Saturday , August 9 2025

Section 11. Res Judicata | রেস জুডিকাটা

দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮

(১৯০৮ সালের ৫নং আইন)

দায়িত্ব অব্যাহতি (Disclaimer): এটি শুধুমাত্র শিক্ষামূলক ও প্রশিক্ষণমূলক উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। এখানে প্রদত্ত সকল তথ্য, দৃষ্টান্ত ও উপাত্ত বিজ্ঞ আইনজীবীদের পেশাগত পরামর্শের বিকল্প নয়।
দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮ এর সূচীপত্রে ফিরে যান।

ধারার ইংরেজী ভার্সনঃ

Section 11. Res Judicata:
No Court shall try any suit or issue in which the matter directly and substantially in issue has been directly and substantially in issue in a former suit between the same parties, or between parties under whom they or any of them claim, litigating under the same title, in a court competent to try such subsequent suit or the suit in which such issue has been subsequently raised, and has been heard and finally decided by such Court.
Explanation I:
The expression “former suit” shall denote a suit which has been decided prior to the suit in question whether or not it was instituted prior thereto.
Explanation II:
For the purposes of this section, the competence of a Court shall be determined irrespective of any provisions as to a right of appeal from the decision of such Court.
Explanation III:
The matter above referred to must in the former suit have been alleged by one party and either denied or admitted, expressly or impliedly, by the other.
Explanation IV:
Any matter which might and ought to have been made ground of defence or attack in such a former suit shall be deemed to have been a matter directly and substantially in issue in such suit.
Explanation V:
Any relief claimed in the plaint, which is not expressly granted by the decree, shall, for the purposes of this section, be deemed to have been refused.
Explanation VI:
Where persons litigate bona fide in respect of a public right or of a private right claimed in common for themselves and others, all persons interested in such right shall, for the purposes of this section, be deemed to claim under the persons so litigating.

ধারার বাংলা ভার্সনঃ

ধারা ১১। রেস জুডিকাটাঃ
কোন আদালত এমন কোন মোকদ্দমা বা বিচার্য বিষয়ের বিচার করিবে না, যে মোকদ্দমা বা বিচার্য বিষয়ে প্রত্যক্ষ ও বাস্তবিকভাবে বিচার্য বিষয়টি একই পক্ষগণের মধ্যে, অথবা যে পক্ষগণের অধীনে তাহারা বা তাহাদের কেহ একই স্বত্বে মোকদ্দমা করিতেছে, পূর্ববর্তী কোন মোকদ্দমায় প্রত্যক্ষ ও বাস্তবিকভাবে বিচার্য ছিল এবং সেই মোকদ্দমা বিচার করিবার ক্ষমতা সম্পন্ন আদালত কর্তৃক অথবা যে মোকদ্দমায় এইরূপ বিচার্য বিষয়টি পরবর্তীতে উত্থাপিত হইয়াছে সেই মোকদ্দমা বিচার করিবার ক্ষমতা সম্পন্ন আদালত কর্তৃক শুনানির পর চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হইয়াছে।
ব্যাখ্যা ১ঃ “পূর্ববর্তী মোকদ্দমা” বলিতে এমন একটি মোকদ্দমাকে বুঝাইবে যাহা প্রশ্নাধীন মোকদ্দমার পূর্বে নিষ্পত্তি হইয়াছে, যদিও উহা উহার পূর্বে দায়ের করা হইয়াছিল কিনা তাহা বিবেচ্য নহে।
ব্যাখ্যা ২ঃ এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোন আদালতের ক্ষমতা সেই আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের অধিকার সম্পর্কিত কোন বিধান নির্বিশেষে নির্ধারিত হইবে।
ব্যাখ্যা ৩ঃ উপরে উল্লিখিত বিষয়টি পূর্ববর্তী মোকদ্দমায় এক পক্ষ কর্তৃক উত্থাপিত হইয়া থাকিবে এবং অন্য পক্ষ কর্তৃক স্পষ্টভাবে বা প্রচ্ছন্নভাবে অস্বীকার বা স্বীকার করা হইয়া থাকিবে।
ব্যাখ্যা ৪ঃ যে কোন বিষয় যাহা এইরূপ পূর্ববর্তী মোকদ্দমায় প্রতিরক্ষা বা আক্রমণের ভিত্তি হিসাবে উত্থাপিত হইতে পারিত এবং হওয়া উচিত ছিল, তাহা এইরূপ মোকদ্দমায় প্রত্যক্ষ ও বাস্তবিকভাবে বিচার্য বিষয় ছিল বলিয়া গণ্য হইবে।
ব্যাখ্যা ৫ঃ আরজিতে দাবি করা কোন প্রতিকার যাহা ডিক্রি দ্বারা সুস্পষ্টভাবে মঞ্জুর করা হয় নাই, তাহা এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, অস্বীকৃত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
ব্যাখ্যা ৬ঃ যেখানে ব্যক্তিগণ সদ্ভাবনায় নিজেদের এবং অন্যদের জন্য সাধারণভাবে দাবি করা কোন সরকারি অধিকার বা ব্যক্তিগত অধিকারের বিষয়ে মোকদ্দমা করে, সেখানে এইরূপ অধিকারের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তি এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, এইরূপ মোকদ্দমাকারী ব্যক্তিগণের অধীনে দাবি করিতেছে বলিয়া গণ্য হইবে।

