নারী অধিকার লংঘন ও প্রতিকার (প্রসঙ্গঃ এসিড নিক্ষেপ), পর্ব-২
এসিড নিক্ষেপ করা বা নিক্ষেপের চেষ্টা করার শাস্তিঃ এসিড অপরাধ দমন আইন, ২০০২ এর (৬) ধারা মতে, যদি কোন ব্যক্তি অন্য কারও উপর এসিড নিক্ষেপ করে বা করার চেষ্টা করে এবং এর কারনে উক্ত ব্যক্তির শারীরিক, মানসিক বা অন্য কোনভাবে কোন ধরনের ক্ষতি না হলেও এসিড নিক্ষেপকাররী বা এসিড নিক্ষেপে চেষ্টাকারীর ৩-৭ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদন্ড হবে এবং একই সাথে অতিরিক্ত পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। (দেখুনঃ এসিড অপরাধ দমন আইন, ২০০২ এর ধারা ৬)
অপরাধে সহায়তার শাস্তিঃ এসিড অপরাধ দমন আইন, ২০০২ এর (৭) ধারা মতে, কেউ যদি উপরোক্ত কর্মকান্ডের জন্য অন্য যেকোন ব্যক্তিকে সহায়তা করে এবং এর ফলে উপরে উল্লেখিত যেকোন একটি অপরাধ সংঘটিত হয় তাহলে ঐ অপরাধ সংঘটিত করার জন্য বা অপরাধটি সংঘটনের চেষ্টার জন্য উপরে নির্ধারিত শাস্তি অবধারিত। (দেখুনঃ এসিড অপরাধ দমন আইন, ২০০২ এর ধারা ৭)
মিথ্যা মামলা, অভিযোগ দায়ের, ইত্যাদির শাস্তিঃ কেউ যদি শত্রুতাবশত অন্য কারও নামে এসিড আইনের অধীনে কোন মিথ্যা মামলা করেন বা করতে সাহায্য করেন তাহলে এসিড অপরাধ দমন আইন, ২০০২ এর (৮) ধারা মতে, তাদের ৭ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদন্ড হবে এবং একই সাথে অতিরিক্ত অর্থ জরিমানা দিতে হবে। (দেখুন এসিডঅপরাধ দমন আইন, ২০০২ এর ধারা ৮)
এসিড আক্রান্ত হলে করণীয় বিষয়গুলো কি কি?
- চোখে এসিড লাগলে চোখ ফাঁক করে সরাসরি চোখে পানি ঢালতে হবে। এসিড নিক্ষেপের শিকার হওয়ার পর পরই আক্রান্ত ব্যক্তির ক্ষতস্থানে প্রচুর পরিমাণে পানি ঢালতে হবে।
- এসিড যদি সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে তবে আক্রান্ত ব্যক্তি এক্ষেত্রে পুকুর বা নদীতে (সম্ভব হলে) নেমে দীর্ঘক্ষণ শরীর বা আক্রান্ত স্থান পানির নীচে ডুবিয়ে রাখতে পারেন।
- আক্রান্ত ব্যক্তিকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে (ডাক্তারের কাছে) নিয়ে যেতে হবে।
(এখানে মনে রাখা প্রয়োজন আক্রান্ত ব্যক্তির ক্ষতস্থানে কোন ক্রমেই তুলা বা অন্য কোনো কাপড় লাগানো যাবে না এবং কোন প্রকার মলম ব্যবহার করা উচিত না)