নারী অধিকার (পারিশ্রমিক বা মজুরী সংক্রান্ত), পর্ব-৪
যে সব ক্ষেত্রে মজুরী দেয়া যাবে নাঃ ১৯৩৬ সালের মজুরী পরিশোধ আইনের ১৫ (৩) উপধারায় বলা আছে যেখানে যেখানে মজুরী দেয়া যায় না, যেমনঃ
- মজুরীর ব্যাপারে প্রকৃত কোন ভুল ভ্রান্তি থাকলে বা কোন বিরোধ থাকলে, অথবা
- এমন কোন জরুরী বা অস্বাভাবিক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল যার কারণে যুক্তিসংগত ভাবে চেষ্টা করা সত্বেও মজুরী পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি, অথবা
- মজুরী গ্রহণ করার জন্য উপস্থিত হতে বা মজুরী গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট নিযুক্ত ব্যক্তি ব্যর্থ হয়েছেন।
(দেখুনঃ ১৯৩৬ সালের মজুরী পরিশোধ আইনের ধারা-১৫)
১৯৩৭ সালের মজুরী পরিশোধ বিধিমালা অনুযায়ীঃ মজুরী পরিশোধের ক্ষেত্রে যে তারিখে মজুরী পরিশোধ করা হবে তা নোটিশ আকারে প্রকাশ করতে হবে৷ এ ব্যাপারে ১৯৩৭ সালের মজুরী পরিশোধ বিধিমালার ৮ ধারায় বলা হয়েছে যে পে-মাষ্টার যে তারিখে মজুরী পরিশোধ করবে তা নির্ধারিত তারিখের এক মাস আগে বাংলায় নোটিশ আকারে কারখানায় প্রবেশ পথে বা নিকটবর্তী প্রকাশ্য স্থানে রাখতে হবে।
(দেখুনঃ ১৯৩৭ সালের মজুরী পরিশোধ বিধিমালার বিধি-৮)
১৯৬১ সালের নিম্নতম মজুরী বিধিমালা অনুযায়ীঃ ১৯৬১ সালের নিম্নতম মজুরী বিধিমালার ১৪নং বিধিতে বলা হয়েছে যে, একই রকম কাজে নিয়োজিত নারী ও পুরুষ শ্রমিকদের জন্য নিম্নতম মজুরী নির্ধারনের সময় মজুরীর সমতার নীতি প্রযোজ্য হবে। অর্থাত্ একই কাজের নারী ও পুরুষ শ্রমিকের বেতন হবে একই রকম ৷ এক্ষেত্রে কোন পার্থক্য থাকা চলবে না।
(দেখুনঃ ১৯৬১ সালের নিম্নতম মজুরী বিধিমালার বিধি-১৪)