বিশ্লেষণাত্মক আলোচনা

ধারা ১১ হলো দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধারাগুলোর মধ্যে একটি, যা ‘রেস জুডিকাটা’ (Res Judicata) নীতি নামে পরিচিত। এই নীতিকে বাংলায় ‘সিদ্ধান্তিত বিষয়’ বা ‘পূর্ব-মীমাংসিত বিষয়’ বলা হয়। এর মূল কথা হলো, একটি দেওয়ানি মোকদ্দমায় যখন একবার কোনো বিষয় নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে যায়, তখন একই বিষয় নিয়ে একই পক্ষগুলোর মধ্যে দ্বিতীয়বার আর কোনো মোকদ্দমা করা যাবে না। এর উদ্দেশ্য হলো, মোকদ্দমার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি নিশ্চিত করা, আদালতের সময় বাঁচানো এবং বিচারপ্রার্থীদের হয়রানি থেকে রক্ষা করা।
ধারাটির মূল অংশটি হলোঃ
“কোন আদালত এমন কোন মোকদ্দমা বা বিচার্য বিষয়ের বিচার করিবে না, যে মোকদ্দমা বা বিচার্য বিষয়ে প্রত্যক্ষ ও বাস্তবিকভাবে বিচার্য বিষয়টি একই পক্ষগণের মধ্যে, অথবা যে পক্ষগণের অধীনে তাহারা বা তাহাদের কেহ একই স্বত্বে মোকদ্দমা করিতেছে, পূর্ববর্তী কোন মোকদ্দমায় প্রত্যক্ষ ও বাস্তবিকভাবে বিচার্য ছিল এবং সেই মোকদ্দমা বিচার করিবার ক্ষমতা সম্পন্ন আদালত কর্তৃক অথবা যে মোকদ্দমায় এইরূপ বিচার্য বিষয়টি পরবর্তীতে উত্থাপিত হইয়াছে সেই মোকদ্দমা বিচার করিবার ক্ষমতা সম্পন্ন আদালত কর্তৃক শুনানির পর চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হইয়াছে।”
চলুন, এটাকে সহজ করে ভেঙে বুঝিঃ
“কোন আদালত এমন কোন মোকদ্দমা বা বিচার্য বিষয়ের বিচার করিবে না…”: এর মানে হলো, আদালত কোনো মোকদ্দমা বা মোকদ্দমার কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে আবার বিচার শুরু করতে পারবে না।
“...যে মোকদ্দমা বা বিচার্য বিষয়ে প্রত্যক্ষ ও বাস্তবিকভাবে বিচার্য বিষয়টি…”: যে বিষয়টি নিয়ে দ্বিতীয়বার মোকদ্দমা করা হচ্ছে, সেই একই বিষয়টি সরাসরি ও বাস্তবিক অর্থে (directly and substantially) আগের মোকদ্দমায় বিচার্য বিষয় ছিল। অর্থাৎ, বিষয়টি ছিল মোকদ্দমার মূল বিষয়বস্তু, কেবল আনুষঙ্গিক নয়।
“...একই পক্ষগণের মধ্যে, অথবা যে পক্ষগণের অধীনে তাহারা বা তাহাদের কেহ একই স্বত্বে মোকদ্দমা করিতেছে…”: আগের এবং পরের মোকদ্দমার পক্ষগুলো অবশ্যই একই হতে হবে, অথবা তারা এমন ব্যক্তি হবে যারা আগের মোকদ্দমার পক্ষগুলোর আইনি উত্তরসূরি বা তাদের পক্ষ থেকে একই অধিকার দাবি করছে।
“...পূর্ববর্তী কোন মোকদ্দমায় প্রত্যক্ষ ও বাস্তবিকভাবে বিচার্য ছিল…”: অর্থাৎ, বিষয়টি আগের মোকদ্দমায় বিচারকদের সামনে উত্থাপিত হয়েছিল এবং তারা এটি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
