Saturday , April 20 2024

নারী অধিকার (ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত), পর্ব-০১

ক্ষতিপূরণ কি?

সাধারনভাবে বলা যায়, কারখানা কিংবা শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অবস্থায় দুর্ঘটনার ফলে কোন শ্রমিক আহত হলে, তার আংশিক বা সম্পূর্ন দৈহিক অক্ষমতার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ তাকে যে আর্থিক সহযোগীতা দিবে তাই ক্ষতিপূরণ।

সংশ্লিষ্ট আইনঃ ১) ১৯২৩ সালের শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ আইন; ২) ১৯৫৫ সালের মারাত্নক দুর্ঘটনা আইন।

১৯২৩ সালের শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ আইন অনুযায়ী –

১. কে ক্ষতিপূরণ দিবে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে দিবে?

সাধারণ ভাবে আমরা বলতে পারি, শ্রমিক যেখানে কাজ করে সেখানে কাজ করতে যেয়ে যদি তার কোন দূর্ঘটনা ঘটে তবে মালিক অর্থাত্‍  শ্রমিক যেখানে কাজ করে সেই প্রতিষ্টানের মালিক ক্ষতিপূরণ প্রদান করবে। আইন মোতাবেক কে ক্ষতিপূরণ দিবে সে ব্যাপারে ১৯২৩ সালের ক্ষতিপূরণ আইনের ধারা (৩) এ বলা হয়েছে যে, কর্মরত কোন শ্রমিক যদি তার কাজ করার সময় দূর্ঘটনায় শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন বা আহত হন বা পেশাগত রোগে আক্রান্ত হন তবে মালিক তার ক্ষতিপূরণ দিবে। আর কারখানায় কাজ করার সময় কোন শ্রমিক মারা গেলে তার উত্তরসূরীরা ক্ষতিপূরণ পাবে। তবে কয়েকটি শর্ত সাপেক্ষে মালিক ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকবে না। শর্তগুলো হলঃ যদি শ্রমিক –

(ক) জখমের কারণে চার দিনের বেশি সময়ের জন্য আংশিক বা সম্পূর্ণ কার্যক্ষমতা না হারায়, (চারদিনের এই সময় প্রথমে ছিল না, প্রথমে ছিল ১০ দিন পরে। ১৯৩৩ সালে ১৫ নং আইন দ্বারা ৭ দিন করা হয় এবং এর পর ১৯৫৭ সালের ১১ নং আইন দ্বারা ৪ দিন করা হয়)

(খ) যে দুর্ঘটনায় শ্রমিক জখমপ্রাপ্ত হয়েছেন তার প্রত্যক্ষ কারন হচ্ছে –

  • পানীয় বা ঔষধের প্রভাব;
  • শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য যে বিধান রয়েছে, সেই বিধান অমান্য করার ফল;
  • শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য যদি বিশেষ কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় বা কোন জিনিস স্থাপিত হয় এবং তা জানা সত্বেও শ্রমিক ইচছাকৃতভাবে তা অমান্য  করে।

তবে চাকুরীতে নিয়োজিত থাকা অবস্থায় যদি কোন শ্রমিক পেশাগত রোগে আক্রান্ত হয় তবে মালিক ঐ শ্রমিককে ক্ষতিপূরণ দিবে।

[দেখুন : ১৯২৩ সালের ক্ষতিপূরণ আইনের ধারা (৩)]

২. ক্ষতিপূরণের পরিমাণ কত হবে?

কোন শ্রমিক আহত হলে বা দুর্ঘটনায় পতিত হলে কি পরিমাণ ক্ষতির জন্য কি পরিমান ক্ষতিপূরণ পাবে সে ব্যাপারে ১৯২৩ সালের ক্ষতিপূরণ আইনের ধারা (৪) এ বলা আছে। এখানে বলা হয়েছে –

  • জখমের কারণে স্থায়ীভাবে দৈহিক অক্ষমতার জন্য অপ্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিক ২,০০০/- টাকা পাবে।
  • জখমের কারণে স্থায়ীভাবে দৈহিক অক্ষমতার জন্য ৪নং তফসিল প্রয়োজ্য হবে।
  • আহত হওয়ার ফলে মৃত্যু হলে ৪র্থ তপসিলের প্রথম কলাম প্রযোজ্য হবে।
  • জখমের ফলে আংশিক  দৈহিক অক্ষমতার জন্য ১নং তপসিল প্রয়োজ্য হবে।

১৯৫৫ সালের মারাত্নক দুর্ঘটনা আইন অনুযায়ী, মারাত্নক দুর্ঘটনা আইন, ১৯৫৫ – তে বলা হয়েছে, কোন শ্রমিক মালিকের অবহেলা বা অসর্তকতার কারনে মারা গেলে ঔ ব্যক্তির উত্তরসূরীরা মালিকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য মামলা করতে পারবে।

২য় পর্ব দেখতে এখানে ক্লিক করুন >>>

Check Also

আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষার প্রন্তুতির জন্য দেওয়ানী কার্যবিধির ভাষ্য

দেওয়ানী কার্যবিধির ধারা-১৪ (আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষার প্রন্তুতি)

আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষার প্রন্তুতির জন্য দেওয়ানী কার্যবিধির ভাষ্য

দেওয়ানী কার্যবিধির ধারা-১৩ (আইনজীবী তালিকাভুক্তি পরীক্ষার প্রন্তুতি)