নারী অধিকার লংঘন ও প্রতিকার (প্রসঙ্গঃ এসিড নিক্ষেপ), পর্ব-৭
আদালতে মামলা দায়েরের মাধ্যমে প্রতিকারের জন্য যেখানে যেতে হবেঃ
এই ধরনের অপরাধ বিচারের জন্য ২০০২ সালের নারী ও এসিড আপরাধ দমন আইনের অধীনে ‘এসিড অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করা হয়েছে।যদি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অপরাধটি গ্রহন করতে সম্মত না হন তাহলে থানায় যে কারনে মামলাটি গ্রহন করা হয়নি সেই কারন থানা কর্তৃক নির্দিষ্ট ফরমে লিপিবদ্ধ করে নিয়ে কিংবা সরাসরি আরজি দাখিলের মাধ্যমে সরাসরি এসিড অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করতে পারবেন।
এসিড অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল কি?
- এসিড সংক্রান্ত যে কোন ধরনের অপরাধ বিচারের জন্য সরকার এসিড অপরাধ দমন আইন, ২০০২ এর অধীনে এসিড অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছেন।
- প্রত্যেক জেলায় এই এসিড অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল রয়েছে। এর বিচারক হবেন জেলা জজ বা দায়রা জজগণের মধ্য থেকে যে কোন একজন। সরকার এর বিচারক নিযুক্ত করবেন।আপনি আক্রান্ত হলে এ আদালতে মামলা দায়ের করতে হবে।
- মামলার শুনানী শুরু হলে সেটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতি কর্ম দিবসে একটানা চলতে থাকবে।ট্রাইব্যুনাল মামলা প্রাপ্তির তারিখ হতে ৯০ দিনের মধ্যে বিচারের কাজ শেষ করবে।
- এই ট্রাইব্যুনালে ‘রুদ্ধদ্বার কক্ষে বিচার’ এর সুবিধা রয়েছে।কোনো ব্যক্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের বিবেচনায় উপযুক্ত মনে হলে আদালত শুধু মামলার দুই পক্ষ এবং তাদের নিয়োজিত আইনজীবীদের নিয়ে বিচার কার্য পরিচালনা করবেন।
- কোন শিশু এই আইনের আওতায় অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে অভিযুক্ত হলে তার ক্ষেত্রে Children Act, 1974 এর বিধান যতদূর সম্ভব অনুসরন করতে হবে।
- বিচার চলাকালে ট্রাইব্যুনাল যদি মনে করে, কোন ব্যক্তিকে নিরাপত্তামূলক হেফাজতে রাখা প্রয়োজন তবে ট্রাইব্যুনাল উক্ত ব্যক্তিকে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিতে পারে।
- ডাক্তারী পরীক্ষা সরকারী হাসপাতালে বা সরকার কর্তৃক এই ধরনের পরীক্ষার উদ্দেশ্যে স্বীকৃত কোন বেসরকারী হাসপাতালে সম্পন্ন করা যাবে।
- ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত রায় বা আদেশ যদি কোন পক্ষের পছন্দ না হয় তবে সেই রায় বা আদেশ প্রদানের তারিখ হতে ৬০ দিনের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে আপীল করা যাবে।