নিলাম সংক্রান্ত অধিকার, লংঘন ও প্রতিকার, পর্ব-০৩
সার্টিফিকেট অফিসার যে ভাবে নিলাম কার্যকর করতে পারেনঃ দেনাদারের সম্পত্তি ক্রোক দ্বারা এবং সম্পত্তি ক্রোক ও বিক্রি দ্বারা। (১৯১৩ সালের সরকারী পাওনা আদায় আইনের ১৪ ধারা)
নিলাম বাতিলের আবেদনের পদ্ধতিঃ
কোনো স্থাবর সম্পত্তি সার্টিফিকেট মূলে নিলামে বিক্রি হলে দেনাদার বা নিলাম বিক্রির ফলে যিনি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তিনি নিলাম হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে নিলাম রদের জন্য সার্টিফিকেট অফিসারের নিকট (দি পাবলিক ডিমান্ড রিকভারী এক্ট ১৯১৩ আইনের ২২ ধারা মতে) আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের সঙ্গে দাখিল করতে হবেঃ
- যে পরিমাণ টাকার জন্য সম্পত্তি (স্থাবর) নিলাম হয়েছে সে পরিমাণ টাকা আবেদনের সঙ্গে দাখিল করতে হবে।
- নিলাম বিক্রিত মূল্যের উপর ৫% হারে ক্ষতিপূরণের টাকা আবেদনের সঙ্গে দাখিল করতে হবে।
- নিলাম ঘোষণার তারিখ হতে টাকা দাখিল করার দিন পর্যন্ত সময়ের জন্য ৬১/৪% হারে বার্ষিক সুদ দিতে হবে।
- কালেক্টরের অন্যান্য পাওনা (যদি থাকে)।
- দেনাদারকে প্রমাণ করতে হবে যে তিনি সার্টিফিকেট অফিসারের কোন নোটিস পাননি বা বিক্রয় পরিচালনায় (দি পাবলিক ডিমান্ড রিকভারী এক্ট ১৯১৩ আইনের) ২৩ ধারার অনিয়ম হয়েছে।
- এ আইনের ২৪ ধারা মতে নিলাম ক্রেতাও নিলাম রদের আবেদন করতে পারেন।
কতদিনের মধ্যে?
নিলাম ক্রয়ের ৬০ দিনের মধ্যে।
২৩ ধারার অনিয়ম বলতে যা বুঝাবেঃ
- ৭ ধারার নোটিশ ঠিকমত জারী না হওয়া;
- ৭ ধারার নোটিশের পর ৩০ দিন অতিবাহিত হওয়ার আগেই সার্টিফিকেট প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া;
- ৯ ধারার আপত্তি নিষ্পত্তি না করা;
- নিলাম কেসটি যেক্ষেত্রে তামাদি;
- দেনাদার নাবালক ও পাগল হলে অভিভাবক নিয়োগ না হলে;
- বিক্রি পরোয়ানায় সম্পত্তির পূর্ণ বিবরণ না থাকা;
- পরোয়ানায় সম্পত্তির মূল্য কম দেখানো;
- নিলামী সম্পত্তি যে ক্ষেত্রে বিক্রি যোগ্য নয়;
- বিক্রির জন্য নির্দিষ্ট তারিখে বিক্রি না হয়ে ভিন্ন তারিখে বিক্রি হওয়া ইত্যাদি।