নারী অধিকার লংঘন ও প্রতিকার (প্রসঙ্গঃ এসিড নিক্ষেপ), পর্ব-১
এসিড হলো দহনকারী, ক্ষয়কারী ও বিষাক্ত যে কোন পদার্থ। সহজভাবে বলা যায় এসিড হলো গাঢ়, তরল অথবা মিশ্রনসহ যে কোন প্রকার সালফিউরিক এসিড, হাইড্রোক্লোরিক এসিড, নাইট্রিক এসিড, ফসফরিক এসিড, ক্ষার জাতীয় কস্টিক সোডা, কস্টিক পটাশ, কার্বলিক এসিড, ব্যাটারী ফ্লুইড (এসিড), ক্রোমিক এসিড ও একোয়া-রেজিয়া এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত এসিড জাতীয় অন্যান্য দ্রব্যাদি।
এসিড দ্বারা মৃত্যু ঘটানোর শাস্তিঃ এসিড নিক্ষেপের ফলে যদি কোন ব্যক্তির মৃত্যু ঘটে তাহলে এসিড অপরাধ দমন আইন, ২০০২ এর (৪) ধারা মতে, এসিড নিক্ষেপকারীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড বা মৃত্যুদন্ড হবে এবং একই সাথে অতিরিক্ত এক লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে। (দেখুনঃ এসিড অপরাধ দমন আইন, ২০০২ এর ধারা ৪)
এসিড দ্বারা আহত করার শাস্তিঃ এসিড অপরাধ দমন আইন, ২০০২ এর (৫) ধারা মতে, এসিড নিক্ষেপের ফলে যদি কোন ব্যক্তির দৃষ্টিশক্তি বা শ্রবণশক্তি সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে নষ্ট হয় বা মূখমন্ডল, স্তন বা যৌনাঙ্গ বিকৃত বা নষ্ট হয় তাহলে এসিড নিক্ষেপকারীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড বা মৃত্যুদন্ড হবে এবং একই সাথে অতিরিক্ত এক লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে এবং এসিড নিক্ষেপের ফলে যদি কোন ব্যক্তির শরীরের অন্য কোন অঙ্গ, গ্রন্থি বা অংশ বিকৃত বা নষ্ট হয় বা শরীরের কোন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হয় তাহলে এসিড নিক্ষেপকারীর ৭-১৪ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদন্ড হবে। (দেখুন : এসিড অপরাধ দমন আইন, ২০০২ এর ধারা ৫)