“...এবং সেই মোকদ্দমা বিচার করিবার ক্ষমতা সম্পন্ন আদালত কর্তৃক অথবা যে মোকদ্দমায় এইরূপ বিচার্য বিষয়টি পরবর্তীতে উত্থাপিত হইয়াছে সেই মোকদ্দমা বিচার করিবার ক্ষমতা সম্পন্ন আদালত কর্তৃক শুনানির পর চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হইয়াছে।”: এই অংশটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আগের মোকদ্দমাটি যে আদালত বিচার করেছে, সেই আদালতের সেই বিষয়টি বিচার করার ক্ষমতা (Jurisdiction) থাকতে হবে। আর সেই মোকদ্দমাটি শুনানির পর চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি (finally decided) হতে হবে। অর্থাৎ, মোকদ্দমাটি শেষ হয়ে গেছে এবং এর বিরুদ্ধে আর কোনো আপিল বা রিভিশন নেই বা সেগুলোর সময়সীমা শেষ হয়ে গেছে।
ধারা ১১-কে আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য ছয়টি ব্যাখ্যা (Explanation) দেওয়া হয়েছেঃ
ব্যাখ্যা ১ঃ “পূর্ববর্তী মোকদ্দমা”
“পূর্ববর্তী মোকদ্দমা” বলতে এমন একটি মোকদ্দমাকে বোঝাবে যা প্রশ্নবিদ্ধ মোকদ্দমার আগে নিষ্পত্তি হয়েছে, সেটি আগে দায়ের করা হয়েছিল কিনা, তা বিবেচ্য নয়। অর্থাৎ, কোন মোকদ্দমাটি আগে দায়ের হয়েছিল তা গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং কোন মোকদ্দমাটি আগে চূড়ান্তভাবে শেষ হয়েছে, সেটাই “পূর্ববর্তী মোকদ্দমা” হিসেবে গণ্য হবে।
ব্যাখ্যা ২ঃ আদালতের ক্ষমতা
এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোনো আদালতের ক্ষমতা নির্ধারণের সময় সেই আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের অধিকার আছে কিনা, তা বিবেচনা করা হবে না। অর্থাৎ, যদি একটি আদালত কোনো মোকদ্দমা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি করার ক্ষমতা রাখে, তবে সেই আদালতের রায় আপিলের যোগ্য হলেও, রেস জুডিকাটা নীতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে তা বাধা হবে না।
ব্যাখ্যা ৩ঃ উত্থাপন ও স্বীকার/অস্বীকার
পূর্ববর্তী মোকদ্দমায় যে বিষয়টি নিয়ে রায় হয়েছে, সেই বিষয়টি অবশ্যই একটি পক্ষ দ্বারা উত্থাপিত হতে হবে এবং অন্য পক্ষ কর্তৃক স্পষ্টভাবে বা প্রচ্ছন্নভাবে স্বীকার বা অস্বীকার করা হতে হবে। অর্থাৎ, বিষয়টি নিয়ে আদালতে প্রকৃতপক্ষেই বিতর্ক থাকতে হবে এবং তার নিষ্পত্তি হতে হবে।
ব্যাখ্যা ৪ঃ গঠনমূলক রেস জুডিকাটা (Constructive Res Judicata)
“যে কোন বিষয় যাহা এইরূপ পূর্ববর্তী মোকদ্দমায় প্রতিরক্ষা বা আক্রমণের ভিত্তি হিসাবে উত্থাপিত হইতে পারিত এবং হওয়া উচিত ছিল, তাহা এইরূপ মোকদ্দমায় প্রত্যক্ষ ও বাস্তবিকভাবে বিচার্য বিষয় ছিল বলিয়া গণ্য হইবে।”
এটি ‘গঠনমূলক রেস জুডিকাটা’ নামে পরিচিত। এর মানে হলো, যদি কোনো পক্ষ আগের মোকদ্দমায় এমন কোনো যুক্তি বা বিষয় উত্থাপন করতে পারত, যা তার দাবি বা প্রতিরক্ষা (defence) এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কিন্তু সে তা করেনি বা করা উচিত ছিল (could and ought to have been raised), তাহলে ধরে নেওয়া হবে যে সেই বিষয়টি আগের মোকদ্দমাতেই বিচার করা হয়েছে এবং নিষ্পত্তি হয়েছে। ভবিষ্যতে একই বিষয়ে নতুন মোকদ্দমা করা যাবে না। এটি অলস বা ইচ্ছাকৃতভাবে বিষয় গোপনকারী পক্ষকে নিরুৎসাহিত করে।
