Friday , April 26 2024

দেওয়ানী কার্যবিধির ধারা-৮৯এ (আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষার প্রন্তুতি)

***2544-Header login & logout

আপনি আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক কোর্স এর “ফ্রি ভার্সন” ব্যবহার করেছেন। “প্রিমিয়াম ভার্সন” ব্যবহার করতে চাইলে 01312-256369 (Advocate Rabbani) অথবা 01703-924452 (Advocate Monsur) নাম্বারে কল দিয়ে কোর্সের নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে আই.ডি ও পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করে নিন। ধন্যবাদ...

OK-10-দেওয়ানী কার্যবিধির সূচীপত্র

আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষা
এম.সি.কিউ পরীক্ষার প্রস্তুতি
দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮

***3899-Header-CPC-BBC Exam

দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮
(১৯০৮ সালের ৫নং আইন)

162-ধারা-89a

ধারা ৮৯এ। মধ্যস্থতা

১) অর্থঋণ আদালত আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ৮নং আইন) এর আওতাধীন ব্যতীত লিখিত জবাব পেশের পর সকল প্রতিদ্বন্দ্বী বিবাদী নিজ দায়িত্বে কিংবা তাদের নিজ নিজ আইনজীবীর দ্বারা হাজির হলে আদালত মোকদ্দমার বিরোধ বা বিরোধসমূহ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে শুনানী বন্ধ রেখে মধ্যস্থতা করতে পারবে, বা ম্যস্থতার মাধ্যমে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে পক্ষসমূহের নিযুক্ত আইনজীবী বা আইনজীবীদের নিকট বা আইনজীবী নিযুক্তকৃত না থাকলে পক্ষ বা পক্ষসমূহের নিকট মোকদ্দমার বিরোধ কিংবা বিরোধসমূহ নিষ্পত্তির ব্যাপারটি পাঠাইতে পারবে, বা ১০নং উপ-ধারানুযায়ী জেলা জজ কর্তৃক প্রণয়নকৃত প্যানেলের কোন মধ্যস্থতাকারীর নিকট পাঠাতে পারবে।

২) ১নং উপ-ধারানুযায়ী ব্যাপারটি আইনজীবীগণের দ্বারা প্রেরণ করা হয়ে থাকলে, আইনজীবীগণ তাদের নিজ নিজ ক্লাইন্টদের সাথে যুক্তিপরামর্শ অনুযায়ী উভয়ের সম্মতির দ্বারা নিযুক্ত নন, কিংবা অবসরপ্রাপ্ত কোন জজ, অথবা ১০নং উপ-ধারার আওতাধীনে জেলা জজের মাধ্যমে প্রণয়নকৃত প্যানেল থেকে মধ্যস্থতাকারী বা তারা যে লোককে নিষ্পত্তির নিরীক্ষে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কার্যধারা পালন করতে যোগ্য মনে করেন, সেই লোককে নিয়োগ দিতে পারবে।

তবে শর্ত থাকে যে, মধ্যস্থতাকারী হিসেবে একের অধিক লোকের নিযুক্তি নিষিদ্ধতার আওতাভুক্ত করে কোন কিছুই এই উপ-ধারায় উল্লেখিত হয় নাই মনে করতে হবে। তবে আরো শর্ত থাকে যে, প্রজাতন্ত্রের লাভজনক পদে উপনীত কোন লোক মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার অযোগ্য গণ্য হবে।

৩) ১নং উপ-ধারার আওতাধীনে বিরোধ কিংবা বিরোধসমূহ ব্যাপারটি মধ্যস্থতার উদ্দেশ্যে পাঠানো হলে আদালত আইনজীবীদের ও মধ্যস্থতাকারীদের ফি কত হবে কিংবা মধ্যস্থতাকারী এবং পক্ষগণ কোন পদ্ধতি অনুসরণ করিবে তা নির্ণয় করবে এবং সংশ্লি আইনজীবী তাদের ক্লাইন্ট ও মধ্যস্থতাকারী পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে ফি ও মধ্যস্থতার মাধ্যমে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে উন্নত পদ্ধতি নির্ণয় করবে; যখন কোর্ট মধ্যস্থতা করবে, তখন ইহার অনুসৃত নীতি নির্ধারণ করবে, এবং মধ্যস্থতার লক্ষ্যে কোন প্রকার ফি চার্জ করবে না।

