Wednesday , December 24 2025
👁️ আজকের ভিউ: 2,250 | মোট ভিউ: 125,424

নারী অধিকার লংঘন ও প্রতিকার (প্রসঙ্গঃ এসিড নিক্ষেপ), পর্ব-৯

বিচার পদ্ধতিঃ

  • ট্রাইব্যুনালে মামলার শুনানী শুরু হলে তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতি কর্মদিবসে (ধার্য তারিখে) একটানা চলবে এবং ট্রাইব্যুনাল বিচারের জন্য মামলার নথি প্রাপ্তির তারিখ হতে ৯০ দিনের মধ্যে বিচার কাজ সমাপ্ত করবে।
  • যদি কোন বিচারক বদলী হয়ে যায় সেক্ষেত্রে বিচারকার্য স্থগিত পর্যায় থেকে স্থলাভিষিক্ত বিচারক বিচার করবেন।
  • অবস্থা বিবেচনায় আদালত বিচার কার্যক্রম “রুদ্ধদার কক্ষে” অনুষ্ঠানের নির্দেশ দিতে পারেন।
  • প্রয়োজন মনে করলে আদালত নারীকে “নিরাপত্তা হেফাজতে” রাখার নির্দেশ প্রদান করতে পারেন।ন্যায় বিচারের স্বার্থে বিচারক কোনো সাক্ষীর সাক্ষ্য পুনরায় গ্রহণ করতে পারেন।
  • এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের শিকার কোনো নারীর মেডিক্যাল পরীক্ষা সরকারী হাসপাতালে বা সরকার কর্তৃক অনুমোদন প্রাপ্ত বেসরকারী হাসপাতালে করা যাবে।
  • আসামী যদি শুরু থেকেই আত্নগোপন করে থাকে এবং বিচারের সম্মুখীন না হয় তাহলে আইন অনুযায়ী তার অনুপস্থিতিতেই বিচার কার্যক্রম চলতে থাকবে। আসামী যেন এই বলে সুযোগ গ্রহণ করতে না পারে যে, কোন তারিখে এবং কখন হাজির হতে হবে তা তার জানা ছিল না, সেইজন্য-

(ক) আত্মগোপনকারী বা পলাতক আসামীর নাম বহুল প্রকাশিত কমপক্ষে দুইটি বাংলা দৈনিক সংবাদ পত্রে প্রকাশ করতে হবে।

(খ) আসামীকে হাজির হওয়ার নির্দেশ প্রদান করা, হাজির হওয়ার তারিখ, সময় ও স্থান অবশ্যই উহাতে উল্লেখ করতে হবে।

(দেখুনঃ এসিড অপরাধ দমন আইন – ২০০২ এর ১৮ ধারা)

এভাবে আদালত তার বিচার কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।

মৃত্যুদন্ড অনুমোদনঃ এসিড অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদন্ড প্রদান করলে  তা অনুমোদনের জন্য মামলার নথি পত্র ফৌজদারী কার্যবিধির ৩৭৪ ধারার বিধানমতে হাইকোর্ট বিভাগে প্রেরণ করতে হবে। (দেখুনঃ এসিড অপরাধ দমন আইন – ২০০২ এর ২৭ ধারা)

আপিলঃ এসিড অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ বা রায় অথবা আরোপীত যে কোন দন্ডের প্রেক্ষিতে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি ইহার বিরুদ্ধে ৬০ দিনের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করতে পারবে। (দেখুনঃ এসিড অপরাধ দমন আইন – ২০০২ এর ২৬ ধারা)

Check Also

মুসলিম বিবাহের হলফনামা সংক্রান্ত লিগ্যাল ড্রাফটিং

ড্রাফটিং এর বিষয়ঃ মুসলিম বিবাহের হলফনামা সংক্রান্ত লিগ্যাল ড্রাফটিং। বরাবর, নোটারী পাবলিক এর কার্যালয়, ঢাকা, …

আপোষনামা বা মিমাংসাপত্রের লিগ্যাল ড্রাফটিং

ড্রাফটিং এর বিষয়ঃ কাল্পনিক তথ্য ব্যবহার করে দণ্ডবিধির ১৪৩, ৪৪৮, ৩২৩, ৩২৫, ৩০৭, ৩৭৯ ও …