দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮
(১৯০৮ সালের ৫নং আইন)
দায়িত্ব অব্যাহতি (Disclaimer): এটি শুধুমাত্র শিক্ষামূলক ও প্রশিক্ষণমূলক উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। এখানে প্রদত্ত সকল তথ্য, দৃষ্টান্ত ও উপাত্ত বিজ্ঞ আইনজীবীদের পেশাগত পরামর্শের বিকল্প নয়।
ধারার ইংরেজী ভার্সনঃ
Section 18. Place of institution of suit where local limits of jurisdiction of Courts are uncertain:
(1) Where it is alleged to be uncertain within the local limits of the jurisdiction of which of two or more Courts any immovable property is situate, any one of those Courts may, if satisfied that there is ground for the alleged uncertainty, record a statement to that effect and thereupon proceed to entertain and dispose of any suit relating to that property, and its decree in the suit shall have the same effect as if the property were situate within the local limits of its jurisdiction.
Provided that the suit is one with respect to which the Court is competent as regards the nature and value of the suit to exercise jurisdiction.
(2) Where a statement has not been recorded under sub-section (1), and an objection is taken before an appellate or revisional Court that a decree or order in a suit relating to such property was made by a Court not having jurisdiction where the property is situate, the appellate or revisional Court shall not allow the objection unless in its opinion there was, at the time of the institution of the suit, no reasonable ground for uncertainty as to the Court having jurisdiction with respect thereto and there has been a consequent failure of justice.
(1) Where it is alleged to be uncertain within the local limits of the jurisdiction of which of two or more Courts any immovable property is situate, any one of those Courts may, if satisfied that there is ground for the alleged uncertainty, record a statement to that effect and thereupon proceed to entertain and dispose of any suit relating to that property, and its decree in the suit shall have the same effect as if the property were situate within the local limits of its jurisdiction.
Provided that the suit is one with respect to which the Court is competent as regards the nature and value of the suit to exercise jurisdiction.
(2) Where a statement has not been recorded under sub-section (1), and an objection is taken before an appellate or revisional Court that a decree or order in a suit relating to such property was made by a Court not having jurisdiction where the property is situate, the appellate or revisional Court shall not allow the objection unless in its opinion there was, at the time of the institution of the suit, no reasonable ground for uncertainty as to the Court having jurisdiction with respect thereto and there has been a consequent failure of justice.