৪) ১নং উপ-ধারানুযায়ী রেফারেন্স গ্রহণের তারিখ থেকে দশ দিনের ভিতর পক্ষসমূহ লিখিতরূপে কোর্টকে জানাইবে যে, তারা মধ্যস্থতার ভিত্তিতে মোকদ্দমার উল্লেখিত বিরোধ বা বিরোধসমূহ সুরাহা নিশ্চিত করবে কিনা ও কাউকেও তারা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিযুক্তি দিয়েছেন, অপারগতা প্রতীয়মান হইলে ১নং উপ-ধারার নিয়ন্ত্রণাধীনে গ্রহণকৃত রেফারেন্স বাতিল বলে ধরে নিতে হবে এবং কোর্ট মোকদ্দমার হেতুভাষণের উদ্দেশ্যে আগ্রসর হবে ও মধ্যস্থতার দ্বারা মোকদ্দমায় বর্ণিত বিরোধ বা বিরোধসমূহ সুরাহার ব্যাপারে ঐক্যমত হয়ে এবং উপরোল্লিখিত মধ্যস্থতার নিযুক্তি সম্পর্কে পক্ষসমূহ কোর্টকে জানাবেন, কোর্টকে জানানোর ৬০ (ষাট) দিনের ভিতর মধ্যস্থতা সম্পাদন করতে হবে, যদি না কোর্ট নিজ উদ্যোগে বা পক্ষসমূহের যৌথ আবেদনে অনুর্ধ ৩০ (ত্রিশ) দিনের বেশী সময় বাড়ায়।

৫) মধ্যস্থতা কার্যে পক্ষসমূহের গোপনীয় অবস্থা প্রকাশ না করে মধ্যস্থতাকারী মধ্যস্থতা কার্যের একটি প্রতিলিপি আইনজীবীগণের দ্বারা কোর্টকে পেশ করবেন; এবং ফলাফল যদি মোকদ্দমায় বর্ণিত বিরোধ বা বিরোধসমূহের আপোষরফা হয়, তাহলে মীমাংসার শর্তসমূহ চুক্তির অবকাঠামোতে প্রণয়ন করতে হবে, যার উপর পক্ষসমূহের ও সাক্ষী হিসেবে আইনজীবীগণের এবং মধ্যস্থতাকারী দস্তখত বা বৃদ্ধাঙ্গুলীর ছাপ থাকবে, এবং তারপর কোর্ট অত্র কার্যবিধির ২৩নং আদেশের সংশ্লিষ্ট বিধানাবলী অনুযায়ী আদেশ বা ডিক্রি অনুমোদন করবে।

৬) কোর্ট নিজে মধ্যস্থতা করলে ৫নং উপ-ধারায় বর্ণিত প্রক্রিয়ার মতই একটি প্রতিবেদন প্রণয়ন করবে এবং আদেশ প্রদান করবে।

৭) মধ্যস্থতার মাধ্যমে মীমাংসায় পৌঁছতে অপারগ হলে, উপ-ধারা ৯ এর শর্তানুযায়ী কোর্ট মোকদ্দমার শুনানীর সেই স্তর হতে আগাবেন, মধ্যস্থতার সিদ্ধান্তের বা উপ-ধারা ১ এর আওতাধীনে মধ্যস্থতার উদ্দেশ্যে পাঠানোর আগে মোকদ্দমা যে স্তরে ছিল, এবং অত্র কার্যবিধির সেই প্রক্রিয়া অনুযায়ী অগ্রসর হবে যাতে মধ্যস্থতার বা মধ্যস্থতার লক্ষ্যে রেফারেন্স গ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় নাই।

৮) এই ধারার অধীনে মধ্যস্থতা অবশ্যই গোপন থাকবে এবং পক্ষসমূহের তাদের আইনজীবীদের প্রতিনিধিগণের বা মধ্যস্থতাকারীর কোন যোগাযোগ, পেশকৃত সাক্ষ্য, স্বীকৃতি, প্রদানকৃত বিবরণাদি কিংবা মন্তব্য ও কথোপকথন বিশেষ সুবিধা বলে পরিগণিত হবে এবং একই মোকদ্দমার বা অপর কোন কার্যপ্রণালী পরবর্তী শুনানীতে উল্লেখ করা যাবে না এবং সাক্ষ্যে তা গ্রহণকৃত হবে না।

৯) কোর্ট দ্বারা মধ্যস্থতায় গ্রহণকৃত পদক্ষেপ মোকদ্দমায় বিদ্যমান বিরোধ কিংবা বিরোধসমূহ সুরাহায় ব্যর্থতায় পর্যবসিত হলে উক্ত কোর্ট মোকদ্দমাটির হেতুভাষণ শুনবে না, যদি মধ্যস্থতার রেফারেন্স গ্রহণকারী জজ অত্র কোর্টের বিচারক হন, এবং তদ্ক্ষেত্রে মোকদ্দমাটি সঠিক এখতিয়ারবান অপর কোন কোর্ট কর্তৃক দ্রুত হবে।

