Friday , March 29 2024

যৌতুক দাবি করলে কি করবেন? (পর্ব-০৫)

বিচারিক তদন্ত ও ব্যাখ্যাঃ

  • আদালতে নালিশ দায়েরের পর নালিশটি বিচারের জন্য গ্রহণের পূর্বে আদালত তা প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন মনে করলে অবশ্যই নালিশদাতাকে ফোজদারী কার্যবিধির ২০০ ধারায় পরীক্ষা করে তার জবানবন্দি রেকর্ড করবেন। (তথ্যসূত্র:২৮ ডি এল আর ৩৮৯)
  • বিচার বিভাগীয় তদন্তকালে দায়িত্ব প্রাপ্ত ম্যাজিষ্ট্রেট নালিশে উল্লেখিত বিবাদী পক্ষের কাউকে ডাকতে পারবেন না, কারণ নালিশটি বিচারের জন্য আদালত কর্তৃক গ্রহীত না হওয়া পর্যন্ত বিবাদী হিসেবে যাদের নাম নালিশে উল্লেখ করা হয়েছে তারা বিবাদী বলে গণ্য হবে না, তবে বিবাদী পক্ষ ইচ্ছা করলেও তদন্তকালে উপস্থিত থাকতে পারবেন না বা তাদেরকে উপস্থিত থাকার অনুমতি দেয়া যাবে না। কোন সাক্ষীকে জেরাও করতে পারবেন না। কারণ এখানে নালিশের উপর বিচার অনুষ্ঠিত হচ্ছে না বরং নালিশটির প্রাথমিক সত্যতা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। এ পর্যায়ে সাক্ষীদের জেরা করে নালিশদাতাকে তদন্তকারী ম্যাজিষ্ট্রেট নিজেও তীব্র জেরার দ্বারা অপ্রস্তুত করে নালিশ প্রত্যাখান না করাই উচিত, তবে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশ্ন নালিশদাতাকে করতে কোন বাঁধা নেই। (তথ্যসূত্র: ৫ ডিএলআর ১১২, ৩৫ ডিএলআর ১৭৬)

  • প্রথমে নালিশদাতাকে পরে তার মানীত (নালিশদাতা, সাক্ষী হিসাবে যাকে উপস্থাপন করতে চান) সাক্ষীদেরকে হলফপূর্বক পরীক্ষা করে তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করতে হবে যার ভিত্তিতে পরবর্তীতে তদন্ত প্রতিবেদন তৈরী করা হবে, জবানবন্দি গ্রহণকালে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে কারণ, এ সময় বিবাদী পক্ষ অনুপস্থিত থাকছে তাই বাদী পক্ষ একতরফাভাবে জবানবন্দী দিয়ে যেন কোন অসত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে না পারে।
  • বাদী পক্ষের আইনজীবীকেও বিচারিক তদন্তে উপস্থিত থাকার অনুমতি না দেয়া।
  • তদন্তকালে সাক্ষ্যের অনুকূলে দালিলিক প্রমাণাদি উপস্থাপনের জন্য বাদীকে নির্দেশ দেয়া যেতে পারে।
  • বিচারিক তদন্তকারী ম্যাজিষ্ট্রেটকে মনে রাখতে হবে, বিচারিক তদন্তই বিচার নয় এরপরও নালিশদাতাকে বিচারের জন্য আরো অনেক বার আদালতে আসতে হবে, সাক্ষী দিতে হবে, তাই তদন্ত পর্যায়েই যেন নালিশদাতা হতাশ হয়ে না পড়ে।

<<< ৪র্থ পর্ব দেখতে এখানে ক্লিক করুন ৬ষ্ঠ পর্ব দেখতে এখানে ক্লিক করুন >>>