যৌতুক দাবি করলে কি করবেন? (পর্ব-০৭)
নালিশ খারিজের পদ্ধতিঃ
১. ফৌজদারী কার্যবিধির ২০৩ ধারার বিধান অনুসারে নিম্নরূপ কারণে আদালত কারো দায়ের করা নালিশ বিচারের জন্য গ্রহণ না করে তা খারিজ করে দিতে পারেনঃ
নালিশদাতাকে ফৌজদারী কার্যবিধিরি ২০০ ধারায় পরীক্ষা করে জবানবন্দি নিয়ে বা ফৌজদারী কার্যবিধির ২০২ ধারা অনুসারে পরিচালিত তদন্তের ভিত্তিতে যদি ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে-
ক) বাদীর নালিশ গ্রহণযোগ্য নয়;
খ) বাদীর নালিশ ফৌযদারী দায়যুক্ত নয়;
গ) বাদীর জবানবন্দি বিশ্বাসযোগ্য নয়;
ঘ) তদন্ত প্রতিবেদন বাদীর পক্ষে নয়৷
২. মামলা খারিজের আদেশ মামলা শুনানীর জন্য ধার্য তারিখে দিতে হবে। ফৌজদারী কার্যবিধির ২০৩ ধারার বিধান অনুসারে নালিশ খারিজ করতে হলে ম্যাজিষ্ট্রেট আদেশনামায় নালিশ খারিজ করার কারণ সংক্ষেপে উল্লেখ করবেন। ফৌজদারী কার্যবিধির ২০৩ ধারার বিধান অনুসারে নালিশ খারিজ হয়ে গেলে মামলার আসামী পক্ষ ফৌজদারী কার্যবিধির ২৫০ ধারার বিধান অনুসারে বাদীর নিকট হতে কোন ক্ষতিপূরণ দাবী করতে পারবেন না। (তথ্যসূত্র: ৬ সি ডব্লিউ এন ২ঌ৫)
প্রসেস ইস্যুর পদ্ধতিঃ আমল গ্রহণকারী ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক মামলা আমলে নেয়ার সাথে সাথে আসামীর বিরুদ্ধে ফৌজদারী কার্যবিধির ২০৪ ধারা এবং দ্বিতীয় তফসিলের ৪র্থ কলাম এর বর্ণনা অনুসারে প্রসেস ইস্যু করতে হবে। প্রসেস ইস্যুর ক্ষেত্রে করণীয় হলোঃ
- বাদীর নালিশে আসামীর বিরুদ্ধে কার্যক্রম গ্রহণের মত উপাদান থাকেল আসামীকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য ফৌজদারী কার্যবিধির ২য় তফসিলের ৪র্থ কলাম অনুসারে অপরাধের গুরুত্ব অনুসারে আসামীর বিরুদ্ধে সমন বা গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করবেন। [ফৌঃ কাঃ বিঃ ২০৪(১)]
- সমন/ওয়ারেন্টের সঙ্গে নালিশের কপি সংযুক্ত করতে হবে। [ফৌঃ কাঃ বিঃ ২০৪(১-খ)]
- সমন বা ওয়ারেন্টের জন্য বর্তমানে বলবত্ কোন আইনে ফি প্রদানের নিয়ম থাকলে তা না দেয়া পর্যন্ত সমন বা ওয়ারেন্ট প্রদান করা হবে না এবং যুক্তি সঙ্গত সময়ের মধ্যে না দিলে আদালত নালিশ খারিজ করতে পারবেন। [ফৌঃ কাঃ বিঃ ২০৪(৩)]
- আদালত আসামীর বিরুদ্ধে পর্যায়ে ক্রমিকভাবে যে সকল প্রসেস জারি করতে পারে৷
<<< ৬ষ্ঠ পর্ব দেখতে এখানে ক্লিক করুন ৮ম পর্ব দেখতে এখানে ক্লিক করুন >>>