১০) এই ধারার উদ্দেশ্যে জেলা বার এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এর সাথে পরামর্শ মোতাবেক অবসরপ্রাপ্ত জজ, বিরোধ সুরাহায় প্রশিক্ষিত বলে জানা কোন লোক এবং প্রজাতন্ত্রের লাভজনক পদে নিযুক্ত নন এরূপ ব্যক্তিবর্গ ব্যতিরেকে অন্য কোন লোক বা ব্যক্তিবর্গ যাঁরা এই উদ্দেশ্যে সঠিক বলে গণ্য, তাদের সাথে মিলিতভাবে জেলা জজ মধ্যস্থাতা কারীগণের একটি ফর্দ প্রস্তুত করিবে (সময়ে সময়ে তা হালনাগাদ সম্পন্ন করতে হবে) এবং তাঁর প্রশাসনিক এখতিয়ার এর অধীন সমস্ত সিভিল কোর্টকে ফর্মের ব্যাপারে তিনি জানাবে।

তবে শর্ত থাকে যে, কোন কোর্টে কোন মোকদ্দমার কোন পক্ষ দ্বারা কোন সময় কোন যুক্তি আইনজীবী হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে থাকলে পক্ষসমূহের ভিতর তিনি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে না।

১১) এই ধারানুসারে সুরাহার প্রেক্ষিতে কোর্ট কোন আদেশ কিংবা ডিক্রি প্রদান করলে তার বিরুদ্ধে কোনরূপ আপিল বা রিভিশন করা যাবে না।

১২) কোর্ট ফি আইন, ১৮৭০ (১৮৭০ সনের ৭নং আইন)-এ যা কিছুই উল্লেখিত থাকুক না কেন, কোন মোকদ্দমার বিরোধ বা বিরোধসমূহ এই ধারার আওতাধীনে মীমাংসায় নিস্পত্তি হলে পক্ষসমূহের মাধ্যমে আরজি বা জবাবে প্রদানকৃত কোর্ট ফি ফেরত দিবার নির্দেশ প্রদান করে কোর্ট একটি সার্টিফিকেট ইস্যু করবে এবং সার্টিফিকেট ইস্যুর তারিখ থেকে ষাট দিনের ভিতর পক্ষসমূহ তাহা ফেরত পাইবার অধিকার সংরক্ষণ করবে।

১৩) এই কার্যবিধির ২৩নং আদেশের আওতাধীনে মোকদ্দমা তুলে নেওয়া, সমন্বয়করণ এবং রফা করার পক্ষসমূহের বাসনাকে এই ধারা অন্যভাবে সংকোচিত করেছে ধরে কোন কিছূই ধরে নেওয়া যাবে না।

ব্যাখ্যাঃ এই ধারার অধীনে “মধ্যস্থতা” বলতে বুঝাবে নমনীয়তা, অনানুষ্ঠানিক, অবাধ্যতামূলক, গোপনীয়তা, অ-প্রতিদ্বন্দিতামূলক এবং সমঝোতামূলক বিরোধ আপোষ রফার প্রক্রিয়া যার দ্বারা মধ্যস্থতাকারী রফার কোন শর্ত ইঙ্গিত না করে কিংবা এতদ্সম্পর্কে আদেশ প্রদান না করে পক্ষসমূহের মধ্যে বিদ্যমান মোকদ্দমার বিরোধসমূহ নিষ্পত্তির সুযোগ সৃষ্টি করবে।

২) এই ধারার অধীন “মীমাংসা" অন্তর্ভুক্ত করবে মোকদ্দমার বিরোধসমূহের আংশিক মীমাংসাও। [২০০৩ সালের ৪নং আইন দ্বারা সংশোধিত]

বিশ্লেষণাত্মক আলোচনাঃ

This content is locked

ONLY FOR PREMIUM MEMBERS

OK-2505@Youtube Subscribe

বিঃ দ্রঃ সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, যদি কেউ আমাদের প্রফেশনাল ও আইন সংক্রান্ত ভিডিও লেকচারগুলো প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে YouTube চ্যানেল এর মাধ্যমে পেতে চান, তাহলে নিচের SUBSCRIBE NOW বাটনে ক্লিক করে আমাদের চ্যানেলটিকে Subscribe করুন এবং পাশে থাকা বেল আইকনটি চেপে দিন। এছাড়াও, সরাসরি YouTube এ প্রবেশ করে legal study 24 লিখে সার্চ দিয়ে আমাদের চ্যানেলটিকে খুঁজে বের করে Subscribe করতে পারেন। ধন্যবাদ...