন নিয়ম এবং অনিয়ম। শ্রমের বিনিময়ে মজুরী প্রতিটি শ্রমিকের নিরাপত্তামূলক একটি ব্যবস্থা ৷মজুরী পরিশোধে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ইংল্যান্ডে ১৯২৫ সালে সাপ্তাহিক মজুরীর ব্যাপারে আইন তৈরী করার চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু তা আর বাস্তবায়ন করা হয়নি তার কারণ হল সরকার আশ্বাস দিয়েছিলেন এই বলে যে দেরীতে মজুরীর বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। এর পর ১৯৩০ সালে রয়েল কমিশন দেরীতে মজুরী পরিশোধ, মজুরীর মেয়াদ, মজুরী থেকে কর্তন ইত্যাদি বিষয় পর্যবেক্ষন করে একটি প্রতিবেদন পেশ করে। এই প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করেই ১৯৩৬ সালের ২৩ জানুয়ারী মজুরী পরিশোধ আইন পাশ করা হয়।

দেশে নারী শ্রমিকের সংখ্যা বাড়লেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের ব্যাপারে দেশের প্রচলিত শ্রম আইন মানা হয় না৷ শ্রম আইন সম্পর্কে নারী শ্রমিকদের কোন  ধারনা না থাকায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আরা তাদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

Check Also

আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষার প্রন্তুতির জন্য দেওয়ানী কার্যবিধির ভাষ্য

দেওয়ানী কার্যবিধির ধারা-১৪ (আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষার প্রন্তুতি)

আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষার প্রন্তুতির জন্য দেওয়ানী কার্যবিধির ভাষ্য

দেওয়ানী কার্যবিধির ধারা-১৩ (আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষার প্রন্তুতি)