ধারার বাংলা ভার্সনঃ
ধারা ১৮। আদালতের এখতিয়ারের স্থানীয় সীমা অনিশ্চিত হলে মোকদ্দমা দায়েরের স্থানঃ
(১) যেখানে দুই বা ততোধিক আদালতের এখতিয়ারের স্থানীয় সীমার মধ্যে কোনো স্থাবর সম্পত্তি অবস্থিত কিনা তা অনিশ্চিত বলিয়া দাবি করা হয়, সেইক্ষেত্রে উক্ত আদালতসমূহের মধ্যে যেকোনো একটি আদালত যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, উক্ত অনিশ্চয়তার কোনো ভিত্তি আছে, তাহা হইলে তিনি এই মর্মে একটি লিখিত বিবৃতি লিপিবদ্ধ করিতে পারিবেন এবং উহার পর উক্ত সম্পত্তি সম্পর্কিত যেকোনো মোকদ্দমা গ্রহণ ও নিষ্পত্তির জন্য অগ্রসর হইতে পারিবেন, এবং উক্ত মোকদ্দমার ডিক্রি এমনভাবে কার্যকর হইবে যেন সম্পত্তিটি উহার এখতিয়ারের স্থানীয় সীমার মধ্যে অবস্থিত ছিল।
তবে শর্ত থাকে যে, মোকদ্দমাটি এমন হইতে হইবে যে উহার প্রকৃতি এবং মূল্যের দিক হইতে সেই আদালত এখতিয়ার প্রয়োগের জন্য উপযুক্ত।
(২) যদি উপধারা (১) অনুযায়ী কোনো বিবৃতি লিপিবদ্ধ করা না হয়, এবং আপিল বা রিভিশন আদালতে এই মর্মে আপত্তি উত্থাপন করা হয় যে, উক্ত সম্পত্তি সম্পর্কিত মোকদ্দমার রায় বা আদেশ এমন একটি আদালত কর্তৃক প্রদত্ত হইয়াছিল যাহার উক্ত সম্পত্তি অবস্থিত স্থানের উপর এখতিয়ার ছিল না, তাহা হইলে আপিল বা রিভিশন আদালত উক্ত আপত্তি মঞ্জুর করিবেন না, যদি না তাহাদের মতে মোকদ্দমা দায়েরের সময় উক্ত এখতিয়ার সম্পর্কে অনিশ্চয়তার কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ ছিল না এবং ফলশ্রুতিতে ন্যায়বিচারের পরিপন্থী কোনো ঘটনা ঘটে।
(১) যেখানে দুই বা ততোধিক আদালতের এখতিয়ারের স্থানীয় সীমার মধ্যে কোনো স্থাবর সম্পত্তি অবস্থিত কিনা তা অনিশ্চিত বলিয়া দাবি করা হয়, সেইক্ষেত্রে উক্ত আদালতসমূহের মধ্যে যেকোনো একটি আদালত যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, উক্ত অনিশ্চয়তার কোনো ভিত্তি আছে, তাহা হইলে তিনি এই মর্মে একটি লিখিত বিবৃতি লিপিবদ্ধ করিতে পারিবেন এবং উহার পর উক্ত সম্পত্তি সম্পর্কিত যেকোনো মোকদ্দমা গ্রহণ ও নিষ্পত্তির জন্য অগ্রসর হইতে পারিবেন, এবং উক্ত মোকদ্দমার ডিক্রি এমনভাবে কার্যকর হইবে যেন সম্পত্তিটি উহার এখতিয়ারের স্থানীয় সীমার মধ্যে অবস্থিত ছিল।
তবে শর্ত থাকে যে, মোকদ্দমাটি এমন হইতে হইবে যে উহার প্রকৃতি এবং মূল্যের দিক হইতে সেই আদালত এখতিয়ার প্রয়োগের জন্য উপযুক্ত।
(২) যদি উপধারা (১) অনুযায়ী কোনো বিবৃতি লিপিবদ্ধ করা না হয়, এবং আপিল বা রিভিশন আদালতে এই মর্মে আপত্তি উত্থাপন করা হয় যে, উক্ত সম্পত্তি সম্পর্কিত মোকদ্দমার রায় বা আদেশ এমন একটি আদালত কর্তৃক প্রদত্ত হইয়াছিল যাহার উক্ত সম্পত্তি অবস্থিত স্থানের উপর এখতিয়ার ছিল না, তাহা হইলে আপিল বা রিভিশন আদালত উক্ত আপত্তি মঞ্জুর করিবেন না, যদি না তাহাদের মতে মোকদ্দমা দায়েরের সময় উক্ত এখতিয়ার সম্পর্কে অনিশ্চয়তার কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ ছিল না এবং ফলশ্রুতিতে ন্যায়বিচারের পরিপন্থী কোনো ঘটনা ঘটে।
বিশ্লেষণাত্মক আলোচনা
