নারী অধিকার (পারিশ্রমিক বা মজুরী সংক্রান্ত), পর্ব-৩
কখন মজুরী কাটা যাবেঃ যে সব ক্ষেত্রে কাজে নিয়োজিত কোন ব্যক্তির মজুরী কেটে নেয়া যাবে তা ১৯৩৬ সালের মজুরী পরিশোধ আইনের ৭ ধারায় বলা আছে। তবে ১৮৯০ সালের রেলওয়ে আইনের ৪৭ (২) ধারার বিধান থাকা সত্বেও ১৯৩৬ সালের মজুরী পরিশোধ আইন দ্বারা বা এই আইনে যদি নিষেধ করা না থাকে তবে মজুরী থেকে না কেটে সম্পূর্ণ মজুরী পরিশোধ করতে হবে এবং যদি কাজে নিয়োজিত কোন ব্যক্তি মালিক বা মালিকের প্রতিনিধিকে কোন কিছু পরিশোধ করে তবে যে টাকা পরিশোধ করবে তা মজুরী থেকে বাদ যাবে। এই ধারায় আরও বলা হয়েছে যে, শুধুমাত্র এই আইন অনুযায়ী চাকরিতে নিয়োজিত কোন ব্যক্তির মজুরী কাটা যাবে। এই ধারা অনুযায়ী যে ধরনের মজুরী কর্তন বা মজুরী কাটা হতে পারে সেগুলো হলঃ
(ক) জরিমানা;
(খ) কাজে অনুপস্থিতির জন্য;
(গ) মালামালের ক্ষতি বা তার জবাবদিহি করতে হয় এমন অর্থের ক্ষতি এক্ষেত্রে সেই সমস্ত ব্যক্তির মজুরী কাটা যাবে যারা দায়িত্বে অবহেলা করেছে;
(ঘ) মালিক আবাসিক সুবিধা বাবদ যে অর্থ প্রদান করবে তা কর্তন হিসেবে বিবেচিত হবে;
(ঙ) মালিক যদি সাধারণ বা বিশেষ কোন সুযোগ সুবিধা প্রদান করেন তবে সেই কারণে মজুরী কাটা যাবে, (তবে যন্ত্রপাতি বা কাচামাল কেনা এর মধ্যে পড়বে না)।
(চ) অগ্রীম হিসেবে যদি অতিরিক্ত মজুরী প্রদান করা হয় তবে তা মজুরী থেকে অতিরিক্ত মজুরী কাটা যাবে।
(ছ) আয়কর মজুরী থেকে কাটা যাবে।
(জ) আদালত বা নির্দেশ দেয়ার ক্ষমতা সম্পন্ন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মজুরী কাটা যাবে।
(ঝ) ১৯২৫ সালের প্রভিডেন্ট ফান্ড আইন বা ১৯২২ সালের এবং আয়কর আইন এবং এই উদ্দেশ্যে সরকার অনুমোদিত অন্য কোন প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে যদি চাদা বা অগ্রিম উসুল দেয় তবে তা মজুরী থেকে কাটা যাবে।
(ঞ) সমবায় সমিতি বা বীমার জন্য যদি কোরন অর্থ প্রদান করে থাকে তবে তা মজুরী থেকে কাটা যাবে।
(ট) সরকার অনুমোদিত কোন সঞ্চয় পরিকল্পনার উন্নয়নের জন্য ঋণ পত্র কেনার জন্য চাকরিতে নিযুক্ত ব্যক্তির লিখিত অনুমতি সাপেক্ষে মজুরী থেকে কেটে নেয়া যাবে।
(দেখুনঃ ১৯৩৬ সালের মজুরী পরিশোধ আইনের ধারা-৭)