Friday , March 29 2024

নারী অধিকার (পারিশ্রমিক বা মজুরী সংক্রান্ত), পর্ব-৫

১৯৬৫ সালের শ্রমিক নিয়োগ (স্থায়ী আদেশ) আইন অনুযায়ী যদি কখনও কারখানায় অগ্নিকান্ড, আকস্মিক বিপদ ঘটে, যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে যায়, বিদ্যুত্‍ ‍সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, মহামারী বা অসামরিক হাঙ্গামা সংঘটিত হয় অথবা কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত অন্য কোন কারণ ঘটে তবে মালিক বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃপক্ষ উক্ত কারখানা সম্পূর্ণ বা যেকোন অংশ বা অংশসমূহ বন্ধ করে দিতে পারেন। এছাড়া কারখানার কোন অংশে বা বিভাগে ধর্মঘটের ক্ষেত্রে উক্ত অংশ বা বিভাগ বা এক অংশ বা বিভাগ দ্বারা প্রভাবিত অন্য অংশ বা বিভাগও বন্ধ করে দেওয়া যাবে।

এরকম বন্ধের সময় মজুরি পাবার নিয়মঃ ১৯৬৫ সালের শ্রমিক নিয়োগ (স্থায়ী আদেশ) আইনের ৬(৪) ধারায় বলা হয়েছে, এভাবে  কারখানা বন্ধ হওয়ার ফলে শ্রমিকগণ আটকা পড়লে-

(ক) আটক পড়ার মেয়াদ অনধিক এক ঘন্টা হলে, শ্রমিকগণ এরূপ আটকের জন্য কিছুই পাবেন না;

(খ) এক ঘন্টার বেশি সময় আটক থাকলে শ্রমিকগণ সম্পূর্ণ আটককালীন সময়ের জন্য মজুরি পাবেন।

৬ (৫) ধারায় বলা হয়েছে, কাজ বন্ধ রাখার সময়-সীমা যদি এক কার্যদিবসের অতিরিক্ত না হয় এবং শ্রমিকরা যদি উপধারা (৪) এর অনুচ্ছেদ (খ) অনুযায়ী এক ঘন্টার অতিরিক্ত আটকের জন্য মজুরি পাওয়ার অধিকারী না হয় তবে কোন মজুরি পাবেন না,  কিন্তু কাজ বন্ধরাখার সময়-সীমা এক কর্মদিবসের অতিরিক্ত হলে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক (ঠিকা ও বদলি শ্রমিক ব্যতিরেকে) এক কার্যদিবসের অতিরিক্ত দিন বা দিনগুলোর জন্য মজুরি পাবেন এবং কাজ বন্ধ রাখার সময়-সীমা তিন দিনের অতিরিক্ত হলে শ্রমিকগণকে লে-অফ করা যেতে পারে এবং এরূপ লে-অফ কাজ বন্ধ হওয়ার দিন থেকে কার্যকরী হবে এবং প্রথম তিন দিনের জন্য শ্রমিককে কোন মজুরী দেওয়া হয়ে থাকলে তা লে-অফ বাবদ পাওনা থেকে কেটে নেওয়া যাবে। যে সকল শ্রমিককে কাজের পরিমাণ ভিত্তিক মজুরী দেয়া হয় তাদের পূর্ববর্তী মাসের দৈনিক গড় আয়কে দৈনিক মজুরি হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।

৬(৬) ধারা মতে, কোন দোকানের, বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের কোন অংশে বা বিভাগে ধর্মঘটের ক্ষেত্রে উক্ত কোন শাখা বা বিভাগ বন্ধ হলে এরূপ বন্ধ দ্বারা প্রভাবিত শ্রমিকদেরকে মজুরি প্রদান নাও করা যেতে পারে। শর্ত হচ্ছে যে, মালিককে এরূপ বন্ধ রাখার বিষয়টি এবং বন্ধের পরে কাজ পুনরায় শুরু হওয়ার বিষয়টি যত তাড়াতাড়ি  সম্ভব, কারখানার সংশ্লিষ্ট শাখা অথবা বিভাগের নোটিশ বোর্ডে এবং টাইম কিপারের অফিসে নোটিশ লটকিয়ে জানিয়ে দিতে হবে।

(দেখুনঃ ১৯৬৫ সালের শ্রমিক নিয়োগ (স্থায়ী আদেশ) আইনের ধারা-৬)