Thursday , March 28 2024

যৌতুক দাবি করলে কি করবেন? (পর্ব-০৬)

সরেজমিনে তদন্তঃ ঘটনার সত্যতা উদঘাটনের জন্য প্রয়োজন মনে করলে তদন্তকালে ম্যাজিষ্ট্রেট অপরাধটি যেখানে সংঘটিত হয়েছে সেস্থান পরিদর্শন করতে পারেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের মতামত নোট করতে পারেন। এজন্য অবশ্য পক্ষদেরকে আগে নোটিশ দিয়ে অবহিত করতে হবে। তবে স্থানীয় তদন্ত বা পরিদর্শন সাক্ষ্যের বিকল্প হিসেবে নয় বরং সাক্ষ্যের পরিপূরক হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

তদন্ত প্রতিবেদন প্রদানঃ

  • সাক্ষ্য ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পর্যালোচনা এবং সামগ্রিক মূল্যায়নে পূর্ণ বিচারিক মনোনিবেশ ঘটাতে হবে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে তা কার কার বিরুদ্ধে কতটুকু প্রমাণীত হলো তা উল্লেখ করে নিজস্ব মতামতসহ সুস্পষ্ট প্রতিবেদন পেশ করতে হবে।
  • তদন্ত প্রতিবেদনের সঙ্গে গৃহীত সাক্ষীর জবানবন্দির কপি এবং অন্য কোন ডকুমেন্ট পাওয়া গেলে তা সংযুক্ত করে দিতে হবে, এগুলো নথির অংশ হিসেবে নথিতে থাকবে।
  • সর্বোপরি, ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট তদন্ত যাওয়ার পর নালিশদাতা তদন্তে কোন আগ্রহ না দেখালে কিংবা নোটিশ দেয়ার পরও যদি সে না আসে সেক্ষেত্রেও তদন্তের জন্য প্রেরণকারী আদালতে একটি প্রতিবেদন দিতে হবে যাতে দরখাস্তটি নিষ্পত্তি করা যায়।
  • বিচারিক তদন্তের প্রতিবেদন দায়সারা ধরনের না দিয়ে যত্ন সহকারে লেখা প্রয়োজন৷ প্রতিবেদন কিছুটা বিস্তারিত হওয়া উচিত। প্রতিবেদনটি সাজানোর ক্ষেত্রে কিছু শিরোনাম ব্যবহার করা যায় যেমনঃ ক) দরখাস্ত মামলা নম্বর ও তারিখ; (খ) দরখাস্তে বর্ণিত আইন ও আইনের ধারা; (গ) সংক্ষেপে কথিত ঘটনার বিবরণ; (ঘ) প্রত্যেক সাক্ষীর তদন্ত বক্তব্যের সার-সংক্ষেপ; (ঙ) সাক্ষ্য পর্যালোচনা; (চ) নিজস্ব মতামত ও সুপারিশ।
  • তদন্ত প্রতিবেদন পেন্ডিং রাখা বা তা না দিয়ে বদলী হয়ে যাওয়া এক দিকে যেমন বিচার প্রার্থী মানুষের হয়রানির কারণ অন্য দিকে, তদন্তকারী ম্যাজিষ্ট্রেটের নিজস্ব ভাবমূর্তিও খারাপভাবে প্রতিফলিত হয়। তাই বিচারিক তদন্তকে গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করতে হবে এবং এর দ্বারা ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নিজের বিচারিক বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটানো সম্ভব।

<<< ৫ম পর্ব দেখতে এখানে ক্লিক করুন ৭ম পর্ব দেখতে এখানে ক্লিক করুন >>>