এই ধারাটি দেওয়ানি কার্যবিধির একটি বিশেষ বিধান, যা এমন পরিস্থিতিতে প্রযোজ্য হয় যখন একটি স্থাবর সম্পত্তির (immovable property) অবস্থান নিয়ে দুটি বা তার বেশি আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে অনিশ্চয়তা (uncertainty) থাকে। অর্থাৎ, এটি নিশ্চিতভাবে বলা যায় না যে সম্পত্তিটি কোন আদালতের সীমানায় পড়েছে।উপধারা (১) অনিশ্চয়তার সমাধানঃ
এই উপধারাটি বলছে যে, যদি কোনো পক্ষ দাবি করে যে একটি সম্পত্তির অবস্থান নিয়ে আদালতের এখতিয়ারের বিষয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে, তাহলে সংশ্লিষ্ট আদালতগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি আদালত যদি সেই দাবির সপক্ষে যুক্তিসঙ্গত কারণ খুঁজে পায়, তবে সেই আদালত একটি লিখিত বিবৃতি (statement) রেকর্ড করবে। এই বিবৃতি রেকর্ড করার পর, আদালত সেই সম্পত্তি সম্পর্কিত মোকদ্দমাটি গ্রহণ করতে এবং নিষ্পত্তি করতে পারবে। আদালত কর্তৃক প্রদত্ত ডিক্রিটি এমনভাবে কার্যকর হবে যেন সম্পত্তিটি আসলেই সেই আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে ছিল। তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো, মোকদ্দমাটি এমন হতে হবে যে তার প্রকৃতি এবং আর্থিক মূল্য (nature and value) অনুযায়ী সেই আদালতটি মোকদ্দমাটি বিচার করার জন্য উপযুক্ত।
উপধারা (২) আপিল/রিভিশনে আপত্তিঃ
এই উপধারাটি আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে আলোচনা করে। এটি বলছে যে, যদি উপধারা (১) অনুযায়ী কোনো লিখিত বিবৃতি রেকর্ড করা না হয় এবং পরবর্তীতে কোনো আপিল বা রিভিশন আদালতে এই বলে আপত্তি তোলা হয় যে নিম্ন আদালতটি ভুল এখতিয়ারে মোকদ্দমাটি বিচার করেছে, তাহলে আপিল আদালত সাধারণত সেই আপত্তি মঞ্জুর করবে না। আপিল আদালত তখনই আপত্তিটি মঞ্জুর করবে যখন মনে হবে যেঃ
১) মোকদ্দমা দায়েরের সময় এখতিয়ার নিয়ে অনিশ্চয়তার কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ (reasonable ground) ছিল না।
২) এবং এর ফলে ন্যায়বিচারের ব্যর্থতা (failure of justice) ঘটেছে।
অর্থাৎ, এই উপধারাটি নিশ্চিত করে যে যদি কোনো আদালত সরল বিশ্বাসে এবং যুক্তিসঙ্গত অনিশ্চয়তার কারণে কোনো মোকদ্দমা বিচার করে, তবে শুধুমাত্র এখতিয়ারের সামান্য ত্রুটির জন্য সেই ডিক্রি বাতিল করা হবে না। এটি মূলত বিচার প্রক্রিয়ার স্থায়িত্ব নিশ্চিত করে এবং শুধুমাত্র গুরুতর অন্যায় বা ন্যায়বিচারের ব্যর্থতার ক্ষেত্রেই আপিল আদালত হস্তক্ষেপ করবে।
সংক্ষেপে, ধারা ১৮ অনিশ্চিত এখতিয়ারের ক্ষেত্রে বিচার প্রক্রিয়াকে সহজ করে এবং নিশ্চিত করে যে শুধুমাত্র ক্ষুদ্র ত্রুটির কারণে কোনো মোকদ্দমা বাতিল করা হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না ন্যায়বিচারের মারাত্মক লঙ্ঘন ঘটছে। এই ধারাটি বিচার প্রক্রিয়ার মানবিক ও ব্যবহারিক দিক বোঝার জন্য খুব জরুরি।
💳 আমাদের সাথে যোগাযোগঃ
লক্ষ্য করুনঃ আইনের শিক্ষার্থীরা এবং সাধারণ পাঠকরা প্রায়ই The Code of Civil Procedure, 1908-কে বিভিন্নভাবে যেমনঃ CPC 1908, Code of Civil Procedure 1908, The Civil Procedure Code 1908, অথবা Civil Procedure Code 1908 নামে খোঁজেন। এই ভিন্ন নামগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকলে খোঁজার সময় ভুল বোঝাবুঝি এড়ানো সম্ভব। এছাড়াও, অনেকে Laws of Bangladesh ওয়েসাইটে প্রবেশ করে এই আইনটি খোঁজ করেন।