ব্যাখ্যা ৫ঃ অস্বীকৃত প্রতিকার
যদি কোনো মোকদ্দমায় বাদী তার আরজিতে (plaint) কোনো প্রতিকার (relief) দাবি করে, কিন্তু আদালত তার ডিক্রিতে সেই প্রতিকারটি সুস্পষ্টভাবে মঞ্জুর না করে, তাহলে ধরে নেওয়া হবে যে সেই প্রতিকারটি অস্বীকৃত হয়েছে। সুতরাং, পরবর্তীতে বাদী সেই একই প্রতিকার দাবি করে নতুন মোকদ্দমা করতে পারবে না।
ব্যাখ্যা ৬ঃ প্রতিনিধিত্বমূলক মোকদ্দমা (Representative Suit)
যখন কিছু ব্যক্তি সৎ বিশ্বাসে (bonafide) নিজেদের এবং সমাজের অন্য সবার পক্ষে কোনো সরকারি বা ব্যক্তিগত অধিকারের বিষয়ে মোকদ্দমা করে (যেমনঃ কোনো রাস্তা বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাধারণ অধিকার), তখন এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণের জন্য, সেই অধিকারের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তিকে ধরে নেওয়া হবে যে তারা প্রথম মোকদ্দমাকারী ব্যক্তিদের অধীনেই দাবি করছে। এর ফলে, একটি প্রতিনিধিত্বমূলক মোকদ্দমার রায় সেই অধিকার সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তির জন্য বাধ্যতামূলক হবে, এবং তারা একই বিষয়ে নতুন মোকদ্দমা করতে পারবে না।
ধারা ১১, বা রেস জুডিকাটা নীতি, দেওয়ানি বিচার ব্যবস্থার একটি স্তম্ভ। এটি নিশ্চিত করে যে, একবার কোনো বিষয়ে বিচারিক সিদ্ধান্ত হয়ে গেলে, সেই একই বিষয় নিয়ে একই পক্ষগুলোর মধ্যে বারবার মোকদ্দমা চলতে পারবে না। এটি আদালতের সিদ্ধান্তের চূড়ান্ততা এবং সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করে। ব্যাখ্যাগুলো এই নীতির বিভিন্ন দিক স্পষ্ট করে তোলে এবং এর প্রয়োগের পরিধি ও সীমাবদ্ধতা নির্ধারণ করে। এই ধারাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই জন্যই যে, এটি দেওয়ানি মোকদ্দমা পরিচালনার ক্ষেত্রে এবং বিচার ব্যবস্থার মৌলিক নীতিগুলো বোঝার ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরী করে।
বার কাউন্সিল পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক কোর্স দেখতে এখানে ক্লিক করুন!
আয়কর ও ভ্যাট ট্রেনিং এর কোর্স দেখতে এখানে ক্লিক করুন!

লক্ষ্য করুনঃ আইনের শিক্ষার্থীরা এবং সাধারণ পাঠকরা প্রায়ই The Code of Civil Procedure, 1908-কে বিভিন্নভাবে যেমনঃ CPC 1908, Code of Civil Procedure 1908, The Civil Procedure Code 1908, অথবা Civil Procedure Code 1908 নামে খোঁজেন। এই ভিন্ন নামগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকলে খোঁজার সময় ভুল বোঝাবুঝি এড়ানো সম্ভব। এছাড়াও, অনেকে Laws of Bangladesh ওয়েসাইটে প্রবেশ করে এই আইনটি খোঁজ করেন।